চসিকের একুশে স্মারক সম্মাননা ও সাহিত্য পুরস্কার পাচ্ছেন ১৪ জন
Published: 24th, February 2025 GMT
এ বছর একুশে স্মারক সম্মাননা পদক এবং সাহিত্য পুরস্কারের জন্য ১৪ জনের নাম ঘোষণা করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (সিসিসি)।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে করপোরেশনের জনসংযোগ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মনোনীতদের নাম ঘোষণা করা হয়।
এর মধ্যে আটজনকে একুশে স্মারক সম্মাননা পদক এবং ছয়জনকে সাহিত্য পুরস্কার দেওয়া হবে।
এবার একুশে স্মারক সম্মাননা পাচ্ছেন ভাষা আন্দোলনে বদিউল আলম চৌধুরী (মরণোত্তর), সমাজসেবা ও গবেষণায় ড.
এ ছাড়া সাহিত্য পুরস্কারের জন্য মনোনীতরা হলেন- কথাসাহিত্যে অধ্যাপক আসহাব উদ্দীন (মরণোত্তর), প্রবন্ধ ও গবেষণায় অধ্যাপক ড. সলিমুল্লাহ খান, শিশুসাহিত্যে মিজানুর রহমান শামীম, শিশু-চিকিৎসাসাহিত্যে অধ্যাপক ডা. প্রণব কুমার চৌধুরী, কবিতায় জিললুর রহমান এবং অনুবাদে ফারজানা রহমান শিমু।
বুধবার বিকাল ৪টায় নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেশিয়াম মাঠে অমর একুশে বইমেলা মঞ্চে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে সম্মাননা স্মারক ও পুরস্কার।
ঢাকা/রেজাউল/এনএইচ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মধ্যরাতে বুয়েট শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
ছাত্রলীগের হাতে নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে নিহত শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের হত্যাকারী ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মুনতাসির আল জেমির কারাগারের কনডেম সেল থেকে পলায়নের ঘটনায় গভীর রাতে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ক্যাম্পাস। হত্যাকারী জেমির গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ করেন বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সোমবার রাত সাড়ে ১১টায় শিক্ষার্থীরা বুয়েটের শহীদ মিনার থেকে মিছিল বের করেন।
মিছিলটি পলাশী মোড়, ভিসি চত্বর হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সমাবেশে মিলিত হয়। সেখানে সংবাদ সম্মেলন করেন তারা। এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘ফাঁসির দড়ি ঝুলাই দে, সব খুনিদের গর্দানে’; ‘ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, খুনিদের ফাঁসি চাই’; ‘আবরার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেবো না’সহ নানা স্লোগান দিতে থাকেন। পলাতক জেমি বুয়েটের মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্টের ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।
সূত্র জানায়, বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জেমি কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পালান। মামলার এই ৩ নম্বর আসামি গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের এক দিন পর পালান। কিন্তু বিষয়টি এত দিন গোপন ছিল। জেমির বাড়ি ময়মনসিংহ।
এ প্রসঙ্গে কারা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. জান্নাত-উল ফরহাদ বলেন, এ ঘটনায় ৬ আগস্ট কারা অধিদপ্তর কোনাবাড়ী থানায় মামলা করেছে।
সোমবার সন্ধ্যায় জেমির জেল পালানোর ঘটনাটি নিজের ফেসবুক আইডিতে জানান আবরারের ছোট ভাই ফাইয়াজ। বিষয়টি আদালত ও বাদীপক্ষকে জানানো হয়েছে বলেও দাবি করেন।
আবরার ফাইয়াজ লেখেন, ‘আবরার ফাহাদ হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জেমি জেলখানা থেকে পালিয়ে গেছে ৫ আগস্টের পর। অথচ আমাদের জানানো হচ্ছে আজ, যখন ওর আইনজীবী কোনো যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করতে আসেননি তখন।’ তিনি লিখেছেন, ‘ফাঁসির আসামির তো কনডেম সেলে থাকার কথা ছিল, সে পালায় কীভাবে! পালানোর পরও এ তথ্য বাইরে না আসা তো এটাই প্রমাণ করে যে, তাকে ধরতেও কোনো চেষ্টা করা হয়নি। পূর্ব থেকেই আরও তিনজন পলাতক।’