মিথ্যা অভিযোগের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে বিমান
Published: 24th, February 2025 GMT
দুবাইয়ের উদ্দেশে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া বিমানের বিজি ৩৪৭ নম্বর ফ্লাইট ভারতের মহারাষ্ট্রের নাগপুরে বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করায় চরম ভোগান্তির শিকার হন যাত্রীরা বলে অভিযোগ উঠেছে। এরইমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) যাত্রীদের ভোগান্তির বিষয়টি ছড়িয়ে পড়েছে। এ ফ্লাইটের এক নারীসহ চিৎকার করে ২ যাত্রীকে বলতে শোনা যায় বিমানের স্টাফরা কোন প্রকার খোজ খবর বা সহযোগিতা করেননি যাত্রীদের। এসময় ওই নারী যাত্রী চিৎকার করে বলেন, নাগপুর বিমানবন্দরে বিমানের ফ্লাইট থেকে নামতে না দেওয়ায় দীর্ঘ সময় আটকা থাকেন যাত্রীরা। এতে করে অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেক যাত্রী।
শুধু তাই নয় যাত্রীদের উদ্দেশে ওই নারী বলতে থাকেন আপনারা বিমানকে বয়কট করেন। এসময় ওই নারী যাত্রীর সঙ্গে সুর মিলিয়ে অপর এক পুরুষ যাত্রী নানা মন্তব্য করেন।
রোববার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাঠানো এক তথ্যে বলা হয়েছে, গত বুধবার রাত ৮টা ৪০ মিনিটে ৩৯৬ জন যাত্রী নিয়ে দুবাইয়ের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করে বিমানের একটি ফ্লাইট। যাত্রী ছাড়া বিমানের এ ফ্লাইটে ২২ টন কার্গো মালামাল ছিল। এ ছাড়া ২ জন বৈমানিকসহ ১২ জন বিমান স্টাফ ছিলেন বোয়িং ৭৭৭ উড়োজাহাজটিতে।
এ বিষয়ে বিমানের মহাব্যবস্থাপক জনসংযোগ কর্মকর্তা বোসরা ইসলাম সমকালকে জানান, ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে দুবাইয়ের উদ্দেশে ছাড়া বিমানের এ ফ্লাইটিট ভারতের মহারাষ্ট্র প্রদেশের নাগপুর শহর অতিক্রম করার সময় ক্যাপ্টেন পিছনের কার্গো কম্পার্টমেন্ট থেকে ককপিটে ফায়ার সতর্কীকরণ সংকেত পান। এসময় যাত্রীদের নৈশভোজ পরিবেশন করা হচ্ছিল। উক্ত ফ্লাইটের পাইলট-ইন-কমান্ড নিয়মানুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন এবং উড়োজাহাজ পরিচালনার দিক নির্দেশনা অনুযায়ী নিকটবর্তী ভারতের নাগপুরের ড.
তিনি বলেন, বৈমানিক নাগপুরে বিমান অবতরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণের পরই সকল যাত্রীকে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে নাগপুরে অবতরনের সিদ্ধান্তটি ইন-ফ্লাইট এনাউন্সের মাধ্যমে অবহিত করেন। ফ্লাইটটি নাগপুরে অবতরণের পর সকল যাত্রীদের উড়োজাহাজ থেকে নামিয়ে নেওয়া হয়। ৩৯৬ জন যাত্রী এবং ১২ ক্রুসহ সর্বমোট ৪০৮ জনকে বিমানবন্দরে যাত্রীদের জন্য ব্যবহৃত বেশ কয়েকটি বাসে করে উড়োজাহাজটি থেকে আনুমানিক অর্ধ কিলোমিটার দূরে নিয়ে যাওয়া হয়। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ১ ঘণ্টা ২০ মিনিটের বেশি সময় ওই ৪০৮ জনকে বিমানবন্দর টার্মিনালে নিয়ে যাবার অনুমতি দেয়। এসময় পানি এবং টয়লেট সুবিধার জন্য যাত্রীরা বার বার অনুরোধ করা সত্যেও ভারতের নাগপুর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা অনুমতির আনুষ্ঠানিকতার প্রসঙ্গ তুলে তা প্রদান করা থেকে বিরত থাকেন। এতে করে বিশেষভাবে বৃদ্ধ এবং নারী যাত্রীগণ সবচাইতে বেশি দুর্ভোগে পড়েন। পরবর্তীতে রাত ১টায় টার্মিনালে যাত্রীদের লাউঞ্জে নেওয়ার অনুমতি দেন।
ইতোমধ্যে ভারতের নাগপুর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে ই-মেইল এর মাধ্যমে যাত্রীদের সকালের নাশতা ও দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঢাকা থেকে নির্দেশনা প্রদান করা হয় এবং সেইসাথে আশ্বস্ত করা হয় যে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স যাত্রীদের সুবিধার্থে সব বিষয়ের যাবতীয় খরচ বহন করবে। নাগপুর কর্তৃপক্ষ অবহিত করেন, এই বিপুল সংখ্যক খাবার প্রস্তুতের জন্য তাঁদের ৩-৪ ঘণ্টা সময় প্রয়োজন। উল্লেখ্য, বোয়িং ৭৭৭ এর মত এত বৃহদাকার যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ ওই বিমানবন্দরে নিয়মিত চলাচল করে না। বিমানের যাত্রীদের হোটেলে পাঠানের জন্য অনুরোধ করা হলে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের অস্থায়ী ল্যান্ডিং পারমিট প্রদানে অপরাগতা প্রকাশ করে। একারণে বাধ্য হয়ে যাত্রীদের টার্মিনালেই থাকতে হয়।
যাত্রীদের দেখাশোনা করার জন্য বিমানের দিল্লিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত স্টেশন ম্যানেজারকে বলা হলে তিনি সেখানে ইনডিগো এয়ার-এ করে ৯টা ১৫ মিনিটে নাগপুরে পৌঁছান। আনুমানিক ভোর ৩টায় যাত্রীদেরকে পানি সরবরাহ করা হয়। সকাল ৭টায় পানি ও চা দেওয়া হয় এবং সকাল সাড়ে ১০টায় নাস্তা পরিবেশন করা হয়। নাগপুর ক্যাটারিং-এর সীমিত সক্ষমতা থাকার কারণে নাস্তা দিতে সময় বেশি লেগেছে।
বিমানের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, বিমানের এ ফ্লাইটের এক নারী যাত্রীর চিৎকার করে বলা ভোগান্তির বিষয়টি আদৌ সত্য নয়। এ বিষয়ে আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া ব্যবস্থা চলছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এ ফ ল ইট ব যবস থ র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
সোনারগাঁয়ে কৃষি জমির মাটি কাটা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের বানিয়াবাড়ি গ্রামে কৃষি জমির মাটি কাটা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারী) বিকালে কাজহরদী এলাকায় কৃষি জমির সামনে মানববন্ধনে এলাকার সর্বস্তরের জনগণ অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধন শেষে ইউএনওর কাছে তিন ফসলি জমি রক্ষায় স্মারকলিপি দেওয়ার কথা বলেন তারা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কোয়েস্ট গ্রুপ ও এলাকার অসাধু দালালরা মিলে তিন ফসলি জমির মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করে আসছে।
এতে দিন দিন এ অঞ্চলের কৃষি জমি বিলীন হয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি তারা সাদিপুর ইউনিয়নের পঞ্চমীঘাট মৌজার অসংখ্য কৃষি জমির মাটি কেটে বিক্রি করছে পার্শ্ববর্তী ইটভাটায়। বাঁধা দিলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তারা।
এসময় কৃষি জমি রক্ষায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এসময় বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জজ কোর্টের এপিপি এডভোকেট আল আমিন শাহ, স্থানীয় কৃষক বিল্লাল হোসেন, হযরত আলী মাতব্বর, হাসমত আলী, গোলজার হোসেন, রাজু সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁ উপজেলা কাঁচপুর রাজস্ব সার্কেল এর সহকারী কমিশনার (ভূমি) সেগুফতা মেহনাজ কে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি রিসিভ করেননি।