ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদের উদ্যোগে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র বসন্ত উৎসব উদযাপন করা হয়েছে। 

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) এ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, গ্রামীণ লোকজ মেলা, পুতুলনাচ, বায়োস্কোপ প্রদর্শনী, আলোচনা সভা, গুণীজন সম্মাননা প্রদানসহ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদের মডারেটর ড.

রাশেদা রওনক খানের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান। সভায় মুখ্য আলোচক ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচ্যকলা বিভাগের অনারারি অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস সাত্তার।

আরো পড়ুন:

২৫ ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালনের ঘোষণা

ঢাবি উপাচার্যের সঙ্গে ইরানি কূটনীতিকের সাক্ষাৎ

উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, “সাংস্কৃতিক উৎসব আমাদের ঐতিহ্যের অংশ। এ ধরনের উৎসব সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। বর্তমানে আমরা একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছি। এ সময় সামাজিক বিভাজন দূর করতে দেশের সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে।”

অনুষ্ঠানে চলচ্চিত্র নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিম, অভিনয় ও নৃত্যশিল্পী সাদিয়া ইসলাম মৌ এবং সংগীতশিল্পী কাজী কৃষ্ণকলি ইসলামকে গুণীজন সম্মাননা দেওয়া হয়। 

পরে জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘বায়োস্কোপ’ এবং গানের দল ‘কৃষ্ণকলি’ সংগীত পরিবেশন করে। 

এ ব্যাপারে সংগঠনের সভাপতি নাফিয়া ফারজানা অমিয়া ও সাধারণ সম্পাদক রওনক জাহান রাকামনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ বরাবরই দেশীয় সংস্কৃতিকে ধারণ ও লালন করতে তৎপর। তারই অন্যতম উদাহরণ আমাদের এই বসন্ত উৎসব। তরুণ প্রজন্মকে দেশীয় সংস্কৃতির সঙ্গে একীভূত করার আমাদের এই প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

যাদুকাটা নদীতে স্নান লাখো পুণ্যার্থীর

‘চৈত্র মাসে মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশী তিথিতে যাদুকাটায় এসে স্নান করলে সব পাপ মোচন হয়। এ জন্য এখানে এসেছি গঙ্গাস্নান করে পুণ্যলাভ করতে’– বলছিলেন সূর্য্যেরগাঁও গ্রামের অনির্বাণ দাস। 
স্নানের পাশাপাশি নদীতে বাবার অস্থি বিসর্জন দিয়েছেন বলে জানিয়ে অনির্বাণ বলেন, ‘পরিবারের সবাই এক হয়ে পণাতীর্থে গঙ্গাস্নান করতে এসেছি। গঙ্গাস্নানের পাশাপাশি অনেকে এখানে আসেন মা, বাবা, আত্মীয়স্বজনের অস্থি বিসর্জন দিতে। আমিও বাবার অস্থি বিসর্জন দিতে এসেছি।’ 
অপর পুণ্যার্থী শ্যামল বর্মণ বলেন, চৈত্র মাসের মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশী তিথিতে গঙ্গা, যমুনা, সরস্বতীসহ সাত পুণ্য নদীর প্রবাহ একসঙ্গে যাদুকাটায় এসে মিলিত হওয়ায় নদীর জল পবিত্র হয়ে ওঠে। 
তেরীগাঁও গ্রামের বাসিন্দা শিতেশ পাল বলেন, কেউ যান লাঙ্গলবন্দে, কেউ ভারতের গঙ্গায় আর কেউ মনে করেন সব তীর্থের সেরা তীর্থ পণাতীর্থ।
গত বুধবার রাত ১১টা ১ মিনিট থেকে বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ২৪ মিনিট পর্যন্ত মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশী তিথিতে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের বাদাঘাট ইউনিয়নের যাদুকাটা নদীতে দুই দিনব্যাপী এ গঙ্গাস্নান চলে। এ উপলক্ষে উপজেলার রাজারগাঁও অদ্বৈত প্রভুর জন্মধামসংলগ্ন যাদুকাটা নদীতে লাখো মানুষের ঢল নামে। এ উপলক্ষে এলাকায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে বিরাজ করে উৎসবের আমেজ। বুধবার সকাল থেকেই লাখো মানুষ অদ্বৈত প্রভুর আখড়া, গড়কাটি ইসকন মন্দির এবং নদীর তীরে অবস্থান নেন। রাজারগাঁও আখড়াবাড়ি ও যাদুকাটা নদীর উভয় তীরে বালুর চরে বসে মাটির খেলনা, খাদ্যসামগ্রীর দোকান। 
অদ্বৈত জন্মধাম পরিচালনা কমিটির সভাপতি করুণা সিন্ধু চৌধুরী বলেন, দু’দিন আগে থেকেই উৎসবে আসা পুণ্যার্থীরা এখানে অবস্থান করে গঙ্গাস্নান সম্পন্ন করেছেন।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দেশে দেশে ঈদ
  • ঈদ ঘিরে কাপড়ের ব্যবসায় মন্দাভাব
  • উৎসবের অর্থনীতি
  • যাদুকাটা নদীতে স্নান লাখো পুণ্যার্থীর
  • ১ টাকায় ঈদের নতুন পোশাক
  • রাজধানীতে ‘মেহেন্দি বাই মিমি’ আয়োজিত ‘ঈদ মেহেদী ফেস্ট’  
  • ঈদ আনন্দের কুশীলব
  • ৭০০ ব্যান্ডের নিলাম: বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগের জবাব দিল সরকার
  • ঈদ উৎসবে ছেলেদের ফেসিয়াল
  • এমন মানুষ জন্মেছিলেন বলে আমরা যেকোনো দুঃসময়ে দাঁড়িয়েও স্বপ্ন দেখতে পারি