রমজানে নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা
Published: 24th, February 2025 GMT
আসন্ন পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর এলাকার সার্বিক নিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার ডিএমপি সদরদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এ সভায় সভাপতিত্ব করেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
সভায় ঢাকা মহানগর এলাকার ব্যাংক, বিপণিবিতান, শপিংমলের নিরাপত্তা; সড়ক, ভেজাল খাদ্যদ্রব্য ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণসহ সার্বিক নিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
ব্যবসায়ী নেতাদের উদ্দেশে ডিএমপি কমিশনার বলেন, রমজান উপলক্ষে নানা অজুহাতে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ানো হয়। দ্রব্যমূল্যের দাম যাতে বৃদ্ধি না হয়, সেই দিকে সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। প্রতিটি শপিংমলের সামনে এবং আশপাশে স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েন করা হবে। প্রতিটি মার্কেটে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে। বড় ক্যাশ বা মূল্যবান জিনিস বহনে পুলিশের সহায়তা, অর্থাৎ স্কট সেবা নিতে হবে।
উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, মাহে রমজান উপলক্ষে ছিনতাই, টানাপার্টি, চাঁদাবাজি, অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টির অপতৎপরতা রোধে পুলিশি টহল আরও জোরদার করতে হবে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা শহরের অন্যতম সমস্যা হচ্ছে যানজট। রমজানে যানজট নিরসনে ডিএমপির ট্রাফিক ও ক্রাইম বিভাগের পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন থাকবে। সবাইকে ট্রাফিক আইন মেনে চলার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।
সমন্বয় সভায় যুগ্ম কমিশনার (অপারেশনস) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে সার্বিক নিরাপত্তা পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: রমজ ন ড এমপ রমজ ন ব যবস ড এমপ
এছাড়াও পড়ুন:
সোনারগাঁ জাদুঘরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে চলছে বৈশাখীমেলা
প্রাচীন বাংলার রাজধানী ঐতিহাসিক সোনারগাঁয়ে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের সুবর্ণ জয়ন্তী ও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ১৫ দিনব্যাপী বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
গত সোমবার (১৪ এপ্রিল) বৈশাখের সকালে লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন প্রাঙ্গণে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মিজ ইলিয়া সুমনা এ মেলার উদ্বোধন করেন। আগামী ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে এ মেলা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ফাউন্ডেশনের পরিচালক কাজী মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, জাতীয় কারুশিল্প পরিষদের সভাপতি ও বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালনা বোর্ডের সদস্য চন্দ্র শেখর সাহা, সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা রহমান প্রমুখ। এ সময় বিপুল সংখ্যক দেশী ও বিদেশি দর্শণার্থী উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক কাজী মাহবুবুল আলম বলেন, বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রার মাধ্যমে এ উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। পাশাপাশি ফাউন্ডেশনের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব পালিত হয়। এ উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে জামদানি, শতরঞ্জি, নকশিকাঁথা, মৃৎশিল্প, দারুশিল্প, হাতপাখা, কাঠখোদাই শিল্প, পটচিত্রশিল্প, শোলা শিল্প, বাঁশ-বেত শিল্প এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কারুশিল্পীদের সৃষ্টিশীল কর্মের উপস্থাপন এবং বিপণনের সুযোগ রয়েছে।
এছাড়াও উৎসব চলাকালীন প্রতিদিনই থাকবে বাউল গান ও লোকজ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পুতুলনাচ, হালখাতা, বায়স্কোপ, সাপের খেলা, নাগরদোলাসহ গ্রামীণ বিনোদনের নানা আয়োজন। থাকছে হারিয়ে যাওয়া গ্রামীণ খেলা—তিন গুটি, সাত গুটি, বাঘবন্দ, কানামাছি, গোল্লাছুট, বউচি ও কপাল টোক্কা। আর রসনা তৃপ্তির জন্য থাকবে মুখরোচক সব বাঙালি খাবার।
নববর্ষের মেলা উপলক্ষে ফাউন্ডেশনের প্রধান ফটক থেকে শুরু করে উৎসব প্রাঙ্গণ পর্যন্ত রঙ-বেরঙের বাতি ও বিভিন্ন প্রাচীন মোটিফ দিয়ে সাজানো হয়েছে ফাউন্ডেশন চত্বর। তাছাড়া বিভিন্ন সড়কে ভ্রাম্যমাণ গাড়িতে চলছে বৈশাখী প্রচারণা এবং ফাউন্ডেশন চত্বরে থাকছে জমকালো আয়োজন ও লোকজ মঞ্চে থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।