নির্বাচিত সরকার আসা পর্যন্ত সেনাবাহিনীকে ধৈর্যের সঙ্গে কাজ করে যেতে হবে
Published: 24th, February 2025 GMT
দেশে নির্বাচিত সরকার ও শৃঙ্খলা ফিরে আসার আগপর্যন্ত সেনাবাহিনীকে ধৈর্যের সঙ্গে কাজ করে যেতে হবে। পেশাদারত্বের মাধ্যমে এ কাজ করতে হবে।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সাভার সেনানিবাসে ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ফায়ারিং প্রতিযোগিতা-২০২৫’–এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। অনুষ্ঠানে তিনি ফায়ারিং প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান তার বক্তব্যে বলেন, ‘‘আমরা মনে করেছিলাম তাড়াতাড়ি সেনানিবাসে ফেরত আসতে পারব। কিন্তু কাজটা দীর্ঘায়িত হচ্ছে। আমি জানি যে বহুদিন ধরে এই কাজটা করে যাচ্ছি। ধৈর্য রাখতে হবে এবং পেশাদারত্বের মাধ্যমে কাজটা করে যেতে হবে। দেশ ও জাতির জন্য এই সার্ভিসটা (সেবা) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’’
‘‘দেশ ও জাতির জন্য আমাদের কাজ করে যেতে হবে। যত দিন না আমরা একটা নির্বাচিত সরকার না পেয়ে যাই, দেশ একটা শান্তি-শৃঙ্খলার মধ্যে আসে, তত দিন পর্যন্ত এই কাজটা ধৈর্যের সঙ্গে করে যেতে হবে। কোনো উচ্ছৃঙ্খল কাজ করা যাবে না। এদিকে আমাদের নজর রাখতে হবে। বল প্রয়োগ করা যাবে না। মাঝে মাঝে এ কাজগুলো করতে যেয়ে কিছু বল প্রয়োগ হয়ে যায়।.
এদিকে, আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, ১৮ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনীর সদর দপ্তর ৯ পদাতিক ডিভিশনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এই ফায়ারিং প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সেনাবাহিনীর সব ফরমেশন, লজিস্টিকস এরিয়া, ৫টি স্বতন্ত্র ব্রিগেড ও প্যারা কমান্ডো ব্রিগেডসহ মোট ১৭টি দল অংশ নেয়। ফায়ারিং প্রতিযোগিতায় ৩৩ পদাতিক ডিভিশন চ্যাম্পিয়ন ও ৭ স্বতন্ত্র এডিএ ব্রিগেড রানারআপ হয়।
আইএসপিআর জানায়, ফায়ারিং প্রতিযোগিতায় ১১ পদাতিক ডিভিশনের সৈনিক মো. রাজু সরদার শ্রেষ্ঠ ফায়ারার, ৬ স্বতন্ত্র এডিএ ব্রিগেডের সৈনিক (ওসিইউ) মো. জুবায়ের আলী দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ ফায়ারার ও ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের লেফটেন্যান্ট সামিয়া রহমান শ্রেষ্ঠ নারী ফায়ারার হওয়ার গৌরব অর্জন করেন।
সিএএস ট্রফি ফায়ারিং প্রতিযোগিতা–২০২৪–এর মাইনর ইউনিটগুলোর মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হয় অ্যাডহক ৪৭ মর্টার রেজিমেন্ট আর্টিলারি, রানারআপ হয় সদর দপ্তর ১০৫ পদাতিক ব্রিগেড এবং মেজর ইউনিটগুলোর মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হয় ১ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট, রানারআপ হয় ২৯ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট। ব্যক্তিগতভাবে ছয়জন শ্রেষ্ঠ ফায়ারার হন। সেনাপ্রধান সবার হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে সেনা কর্মকর্তা, সেনাসদস্য ও গণমাধ্যম ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/সাব্বির/এনএইচ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন ষ ঠ ক জ কর
এছাড়াও পড়ুন:
যৌথ অভিযানে এক সপ্তাহে গ্রেপ্তার ২৮০, জানাল আইএসপিআর
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গত এক সপ্তাহে ২৮০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। গত ২০-২৬ মার্চ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের অধীন ইউনিটগুলো অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে এসব অভিযান চালায়। শুক্রবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আইএসপিআর জানায়, দেশের চলমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে দেশব্যাপী পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করে চলেছে সেনাবাহিনী। এরই ধারাবাহিকতায় যৌথ অভিযানে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, একাধিক মামলার আসামি, ডাকাত দলের সদস্য, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী, ভেজাল খাবার প্রস্তুতকারী, কিশোর গ্যাং সদস্য, জুলাই হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত এবং মাদক কারবারিসহ ২৮০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তাদের কাছ থেকে ১০টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ১৪৩টি বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ, ককটেল, মাদকদ্রব্য, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত দেশি-বিদেশি অস্ত্র, পাসপোর্ট, চোরাই মোবাইল ফোন, ট্যাব, সিমকার্ড, স্বর্ণালংকার, ট্রলার, মোটরসাইকেল, ট্রাক, ড্রেজার, ভেকু, এক্সক্যাভেটর, ডাম্পার ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়। আটক ব্যক্তিদের প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ এবং আইনি কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নির্বিঘ্নে সড়কে যান চলাচল নিশ্চিত এবং টিকিট কালোবাজারি রোধে সেনাবাহিনী বিশেষ টহলের ব্যবস্থা করেছে। কোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।