নাটোরের সিংড়া উপজেলার ডাহিয়া ইউনিয়নের বড়গ্রামে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে একই বিদ্যালয়ের ছাত্রদের মারধরে নাহিদ ইসলাম (৯) নামে এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ সোমবার বেলা তিনটার দিকে উপজেলার বড়গ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

নাহিদ ইসলাম উপজেলার বড়গ্রাম পূর্বপাড়া গ্রামের মো.

হাফিজুল ইসলাম ছেলে। সে বড়গ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র।

সিংড়া থানার পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, আজ বেলা আড়াইটার দিকে বিদ্যালয় মাঠে খেলা দেখতে যায় নাহিদ। এ সময় মাঠে ফুটবল খেলা দেখার একপর্যায়ে সে খেলাতে অংশ নিতে চায়। কিন্তু তাকে খেলার সুযোগ দিতে রাজি হয় না একই বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির দুই ছাত্র। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে তর্কাতর্কি ও মারামারি হয় নাহিদের। একপর্যায়ে নাহিদকে ওই দুই ছাত্র এলোপাতাড়ি আঘাত করে এবং গলা জাপটে ধরে আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে নাহিদ। পরে তার আত্মীয়-স্বজনেরা উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে নাহিদের মৃত্যু হয়।

সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসমাউল হক বলেন, বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে এখনো কেউ কোনো অভিযোগ দেননি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিক্ষার্থী রাব্বি ও তৌফিককে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

৬১ বছরের ‘চিরকুমার’ বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির ‘একরোখা নেতা’ হিসেবে পরিচিত দিলীপ ঘোষ আজ নিজের চিরকুমারের তকমা ঘোচাবেন। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় কলকাতার সল্টলেকের নিউটাউনের বাসভবনে বিয়ে হবে। এ বিয়ে হবে অনাড়ম্বরভাবে। পাত্রী তাঁর দল বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রী রিঙ্কু মজুমদার।

দিলীপ ঘোষের বাড়ি ঝাড়গ্রামে। এখন তিনি থাকছেন কলকাতার সল্টলেকের নিউটাউনের আবাসিক এলাকায়। বিয়ের অনুষ্ঠানে কিছু বন্ধুবান্ধব আর আত্মীয়স্বজনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

গ্রামের বাড়ি ঝাড়গ্রাম থেকে সপ্তাহখানেক আগে দিলীপের মা চলে এসেছেন কলকাতায়। ছেলের সংসার গুছিয়ে তিনি পরে ফিরে যাবেন তাঁদের ঝাড়গ্রামের বাড়িতে।

বিজেপির অনেক নেতাই বলছেন, দিলীপ ঘোষ দেখিয়ে দিলেন রাজনৈতিক জীবনের মতো তিনি ব্যক্তিগত জীবনেও একই রকম ‘কালারফুল’। তিন কাউকে রেয়াত দিয়ে কথা বলেন না। দিলীপ ঘোষ তিন মাস ধরে প্রেমে হাবুডাবু খাচ্ছিলেন।

দিলীপ ঘোষ বহু বছর আগে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ বা আরএসএসে নাম লিখিয়েছিলেন। তখন শপথও নিয়েছিলেন তিনি ‘অকৃতদার’ থাকবেন।

আরএসএস অবশ্য ২০১৪ সালে দিলীপ ঘোষকে বিজেপিতে পাঠায়। ২০১৫ সালেই পেয়ে যান পশ্চিমবঙ্গের বিজেপির রাজ্য সভাপতির পদ। ২০২১ সালে তাঁর নেতৃত্বেই বিজেপি রাজ্য বিধানসভার নির্বাচনে লড়ে। পেয়ে যান ৭৭টি আসন। নতুন এক রেকর্ড গড়েন দিলীপ ঘোষ। দিলীপ ঘোষ বিজেপির রাজ্য সভাপতি হয়েছেন, লোকসভার সংসদ সদস্য হয়েছেন। হয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম নেতা।

এই বিয়ে নিয়ে দিলীপ ঘোষ মুখ না খুললেও তাঁর হবু স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদার সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘দিলীপদাকে বহুদিন ধরে চিনি। ওকে ভালোও লাগে। মনের কথা খুলে বলা যায়। গত সেপ্টেম্বরে তাঁকে প্রপোজ করেছিলাম। তিনি তিন মাস সময় চেয়েছিলেন। তারপর সেই সময় এসে গেল কিছুটা বিলম্বে।’

বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য শাখার সাবেক সভাপতি সংঘমিত্রা চৌধুরী বলেছেন, ‘দিলীপদাকে অনেক শুভেচ্ছা। ওর দাম্পত্যজীবন অনেক সুখের ও সুন্দর হোক।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ