বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ বলেছেন, বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক পারস্পরিক কল্যাণের ভিত্তিতে বিকশিত হচ্ছে। উভয়ের অর্থনৈতিক উন্নতিতে দুই দেশ কাজ করছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পর্যটন খাতেও উভয় দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার হচ্ছে।

আজ সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সেমিনারে উপস্থিত হয়ে সৈয়দ আহমেদ মারুফ এ কথা বলেন। ‘রিসেন্ট ডাইনামিকস অব পাকিস্তান-বাংলাদেশ রিলেশনস’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করেছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতিবিজ্ঞান বিভাগ। সমাজবিজ্ঞান অনুষদের মিলনায়তনে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। রাজনীতি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মাহফুজ পারভেজ সেমিনারের সভাপতিত্ব করেন।

হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ বলেন, সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক আরও মজবুত হবে বলে তাঁরা আশাবাদী। তাঁরা এ অঞ্চলের শান্তি, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতার জন্য একযোগে কাজ করতে চান। তাঁরা ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে পারস্পরিক স্বার্থে বর্তমান ও আগামীর পথে চলতে চান।

গত কয়েক মাসে দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করেছেন উল্লেখ করে হাইকমিশনার বলেন, ‘আমার প্রধান লক্ষ্য হলো দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের উন্নয়ন। গত কয়েক মাসে এ সম্পর্ক উন্নয়নে আমরা অনেকগুলো কাজ করেছি। পাকিস্তানে যেতে ভিসার জন্য হাইকমিশনে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না।’

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম চালু হয়েছে উল্লেখ করে হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য পাকিস্তান ৩০০ স্কলারশিপ প্রোগ্রাম চালু করেছে। শিক্ষার্থীরা ওয়েবসাইটে যোগাযোগ করে পূর্ণ অর্থায়নের এই স্কলারশিপের বিষয়ে জানতে পারবেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এনায়েত উল্যা পাটওয়ারী অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো.

আলাউদ্দিন মজুমদার, রাজনীতিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ভূঁইয়া মো. মনোয়ার কবির, সহযোগী অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন মিজি, আক্কাস আহমদ, এ জি এম নিয়াজ উদ্দিন, মো. বখতেয়ার উদ্দিন, নৃবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেন, অধ্যাপক এন এম সাজ্জাদুল হক প্রমুখ।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন য ক জ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কারাগার থেকে পালানোর খবরে মধ্যরাতে বুয়েটের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মুনতাসির আল জেমি কারাগার থেকে পালিয়েছেন—এ খবর সামনে আসার পর প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির কয়েক শ শিক্ষার্থী।

সোমবার রাত ১১টার দিকে বুয়েট শহীদ মিনার থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল প্রদক্ষিণ করে। পরে দিবাগত রাত ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে এসে সংবাদ সম্মেলন করেন বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা।

রাজু ভাস্কর্যে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বুয়েটের ১৯তম ব্যাচের দুই শিক্ষার্থী—আবু ওবাইদা মায়াজ ও আরাফাত সাকিব। তাঁরা বলেন, ২৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে আপিল ও ডেথ রেফারেন্স শুনানির শেষাংশে বিচারপতি জানান, আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মুনতাসির আল জেমি গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে পলাতক থাকায় তাঁর পক্ষে কোনো আইনজীবী লড়ছেন না। এই দৃষ্টান্ত শহীদ আবরার ফাহাদের সঙ্গে প্রতারণা এবং বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার ইতিহাসে নিকৃষ্ট দৃষ্টান্ত।

শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলনের পর কথা বলেন আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ