শহীদ মিনার ভাঙার শাস্তি হিসেবে প্রতিদিন স্কুল পরিষ্কার করবে দুই ছাত্র
Published: 24th, February 2025 GMT
গাজীপুরের শ্রীপুরে ২১ ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে প্রভাতফেরির পর লাথি দিয়ে অস্থায়ী শহীদ মিনার ভাঙা সেই দুই শিক্ষার্থী প্রতিদিন স্কুল পরিষ্কার করবে। উপজেলা প্রশাসনের মধ্যস্থতায় সোমবার সন্ধ্যায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের ওপর এ শাস্তি আরোপ করে।
মহান শহীদ দিবসে প্রভাতফেরির পর গাজীপুর মডেল পাবলিক স্কুলে অস্থায়ী শহীদ মিনার লাথি দিয়ে ভাঙার ঘটনা ঘটে। ওই স্কুলের দুই ছাত্র এ ঘটনা ঘটায়। স্কুলটি শ্রীপুরের গাজীপুর ইউনিয়নের গাজীপুর গ্রামে অবস্থিত। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। সমালোচনার মুখে শেষ পর্যন্ত তাদের সামাজিক শাস্তির আওতায় আনা হয়। অভিযুক্ত দুজন ওই স্কুলের নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুনশ্রীপুরে প্রভাতফেরির পর লাথি দিয়ে শহীদ মিনার ভাঙার ভিডিও ভাইরাল২ ঘণ্টা আগেউপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থী, তাদের অভিভাবক, বিদ্যালয়ের শিক্ষক, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাসহ সবাইকে নিয়ে আলোচনায় বসা হয়েছিল। ওই আলোচনা মধ্যস্থতা করেন শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজীব আহমেদ। আলোচনার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অভিযুক্ত দুই শিক্ষার্থী মঙ্গলবার থেকে স্বাভাবিকভাবে স্কুলে এসে যথাসময়ে নির্ধারিত ক্লাসে অংশ নেবে। তবে পাঠদান কার্যক্রম শুরুর আগে তাদের বিদ্যালয়ের পরিচ্ছন্নতার কাজ করতে হবে।
শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজীব আহমেদ রোববার রাত ৯টায় প্রথম আলোকে বলেন, ওই দুই শিক্ষার্থীর বয়স কম হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি। তাদের মধ্যে মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। স্কুলের পক্ষ থেকে তাদের ওপর এই মানবিক শাস্তি আরোপ করা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিএনপি-জামায়াতপন্থী সকল প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা
কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিএনপি-জামায়াতপন্থী সকল প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার রাতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও আইনজীবী সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কাজী মফিজুল ইসলাম সমকালকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, এবারের নির্বাচনে ১৫টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিল না। মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই শেষে সকলের মানোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। সোমবার ছিল চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের সময়। তাই ১৫টি পদে একক প্রার্থী থাকায় তাদের বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
বিজয়ীরা হলেন, সভাপতি পদে মো. শহিদুল্লাহ, সহ-সভাপতি মো. নুরুল ইসলাম, মো. এরশাদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মিজানুর রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম মানিক, ট্রেজারার মো. মুজিবুল ইসলাম, লাইব্রেরি মোশাররফ হোসেন পাখি, এনরোলমেন্ট মো. শফিউল্লাহ, রিক্রিয়েশন মো. জহিরুল ইসলাম, আই.টি মো. সাইফুল ইসলাম এবং সদস্য পদে মো. ওবায়েদ উল্লাহ সরকার, মো. শরিফুল ইসলাম, মো. কামরুল হাসান সুমন, মু. সলিমুল্লাহ খান ও মো. মাসুদ।
১৭ ফেব্রুয়ারি এ নির্বাচনের তফসিল ঘোঘণা করা হয়। ঘোষিত তফসিল অনুসারে ৬ মার্চ এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঢালাওভাবে মামলার কারণে এ বছর আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি। আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান লিটন সমকালকে বলেন, গত বছরের ৩ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় মিছিলে হামলার অভিযোগে তাঁকে এবং সেক্রেটারিসহ এক সঙ্গে আওয়ামী লীগপন্থী ৩২ জন আইনজীবীকে আসামি করা হয়েছে। তাই মনোনয়নপত্র কিনতে আমরা আদালত চত্বরে যাওয়ার পরিবেশ পাইনি। আমাদের নিরাপত্তা নিয়েও সংশয় ছিল। তাই আমাদের কেউ ফরম আনতে যায়নি।
যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করে এ নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট কাজী মফিজুল ইসলাম বলেন, যারা টাকা জমা দিয়েছেন ও বৈধ ভোটার তারাই মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন। তারা (আওয়ামী লীগ) আদালতে আসলে মনোনয়ন ফরম নিতে পারতেন।