রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজের ফটোগ্রাফি ক্লাবের উদ্যোগে ‘হিমরূপ আলোকচিত্র প্রদর্শনী ২০২৫’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে বেলায়েত চত্ত্বরে দিনব্যাপী এ আলোকচিত্র প্রদর্শনী শুরু হয়।

দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীতে শিক্ষার্থীদের প্রকৃতি, মানবজীবন, স্থাপত্য, আলো-ছায়ার খেলাসহ বিভিন্ন বিষয়ে ধারণ করা নান্দনিক ও সৃজনশীল আলোকচিত্র প্রদর্শিত হয়। 

এতে কলেজের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক পরিষদের সম্পাদকসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

এ সময় ক্লাবের সহ-সভাপতি তানভীর রহমান বলেন, “প্রতিবছরই আমরা এমন আয়োজন করার চেষ্টা করি। এতে নতুন ও প্রতিভাবান শিক্ষার্থীদের কাজ প্রকাশের সুযোগ তৈরি হয়।”

ক্লাবের সভাপতি নাহিদ মাজহার বলেন, “এ প্রদর্শনীর উদ্দেশ্য হলো, শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল চর্চাকে উৎসাহিত করা এবং আলোকচিত্রের মাধ্যমে তাদের সৌন্দর্য্য তুলে ধরার সুযোগ করে দেওয়া।”

কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক শিপ্রা রানী মন্ডল বলেন, “আজকের প্রদর্শনীর সবগুলো ছবিই দারুণ লেগেছে। তবে সবুজে মোড়ানো ছবিগুলো আমাকে বিশেষভাবে আকর্ষণ করেছে। সবুজ আমার খুব পছন্দ। কারণ সবুজ প্রকৃতি মানেই প্রাণ ও সতেজতার প্রতীক।”

ঢাকা/হাফছা/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

জেল থেকে পালানো মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জেমির বিষয়ে যা বলল কারা কর্তৃপক্ষ

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আলোচিত আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দী মুনতাসির আল জেমির কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছে কারা অধিদপ্তর (উন্নয়ন)। সোমবার রাতে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মুনতাসির আল জেমিসহ কারাগার থেকে অন্যান্য আসামিদের পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে কোনাবাড়ী থানায় একটি মামলা হয়েছে। 

আবরারের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ সোমবার সন্ধ্যায় ফেসবুক পোস্টে দাবি করেছেন, আবরার হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মুনতাসির আল জেমি গত বছরের ৬ আগস্ট কারাগার থেকে পালিয়ে গেছে। এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই সংবাদটি কারা কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে। জনমনে বিভ্রান্তি নিরসনের লক্ষে কারা কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে যে, সংশ্লিষ্ট মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত বন্দী কয়েদি নং-৫১৭৭/এ মুনতাসির আল জেমি ২০২৪ সালের ৬ আগস্ট গাজীপুরের হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২০২ জন বন্দির সঙ্গে একত্রে (৮৭ জন মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত বন্দী) কারাগারের দেয়াল ভেঙে পালিয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে ওই বছরের ১৫ আগস্ট কোনাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের এবং তা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সকল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। 

এতে আরও বলা হয়, সকল কর্তৃপক্ষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ইতোমধ্যে ৩৫ জন মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্তসহ ৫১ জন বন্দীকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক সংশ্লিষ্ট বন্দীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। 

উল্লেখ্য, আবরার হত্যা মামলায় বিভিন্ন দণ্ডে দণ্ডিত ২২ জন বন্দির মধ্যে বর্তমানে ২১ জন কারাগারে আটক আছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ