বাংলাদেশে পরচুলা তৈরির কারখানা স্থাপন করবে চীনা মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ হাইজিনটোন হেয়ার প্রোডাক্টস কোম্পানি লিমিটেড। ঈশ্বরদী রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকায় (ইপিজেড) এই কারখানা স্থাপন করা হবে।

এ কারখানা স্থাপনে চীনা প্রতিষ্ঠানটি ৩৮ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার বা প্রায় ৪৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে) বিনিয়োগ করবে। এখানে বছরে ৬৯ লাখ ৮০ হাজার পিস পরচুলা ও চুলসংশ্লিষ্ট পণ্য তৈরি হবে। এখানে কর্মসংস্থান হবে ১ হাজার ৪৭৪ জন বাংলাদেশি নাগরিকের।

আজ সোমবার রাজধানীর গ্রিন রোডে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের (বেপজা) নির্বাহী দপ্তরে এ-সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়। বেপজার সদস্য (প্রকৌশল ও বিনিয়োগ উন্নয়ন) মো.

ইমতিয়াজ হোসেন এবং বাংলাদেশ হাইজিনটোন হেয়ার প্রোডাক্টস কোম্পানির চেয়ারম্যান গাও টোয়ানজু নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।

বেপজা জানিয়েছে, এটি হতে যাচ্ছে ঈশ্বরদী ইপিজেডে পরচুলা ও চুলসংশ্লিষ্ট পণ্য প্রস্তুতকারী চতুর্থ কোনো প্রতিষ্ঠান। ইতিমধ্যে একই ধরনের পণ্য উৎপাদনকারী আরও তিনটি কারখানা ওই ইপিজেডে উৎপাদনে রয়েছে।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান, সদস্য (অর্থ) আ ন ম ফয়জুল হক, নির্বাহী পরিচালক মো. তানভীর হোসেন, মো. খুরশিদ আলম, মো. তাজিম-উর-রহমান ও এ এস এম আনোয়ার পারভেজ এবং চীনা প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

রাবিতে সিন্ডিকেট থেকে আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের অপসারণের দাবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) সিন্ডিকেট থেকে আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের অপসারণ ও শিক্ষক নিয়োগে অভিন্ন ইউজিসি নীতিমালা বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবন সংলগ্ন প্যারিস রোডে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।

এ সময় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, “রাবির বর্তমান প্রশাসনের কাছে প্রতিটি দাবি আদায়ের জন্য আমাদের রাজপথে নামতে হচ্ছে। মেডিকেলের সমস্যা, হলের সমস্যা, খাবারের সমস্যা, বিভাগের সভাপতির সমস্যা ইত্যাদি কারণে আমাদের পথে নামতে হচ্ছে। বিপ্লবের প্রায় ৯ মাস হতে চলেছে, কিন্তু আজও আওয়ামীপন্থি শিক্ষকরা ক্যাম্পাসের মধ্যে অবাধে চলাফেরা করছে এবং তারা বিভিন্নভাবে শিক্ষার্থীদের ব্রেইন ওয়াশ করছে।”

আরো পড়ুন:

রাকসুর গঠনতন্ত্র অনুমোদন করে নির্বাচন কমিশন গঠন

১৫ বছরের দুর্নীতির তথ্য উদঘাটনে রাবিতে সত্যানুসন্ধান কমিটি

তিনি বলেন, “আমরা এ ধরনের আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের তালিকা প্রশাসনের কাছে দিয়েছি। কিন্তু এখনো কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। রাবির ৩৪ হাজার শিক্ষার্থীর দাবি, অনতিবিলম্বে সিন্ডিকেট থেকে আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের অপসারণ করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে এবং ইউজিসির অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।”

রাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, “আমাদের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো শিক্ষার্থী শিক্ষক হতে পারবে কী পারবে না, তা আওয়ামী সিন্ডিকেট নির্ধারণ করে দিতে পারবে না। আপনারা এসব সুশীলগিরি বাদ দেন। আমরা অনতিবিলম্বে ইউজিসি নীতিমালা বাস্তবায়ন করতে চাই। আপনারা আওয়ামী শিক্ষকদের কথা চিন্তা করেই ইউজিসি নীতিমালা বাস্তবায়ন করতে চান না, আমরা তা বুঝি।”

তিনি আরো বলেন, “অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় যদি ইউজিসি নীতিমালা বাস্তবায়ন করতে পারে, তাহলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাস্তবায়ন করলে সমস্যা কোথায়, প্রশাসনের কাছে আমার প্রশ্ন থাকলো। আওয়ামী সিন্ডিকেটের স্টেকহোল্ডারদের অনতিবিলম্বে দূরে ঠেলে দিয়ে আমাদের ডিসিশন মেকিংয়ের জায়গায় ছাত্র সংগঠনসহ শিক্ষার্থীদের মতামত নিতে হবে। কারণ ছাত্রদের মাধ্যমেই এই বিপ্লব সংগঠিত হয়েছে।”

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ