রিয়াল মাদ্রিদে তাঁরা একসঙ্গে ৯ মৌসুম কাটিয়েছেন। সে সময় রিয়ালে রোনালদো যদি হন ‘ব্যাটম্যান’, বেনজেমাকে তাঁর সহকারী ‘রবিন’ মনে করা হতো। আসলে রোনালদোকে গোল বানিয়ে দেওয়াই ছিল বেনজেমার মূল দায়িত্ব কি না, তাই। আর রোনালদোর ক্যারিয়ারে সেরা সময়ও কেটেছে ঠিক তখন। রিয়ালে সোনালি সময় বিচারে কিছুদিন আগে করা রোনালদোর দাবির সঙ্গে সহমত প্রকাশ করতেই পারতেন বেনজেমা। কিন্তু তা না করে ফরাসি তারকা হাঁটলেন অন্য পথে। যে পথের শেষেও আছেন আরেক রোনালদো!

আরও পড়ুনব্যালন ডি’অরের পথে সালাহ, প্রিমিয়ার লিগ জয়ের পথে লিভারপুল১১ ঘণ্টা আগে

ঘটনা খুলে বলা যাক। এ মাসের শুরুতে স্প্যানিশ টিভি শো ‘এল চিরিনগুইতো’য় দেওয়া সাক্ষাৎকারে আল নাসর তারকা রোনালদো দাবি করেন, ‘আমি সর্বকালের সেরা কমপ্লিট খেলোয়াড়। ক্রিস্টিয়ানো পরিপূর্ণ নয়, বলাটা হবে মিথ্যার নামান্তর।’ পর্তুগিজ কিংবদন্তি আরও দাবি করেন, ‘আমি এতই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ যে কখনো কখনো নিজের অর্জন ভুলে যাই। কারণ, প্রতিবছর আরও ভালো করার প্রেরণা পাই এতে। আমার মতে, অন্যদের সঙ্গে এখানেই আমার পার্থক্য। আমার জায়গায় অন্য কেউ হলে ১০ বছর আগেই ফুটবল ছেড়ে যেত। আমি আলাদা। এ নিয়ে তর্কের সুযোগ নেই।’

কিন্তু রোনালদোর এই মন্তব্যের পরই শুরু হয় তর্ক–বিতর্ক। পক্ষে–বিপক্ষে অনেকেই বিভিন্ন মন্তব্য করেন, এখনো করছেন। যেমন রোনালদোরই সাবেক রিয়াল সতীর্থ বেনজেমা। ঘুরেফিরে প্রসঙ্গটি তাঁর কাছেও তোলা হয়েছে। পর্তুগিজ কিংবদন্তিকেই বেনজেমা সর্বকালের সেরা মনে করেন কি না?

টিএনটি স্পোর্টস ব্রাজিলকে বেনজেমা এর উত্তরে বলেছেন, ‘যার যা খুশি বলতে পারে। সে নিজেকে ইতিহাসের সেরা মনে করতেই পারে.

..উদাহরণ হিসেবে আমার কাছে যেমন সেরা হলেন ব্রাজিলের রোনালদো।’ তবে খেলোয়াড়ের মধ্যে তুলনা পছন্দ নয় বেনজেমার। বলেছেন সে কথাও, ‘খেলোয়াড়দের মধ্যে তুলনা আমার অপছন্দ। একেকজনের গল্প একেক রকম, আর তারটাও (রোনালদো) ভিন্ন। সে খুব ভালো।’

আরও পড়ুনস্পেনে রিয়াল-বার্সা-আতলেতিকোর রুদ্ধশ্বাস ত্রিমুখী লড়াই, ইতালিতে নাপোলির পতন৭ ঘণ্টা আগে

পর্তুগিজ তারকা ২০১৮ সালে রিয়াল ছেড়ে জুভেন্টাস ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ঘুরে এখন সৌদি প্রো লিগের দল আল নাসরে। বেনজেমাও ২০২৩ সালে রিয়াল ছেড়ে পাড়ি জমান সৌদি ফুটবলে ক্লাব আল ইত্তিহাদে। রিয়ালে গোল করায় তাঁদের ওপরে আর কেউ নেই। রোনালদো ৪৫০ গোল করে শীর্ষে, বেনজেমা ৩৫৪ গোল নিয়ে দ্বিতীয়। বার্নাব্যুর ৯ বছরে দুজনে মিলে রিয়ালকে উপহার দিয়েছেন মোট ৮০৪ গোল, জিতেছেন ১৬টি ট্রফি। রিয়ালের জার্সিতে একসঙ্গে খেলেছেন ৩৪২ ম্যাচ, আক্রমণভাগে এই জুটির কাছ থেকে গোল এসেছে ৭৬টি। ২০১৩ সালে গ্যারেথ বেল রিয়ালে যোগ দেওয়ার পর তাঁরা তিনজন মিলে ইউরোপে অন্যতম ভয়ংকর ‘বিবিসি’ আক্রমণভাগ গড়েছিলেন।

৩৭ বছর বয়সী বেনজেমার শৈশবের আদর্শ ব্রাজিলের বিশ্বকাপজয়ী সাবেক স্ট্রাইকার রোনালদো নাজারিও। তাঁকে নিয়ে মুগ্ধতার কথা অনেকবারই বলেছেন বেনজেমা। ব্রাজিলের এই রোনালদোও একসময় খেলেছেন রিয়ালে। ২০২১ সালে রোনালদোকে নিয়ে বিইন স্পোর্টসে বেনজেমা বলেছিলেন, ‘আমি সৌভাগ্যবান যে মাদ্রিদে তাঁর সঙ্গে দেখা হয়েছে। তিনি আমার রোল মডেল ছিলেন। এখনো আছেন।’

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বিল গেটসের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ ‘প্রয়োজনীয়’ ছিল: সাক্ষাৎকারে মেলিন্ডা

মার্কিন প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসের সাবেক স্ত্রী মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস ২০২১ সালে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি তাঁদের এই বিচ্ছেদকে ‘প্রয়োজনীয়’ ছিল বলে মন্তব্য করেছেন।

সাবেক ধনকুবের ব্যবসায়ী স্বামী বিল গেটসের একটি মন্তব্যের কয়েক সপ্তাহ পর মেলিন্ডা ফেঞ্চ এই প্রথম মুখ খুললেন। ওই মন্তব্যে বিল গেটস তাঁদের এই বিচ্ছেদকে তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় অনুতাপের বিষয় বলে মন্তব্য করেছিলেন।

দ্য টাইমসের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে মেলিন্ডা গেটস এ কথা করেন। ওই সাক্ষাৎকার গত রোববার প্রকাশিত হয়। সেখানে বিল গেটসের মন্তব্য সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা এমন কিছু, যা ‘প্রয়োজনীয়’ ছিল।

মেলিন্ডা ফেঞ্চ বলেন, ‘আপনি যদি আপনার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের মধ্যে নিজের মূল্যবোধ নিয়ে বেঁচে থাকতে না পারেন, তাহলে সেটা ছেড়ে যাওয়াই প্রয়োজনীয় ছিল।’

অবশ্য মেলিন্ডা মানবহিতৈষী তাঁর সাবেক স্বামী বিল গেটসের মন্তব্য সম্পর্কে স্পষ্টভাবে কিছু বলেননি। তবে তিনি যোগ করেন, ‘আমি আসলে জানি না, তিনি ওই বক্তব্য দিয়ে ঠিক কী বোঝাতে চেয়েছেন। সুতরাং তাঁর বক্তব্য নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করছি না।’

মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ বলেন, ‘তাঁর নিজের জীবন আছে, আমার নিজের জীবন আছে। আমি এখন অনেক সুখী।’

মেলিন্ডা গেটস আরও বলেন, এই বিচ্ছেদ তাঁর ওপর আবেগপূর্ণ গভীর প্রভাব ফেলেছিল। তাঁদের আলাদা থাকা অবস্থায় তিনি ‘প্যানিক অ্যাটাক’–এর শিকারও হয়েছেন।

বিল গেটসের সাবেক স্ত্রী বলেন, একটা বিবাহবিচ্ছেদ খুবই কঠিন। আর আলোচনা-সমঝোতাও খুব কঠিন।’

মেলিন্ডা বলেন, ২০১৪ সালে বিল গেটসের সঙ্গে এক মধ্যাহ্নভোজের সময় তিনি প্রথম ‘প্যানিক অ্যাটাক’ অনুভব করেন। তার পর থেকেই তিনি থেরাপিস্টের কাছে যাওয়া শুরু করেন। তখনো তাঁরা স্বামী–স্ত্রী হিসেবে একসঙ্গে ছিলেন।

শুরুর দিকে মেলিন্ডা থেরাপি নিয়ে সন্দিহান থাকলেও পরে এর উপকারিতা বুঝতে পারেন। তিনি বলেন, ‘এর অর্থ এই নয় যে আমি ভেঙে পড়েছি। এর অর্থ, আমি কঠিন বিষয়ের মধ্য দিয়ে গেছি, যেগুলো নিয়ে আমাকে বোঝাপড়া করতে হয়েছে।’

গত ফেব্রুয়ারিতে এনবিসির ‘টুডে’ অনুষ্ঠানে নিজের নতুন বই ‘সোর্স কোর্ড’ নিয়ে কথা বলতে গেলে বিল গেটসকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, কেন তিনি এই বিবাহবিচ্ছেদকে নিজের ‘সবচেয়ে বড় অনুশোচনা’ বলে মনে করছেন।

জবাবে বিল বলেছিলেন, ‘বিবাহবিচ্ছেদটা ভালো কিছু ছিল না। কিন্তু আমাদের তিনটি সন্তান, আমরা একসঙ্গে যেসব কাজ করতে পেরেছি—এমনকি আমি যদি জানতাম যে এই সংসার চিরস্থায়ী হবে না, তবু আমি আবারও সেটাই করব।’

বিল গেটস ও মেলিন্ডা গেটস ২০২১ সালে ২৭ বছরের বিবাহিত জীবনের ইতি টানেন। তাঁদের তিন সন্তান রয়েছে—ফিবি গেটস (২২), ররি গেটস (২৫) ও জেনিফার গেটস নাসার (২৮)।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে পাঁচ গান
  • ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষ পাঁচ গান
  • ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে ৫ গান, প্রীতমের সঙ্গে আছেন সিয়াম-হিমিও
  • ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে শীর্ষ পাঁচ গান, প্রীতমের সঙ্গে আছেন সিয়াম-হিমিও
  • পশ্চিমবঙ্গে সাম্প্রদায়িক বিভাজন হতে দেব না, বললেন মমতা
  • মস্তিষ্ক ভালো রাখতে বাদামের সঙ্গে খাবেন কোন খাবার 
  • গরমে স্বস্তির পানীয়
  • লন্ডনে খালেদা জিয়ার সঙ্গে জামায়াতের আমিরের সাক্ষাৎ
  • আংটি পরে জর্জিনা লিখলেন ‘আমিন’, তবে কি বিয়ে করছেন রোনালদো
  • বিল গেটসের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ ‘প্রয়োজনীয়’ ছিল: সাক্ষাৎকারে মেলিন্ডা