বন্দরে কার্গো ট্রাক তল্লাশী চালিয়ে ১০০ বোতল ফেন্সিডিলসহ ৩ মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১।

গ্রেপ্তারকৃত মাদক কারবারিরা হলো সুদূর সিলেট জেলার কোম্পানীগঞ্জ থানার ১নং ইসলামপুর ইউনিয়নের  তৈয়মুর নগর এলাকার মৃত আব্দুর রশীদ মিয়ার ছেলে সুন্দর আলী (৩৭) একই জেলার একই থানার ৩নং ইসলামপুর ইউনিয়নের  টুকেরগাঁও এলাকার মৃত সিদ্দিক মিয়ার ছেলে জাহিদ (২০) ও একই এলাকার ইকবাল মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে জুয়েল আহাম্মেদ (২৫)।

ফেন্সিডিল উদ্ধারের ঘটনায় র‌্যাব-১১ সিপিসি-১ নায়েব সুবেদার মোঃ হারুন অর রশিদ বাদী হয়ে সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারী) সকালে  ধৃত মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় মাদক আইনে মামলা রুজু করেছে। 

গ্রেপ্তারকৃতদের ওই দুপুরে মাদক মামলায় আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এর আগে গত রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারী) রাতে বন্দর উপজেলার ঢাকা টু চট্টগ্রাম মহাসড়কের মদনপুরস্থ রাফি ফিলিং স্টেশনের সামনে ঢাকাগামী ঢাকা মেট্রো ট-২৪-৬৮৩৭ নাম্বারের কার্গো ট্রাকের সিটের নিচে তল্লাশী চালিয়ে উল্লেখিত ফেন্সিডিলসহ ওই ৩ মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতরা জানায় আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য দীর্ঘদিন যাবত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে মাদকদ্রব্য ফেন্সিডিল ক্রয়-বিক্রয় ও সরবরাহ করে আসছিল।  
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

জেল থেকে পালানো মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জেমির বিষয়ে যা বলল কারা কর্তৃপক্ষ

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আলোচিত আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দী মুনতাসির আল জেমির কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছে কারা অধিদপ্তর (উন্নয়ন)। সোমবার রাতে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মুনতাসির আল জেমিসহ কারাগার থেকে অন্যান্য আসামিদের পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে কোনাবাড়ী থানায় একটি মামলা হয়েছে। 

আবরারের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ সোমবার সন্ধ্যায় ফেসবুক পোস্টে দাবি করেছেন, আবরার হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মুনতাসির আল জেমি গত বছরের ৬ আগস্ট কারাগার থেকে পালিয়ে গেছে। এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই সংবাদটি কারা কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে। জনমনে বিভ্রান্তি নিরসনের লক্ষে কারা কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে যে, সংশ্লিষ্ট মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত বন্দী কয়েদি নং-৫১৭৭/এ মুনতাসির আল জেমি ২০২৪ সালের ৬ আগস্ট গাজীপুরের হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২০২ জন বন্দির সঙ্গে একত্রে (৮৭ জন মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত বন্দী) কারাগারের দেয়াল ভেঙে পালিয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে ওই বছরের ১৫ আগস্ট কোনাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের এবং তা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সকল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। 

এতে আরও বলা হয়, সকল কর্তৃপক্ষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ইতোমধ্যে ৩৫ জন মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্তসহ ৫১ জন বন্দীকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক সংশ্লিষ্ট বন্দীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। 

উল্লেখ্য, আবরার হত্যা মামলায় বিভিন্ন দণ্ডে দণ্ডিত ২২ জন বন্দির মধ্যে বর্তমানে ২১ জন কারাগারে আটক আছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ