দেশের বাজারে ডুলাক্স ব্র্যান্ডের সর্বাধুনিক রং ও প্রযুক্তিনির্ভর পেইন্ট সলিউশন নিয়ে এসেছে নেদারল্যান্ডসের বহুজাতিক রং প্রস্তুতকারক কোম্পানি অ্যাকজোনোবেল। গ্রাহকের প্রয়োজন অনুসারে ডুলাক্সের তিন ধরনের নতুন রং বাজারে পাওয়া যাবে।

রাজধানীর একটি হোটেলে আজ সোমবার আয়োজিত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই নতুন পণ্যের উন্মোচন করা হয়। বাংলাদেশে ডুলাক্সের উৎপাদক ও পরিবেশক এসিআই ফর্মুলেশনস। এটি এসিআই গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসিআই জানিয়েছে, এই উদ্যোগের মাধ্যমে দেশের আবাসন ও স্থাপত্যশিল্পে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা হতে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে বাজারে এখন থেকে দীর্ঘস্থায়ী, পরিবেশবান্ধব ও উন্নতমানের রঙের প্রাধান্য থাকবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন এসিআই ফর্মুলেশনসের এমডি সুস্মিতা আনিস, এসিআই কনজ্যুমার ব্র্যান্ডসের চিফ বিজনেস অফিসার মো.

কমরুল হাসান, ডিস্ট্রিবিউশন ও এক্সপোর্ট বিভাগের প্রধান শিশির দে ও বিজনেস ডিরেক্টর সৈয়দ সালাহউদ্দিন আবু নাসের।

এসিআই জানিয়েছে, বাজারে আসা ডুলাক্সের নতুন পণ্য তিনটি বাংলাদেশের রংশিল্পে নতুন মাত্রা যোগ করবে। এর মধ্যে সুপার প্রিমিয়াম টপকোটের ‘ডুলাক্স ভেলভেট টাচ ডায়মন্ড গ্লো’ রংটি উন্নত শিন ও মসৃণতার নিশ্চয়তা দেয়। আর ‘ডুলাক্স প্রমিজ স্মার্ট চয়েস ইন্টেরিয়র’ রংটি সাশ্রয়ী, তবে উচ্চমানের ইন্টেরিয়র পেইন্ট। এ ছাড়া ডুলাক্স ওয়েদারশিল্ড প্রিমিকোট রংটি উচ্চ কার্যক্ষমতাসম্পন্ন প্রাইমার, যা দীর্ঘস্থায়ী, উচ্চ কভারেজ ও অ্যালকালি–প্রতিরোধী বৈশিষ্ট্য নিশ্চিত করে।

এসিআই ফর্মুলেশনস লিমিটেডের এমডি সুস্মিতা আনিস বলেন, ‘ডুলাক্সের নতুন প্রোডাক্ট লাইনআপ আমাদের রংশিল্পে নতুন মানদণ্ড স্থাপন করবে। উন্নত প্রযুক্তি ও গুণগত মানের সমন্বয়ে আমরা এমন পেইন্ট সলিউশন দিচ্ছি, যা সময়ের চাহিদা মেটাতে সক্ষম।’

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থপতি, প্রকৌশলী, শিল্পবিশেষজ্ঞ ও ব্যবসায়িক অংশীদারেরা। তাঁরা বাংলাদেশে ডুলাক্সের সম্প্রসারণ পরিকল্পনা, টেকসই নগর উন্নয়নে ভূমিকা ও স্থাপত্যশিল্পে সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করেন।

অনুষ্ঠানের শেষে ডুলাক্সের ডিলার, স্থপতি ও ব্যবসায়িক নেতাদের সঙ্গে এক বিশেষ নেটওয়ার্কিং সেশন অনুষ্ঠিত হয়। এসিআই জানিয়েছে, এই নতুন সূচনার মাধ্যমে অ্যাকজোনোবেল বাংলাদেশের রংশিল্পে তার নেতৃত্বকে আরও সুদৃঢ় করল। এই উদ্যোগের মাধ্যমে ডুলাক্স বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান নগরায়ণ ও স্থাপত্যশিল্পের চাহিদা মেটাতে ভূমিকা রাখবে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন

এছাড়াও পড়ুন:

গণতান্ত্রিক সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত বিজয়কে ভূলুণ্ঠিত করা হয়েছে: আলী রীয়াজ 

গণতান্ত্রিক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অর্জিত বিজয়কে বিভিন্নভাবে ভূলুণ্ঠিত করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেছেন, এ দেশের ইতিহাসে গণতন্ত্রের আকাঙ্খা বারবার পর্যদুস্ত হয়ে একটি ব্যক্তিতান্ত্রিক শাসনে পরিণত হয়। গণতন্ত্রের সংগ্রামের মাধ্যমে যে বিজয় অর্জিত হয়েছে বিভিন্নভাবে সে বিজয়কে ভূলন্ঠিত করা হয়েছে। 

শনিবার ঢাকায় সংসদ ভবনের এল ডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আলোচনার শুরুতে অধ্যাপক আলী রীয়াজ এসব কথা বলেন। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা পবন চৌধুরীর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে। বৈঠকে কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. ইফতেখারুজ্জামান এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতারা গত ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদ শাসনকে পরাভূত করে বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি উজ্জ্বল অধ্যায় রচনা করতে অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করেছে দাবি করে দলটির উদ্দেশে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, দীর্ঘদিনের যে ফ্যাসিবাদী শাসন জগদ্দল পাথরের মতো আমাদের বুকের উপর বসে ছিল, তার বিরুদ্ধে জীবনবাজি রেখে লড়াই, অকুতোভয় সংগ্রাম এবং আপনাদের সাথীদের প্রাণ বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সে শাসনকে পরাস্ত করতে পেরেছেন। একটি ফ্যাসিবাদী শাসনকে পলায়ন করতে বাধ্য করেছেন যা বাংলাদেশকে রাষ্ট্র সংস্কারের দিকে অগ্রসর করেছে। তিনি বলেন, এখন সকলে মিলে নতুন বাংলাদেশ গড়ার সময় এসেছে। ফ্যাসিবাদ যেন আর কখনও এ দেশে ফিরে না আসে, রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো যেন স্থায়ী রূপ নেয়, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়, গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং সব রকমের নিপীড়ন যেন আমরা প্রতিহত করতে পারি। 

আলোচনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দলে দলটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন ছাড়াও ছিলেন সামান্তা শারমিন, হাসনাত আব্দুল্লাহ, নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী, সারোয়ার তুষার, জাভেদ রাসিন ও নাহিদা সারোয়ার নিভা। 

উল্লেখ্য, প্রথম পর্যায়ে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লেখিত গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ওপর রাজনৈতিক দলগুলোর সুনির্দিষ্ট মতামত জানাতে অনুরোধ করে সুপারিশগুলো স্প্রেডশিট আকারে ৩৯টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়। এ পর্যন্ত সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ৩৫টি দলের কাছ থেকে মতামত পেয়েছে। ২৩ মার্চ জাতীয় নাগরিক পার্টি কমিশন বরাবর তাদের মতামত জমা দেয়। সে প্রেক্ষিতে দলটির সঙ্গে আজ আলোচনায় বসে কমিশন। দিনব্যাপী এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ