বাংলাদেশের বাজারে ডুলাক্সের রং আনল এসিআই
Published: 24th, February 2025 GMT
দেশের বাজারে ডুলাক্স ব্র্যান্ডের সর্বাধুনিক রং ও প্রযুক্তিনির্ভর পেইন্ট সলিউশন নিয়ে এসেছে নেদারল্যান্ডসের বহুজাতিক রং প্রস্তুতকারক কোম্পানি অ্যাকজোনোবেল। গ্রাহকের প্রয়োজন অনুসারে ডুলাক্সের তিন ধরনের নতুন রং বাজারে পাওয়া যাবে।
রাজধানীর একটি হোটেলে আজ সোমবার আয়োজিত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই নতুন পণ্যের উন্মোচন করা হয়। বাংলাদেশে ডুলাক্সের উৎপাদক ও পরিবেশক এসিআই ফর্মুলেশনস। এটি এসিআই গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসিআই জানিয়েছে, এই উদ্যোগের মাধ্যমে দেশের আবাসন ও স্থাপত্যশিল্পে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা হতে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে বাজারে এখন থেকে দীর্ঘস্থায়ী, পরিবেশবান্ধব ও উন্নতমানের রঙের প্রাধান্য থাকবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন এসিআই ফর্মুলেশনসের এমডি সুস্মিতা আনিস, এসিআই কনজ্যুমার ব্র্যান্ডসের চিফ বিজনেস অফিসার মো.
এসিআই জানিয়েছে, বাজারে আসা ডুলাক্সের নতুন পণ্য তিনটি বাংলাদেশের রংশিল্পে নতুন মাত্রা যোগ করবে। এর মধ্যে সুপার প্রিমিয়াম টপকোটের ‘ডুলাক্স ভেলভেট টাচ ডায়মন্ড গ্লো’ রংটি উন্নত শিন ও মসৃণতার নিশ্চয়তা দেয়। আর ‘ডুলাক্স প্রমিজ স্মার্ট চয়েস ইন্টেরিয়র’ রংটি সাশ্রয়ী, তবে উচ্চমানের ইন্টেরিয়র পেইন্ট। এ ছাড়া ডুলাক্স ওয়েদারশিল্ড প্রিমিকোট রংটি উচ্চ কার্যক্ষমতাসম্পন্ন প্রাইমার, যা দীর্ঘস্থায়ী, উচ্চ কভারেজ ও অ্যালকালি–প্রতিরোধী বৈশিষ্ট্য নিশ্চিত করে।
এসিআই ফর্মুলেশনস লিমিটেডের এমডি সুস্মিতা আনিস বলেন, ‘ডুলাক্সের নতুন প্রোডাক্ট লাইনআপ আমাদের রংশিল্পে নতুন মানদণ্ড স্থাপন করবে। উন্নত প্রযুক্তি ও গুণগত মানের সমন্বয়ে আমরা এমন পেইন্ট সলিউশন দিচ্ছি, যা সময়ের চাহিদা মেটাতে সক্ষম।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থপতি, প্রকৌশলী, শিল্পবিশেষজ্ঞ ও ব্যবসায়িক অংশীদারেরা। তাঁরা বাংলাদেশে ডুলাক্সের সম্প্রসারণ পরিকল্পনা, টেকসই নগর উন্নয়নে ভূমিকা ও স্থাপত্যশিল্পে সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানের শেষে ডুলাক্সের ডিলার, স্থপতি ও ব্যবসায়িক নেতাদের সঙ্গে এক বিশেষ নেটওয়ার্কিং সেশন অনুষ্ঠিত হয়। এসিআই জানিয়েছে, এই নতুন সূচনার মাধ্যমে অ্যাকজোনোবেল বাংলাদেশের রংশিল্পে তার নেতৃত্বকে আরও সুদৃঢ় করল। এই উদ্যোগের মাধ্যমে ডুলাক্স বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান নগরায়ণ ও স্থাপত্যশিল্পের চাহিদা মেটাতে ভূমিকা রাখবে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন
এছাড়াও পড়ুন:
জেল থেকে পালানো মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জেমির বিষয়ে যা বলল কারা কর্তৃপক্ষ
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আলোচিত আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দী মুনতাসির আল জেমির কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছে কারা অধিদপ্তর (উন্নয়ন)। সোমবার রাতে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মুনতাসির আল জেমিসহ কারাগার থেকে অন্যান্য আসামিদের পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে কোনাবাড়ী থানায় একটি মামলা হয়েছে।
আবরারের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ সোমবার সন্ধ্যায় ফেসবুক পোস্টে দাবি করেছেন, আবরার হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মুনতাসির আল জেমি গত বছরের ৬ আগস্ট কারাগার থেকে পালিয়ে গেছে। এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই সংবাদটি কারা কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে। জনমনে বিভ্রান্তি নিরসনের লক্ষে কারা কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে যে, সংশ্লিষ্ট মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত বন্দী কয়েদি নং-৫১৭৭/এ মুনতাসির আল জেমি ২০২৪ সালের ৬ আগস্ট গাজীপুরের হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২০২ জন বন্দির সঙ্গে একত্রে (৮৭ জন মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত বন্দী) কারাগারের দেয়াল ভেঙে পালিয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে ওই বছরের ১৫ আগস্ট কোনাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের এবং তা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সকল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়।
এতে আরও বলা হয়, সকল কর্তৃপক্ষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ইতোমধ্যে ৩৫ জন মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্তসহ ৫১ জন বন্দীকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক সংশ্লিষ্ট বন্দীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, আবরার হত্যা মামলায় বিভিন্ন দণ্ডে দণ্ডিত ২২ জন বন্দির মধ্যে বর্তমানে ২১ জন কারাগারে আটক আছে।