সাংবাদিক সাজু হোসেন গুরুতর অসুস্থ্য, দোয়া কামনা
Published: 24th, February 2025 GMT
গত ১৫ ফেব্রয়ারী ব্রেনষ্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে দৈনিক নয়া দিগন্ত মাল্টিমিডিয়ার নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি সাজু হোসেন ঢাকার নিঊরো সাইন্স হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গিয়ে জানতে পারে তিনি কোন প্রকারের ব্রেনষ্ট্রোকে আক্রান্ত হয়নি।
পরবর্তীতে নারায়ণগঞ্জ পপুলার ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের অধ্যাপক জাহেদ আলীর স্বরনাপপ্ন্ন হলে তার ব্রেনের এম, আর, আই করালে মারাত্নক ব্রেনষ্ট্রোক ধরা পরলে বর্তমানে সাজু হোসেন চিকিৎসকের পরামর্শে ফিজিও থেরাপী চিকিৎসা চলমান রেখেছেন। বর্তমানে সে তার নিজ বাড়িতে আবস্থান করছেন।
জানা গেছে তিনি গত ১৪ ফ্রেবয়ারী রাতে ঘুমিয়ে পরদিন সকালে ঊঠে তার ডান হাত ও ডান পায়ে কোন ধরনের শক্তি পায়না। এরপর দিন সে রাজধানী ঢাকার নিঊরো সাইন্স হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসার পর জানতে পারে সে মারাত্নক ব্রেনষ্ট্রোকে আকান্ত।
সাংবাদিক সাজু হোসেন বর্তমানে দৈনিক নয়া দিগন্ত মাল্টিমিডিয়ার নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি ও দেনিক আজকের নীর বাংলা পত্রিকার ষ্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত আছে। সে তার এক স্ত্রী ও মাকে নিয়ে পশ্চিম দেওভোগ বাংলাবাজার ব্যাংক কলোনী এলাকার একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। তার সুস্থ্যতায় পরিবারের পক্ষ থেকে সকলের নিকট দোয়া কামনা করা হয়েছে।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
রূপগঞ্জে সাবেক মন্ত্রী পুত্রের পিএস ও একাধিক মামলার পলাতক আসামি হিরা গ্রেফতার
নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজীর ছেলে, রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি গোলাম মতুর্জা পাপ্পার একান্ত সহকারী (পিএস) কামরুজ্জামান হিরাকে (৪৬) গ্রেফতার করা হয়েছে।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকার রমনা এলাকা থেকে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তাকে গ্রেফতার করে রূপগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের জেষ্ঠ্য সহকারী পুলিশ সুপার ( গ সার্কেল) মেহেদী ইসলাম।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রূপগঞ্জে কামরুজ্জামান হিরা ছিল সাধারণ মানুষের জন্য মুর্তিমান আতঙ্কের নাম। গোলাম দস্তগীর গাজীর ছেলে গোলাম মর্তুজা পাপ্পার ছত্রছায়ায় কামরুজ্জামান হিরা রূপগঞ্জে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয়, জমি দখলসহ নানা অপরাধ কর্মকান্ড চালাতো।
রূপগঞ্জের কিশোরগ্যাং চলতো তার নিয়ন্ত্রণে। হিরা কিশোর ও যুবক বয়সী ছেলেদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়াতে তাদের হাতে অস্ত্র ও মাদক তুলে দিতো। ২০১৭ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি পল্টনে সাবেক মন্ত্রী গাজীর ব্যাবসায়িক কার্যালয়ে গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মোশারফ হোসেনের পেটে গুলি করে হিরা।
এ ঘটনায় পল্টনের তৎকালীন ওসি রফিকুল ইসলাম হিরাসহ চারজনকে গ্রেফতার করে। ২০২০ সালের ৫ জানুয়ারি ভুলতা এলাকার ডায়মন্ড ব্রিকস টাইলস প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজির সময় হিরাসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
ওই সময় মন্ত্রী গণমাধ্যমে প্রেস রিলিজ পাঠিয়ে হিরার সঙ্গে তাঁদের সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেন। তবে কয়েকদিন কারাগারে থাকার পর জামিনে বের হয়ে আবারো হিরা তার সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালাতে থাকে।
নিরীহদের জমিতে জোরপূর্বক বালু ভরাট, আবাসন ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ, পরিবহণ চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি থেকে শুরু করে রূপগঞ্জে সকল সেক্টরের ছিল তার অবাধ বিচরণ। সাধারণ মানুষের কাছে হীরা কাচঁকাটা হিরা ও ডন হিরা নামেও পরিচিত। গত ৫ আগষ্টের পর থেকে হিরা পলাতক ছিল।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের জেষ্ঠ্য সহকারী পুলিশ সুপার (গ সার্কেল) মেহেদী ইসলাম জানান, গোয়েন্দা পুলিশ হিরাকে গ্রেফতারের পর রূপগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছে। তার বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনসহ বেশকয়েকটি মামলা রয়েছে। সে দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিল।