সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা চারটি মহাসড়ক ও আটটি সেতুর নাম পরিবর্তন করেছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকার সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের আওতাধীন ১২টি (চারটি মহাসড়ক ও আটটি সেতু) মহাসড়ক ও সেতুর নাম পরিবর্তন করে নতুন নামকরণ করেছে।

ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের যাত্রাবাড়ী ইন্টারসেকশন থেকে মাওয়া পর্যন্ত ৩৫ কিলোমিটার ও পাচ্চর থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়কের নাম 'জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক্সপ্রেসওয়ে' পরিবর্তন করে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে করা হয়েছে।

সিলেট জেলার বিমানবন্দর বাইপাস ইন্টারসেকশন-লালবাগ-সালুটিকর-কোম্পানীগঞ্জ-ভোলাগঞ্জ জাতীয় মহাসড়কের নাম 'জাতির পিতা বঙ্গবুহু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়ক' থেকে পরিবর্তন করে সিলেট জেলার বিমানবন্দর বাইপাস ইন্টারসেকশন-লালবাগ-সালুটিকর-কোম্পানীগঞ্জ-ভোলাগঞ্জ জাতীয় মহাসড়ক করা হয়েছে।

মাদারীপুর সড়ক বিভাগাধীন মাদারীপুর (মোস্তফাপুর)-ভায়া কাজিরটেক ব্রিজ হয়ে শরীয়তপুর পর্যন্ত দীর্ঘ ২২২ দশমিক ৭৫ কিলোমিটার মহাসড়কের নাম ‘শেখ হাসিনা মহাসড়ক’ থেকে পরিবর্তন করে কাজীরটেক ব্রিজ-শরীয়তপুর মহাসড়ক করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম সড়ক বিভাগাধীন বড়তাকিয়া (আবুতোরাব)-মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল সংযোগ সড়কটির নাম ‘শেখ হাসিনা সরণি’ থেকে পরিবর্তন করে বড়তাকিয়া (আবুতোরাব)-মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল সংযোগ সড়ক করা হয়েছে।

পীরগঞ্জ উপজেলার কাঁচদহঘাট নামক স্থানে করতোয়া নদীর ওপর নির্মিত ২৭৮ দশমিক ৮৮ মিটার পিসি গার্ডার সেতুর নাম ‘ওয়াজেদ মিয়া সেতু’ থেকে পরিবর্তন করে কাঁচদহ সেতু করা হয়েছে।

পটুয়াখালী-কুয়াকাটা আঞ্চলিক মহাসড়কের ৪৯তম কিলোমিটারে আন্দারমানিক নদীর ওপর নির্মিত সেতুর নাম ‘শেখ কামাল সেতু’ থেকে পরিবর্তন করে আন্দার মানিক সেতু করা হয়েছে।

পটুয়াখালী-কুয়াকাটা আঞ্চলিক মহাসড়কের ৬১তম কিলোমিটারে সোনাতলা নদীর ওপর নির্মিত সেতুর নাম ‘শেখ জামাল সেতু’ পরিবর্তন করে সোনাতলা সেতু করা হয়েছে।

পটুয়াখালী-কুয়াকাটা আঞ্চলিক মহাসড়কের ৬৬তম কিলোমিটারে খাপড়াভাঙ্গা নদীর ওপর নির্মিত সেতুর নাম ‘শেখ রাসেল সেতু’র নাম পরিবর্তন করে খাপড়াভাঙ্গা সেতু রাখা হয়েছে।

পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর উপজেলায় বলেশ্বর নদীর ওপর নির্মিত ৩৮৭ দশমিক ৩১ মিটার দীর্ঘ ইন্দুরকানি সেতুর নাম ‘শহীদ শেখ ফজলুল হক মনি সেতু’র নাম পরিবর্তন করে ইন্দুরকানি সেতু রাখা হয়েছে।

পিরোজপুর সড়ক বিভাগাধীন রাজাপুর-নৈকাঠী-বেকুটিয়া-পিরোজপুর জেলা মহাসড়কের ১২তম কিলোমিটারে বেকুটিয়া পয়েন্টে কঁচা নদীর উপর নির্মিত ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব ৮ম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর’ নাম পরিবর্তন করে বেকুটিয়া সেতু রাখা হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ সড়ক বিভাগাধীন দ্বিতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর নাম ‘সুলতানা কামাল সেতু’ থেকে ডেমরা সেতু রাখা হয়েছে এবং বরিশাল জেলায় অবস্থিত দপদপিয়া সেতুর নাম ‘শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাদ সেতু’ পরিবর্তন করে দপদপিয়া সেতু রাখা হয়েছে।

ঢাকা/আসাদ/এনএইচ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক ব ভ গ ধ ন

এছাড়াও পড়ুন:

বেতন-বোনাসের দাবিতে শ্রমিকদের ভুখা মিছিল

শ্রমিকদের পাওনা মজুরি ও বোনাস নিয়ে শ্রম উপদেষ্টার বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে বাসন হাতে ভুখা মিছিল করেছেন টিএনজেড গ্রুপের শ্রমিক-কর্মচারীরা। গতকাল শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর শ্রম ভবনের সামনে থেকে এই কর্মসূচি শুরু করেন তারা। মিছিলটি শ্রম ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে নয়াপল্টন হয়ে জিরো পয়েন্ট প্রদক্ষিণ করে আবারও শ্রম ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। দাবি মেনে না নেওয়া হলে আজ শনিবার দুপুর থেকে সেখানে অবস্থান কর্মসূচি ও বিকেল ৪টায় গণমিছিল করারও ঘোষণা দিয়েছেন শ্রমিকরা। গত ২৩ মার্চ থেকে বেতন-বোনাসের দাবিতে শ্রম ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তারা। 

এর আগে সকালে শ্রম ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অ্যাপারেলস প্লাস ইকো লিমিটেডের শ্রমিক সফিকুল ইসলাম বলেন, শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ নিয়ে শ্রম উপদেষ্টা চরম মিথ্যাচার করেছেন। তাই আমরা আবারও রাজপথে নেমেছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরে যাব না।

শ্রমিক নেতারা বলেন, শ্রম সচিব আমাদের আশ্বস্ত করেছিলেন, গত বৃহস্পতিবার দুপুরের মধ্যেই পাওনা পরিশোধের ব্যবস্থা নেবেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত আমাদের নেতারা দফায় দফায় ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেননি। অথচ তাঁর সরবরাহ করা তথ্য দিয়ে ওই দিন সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে শ্রম উপদেষ্টা সংবাদ ব্রিফিংয়ে দাবি করেন, মালিকপক্ষ নাকি গাড়ি বিক্রি করে আমাদের পাওনা পরিশোধ করেছে। 
সংবাদ সম্মেলনে গার্মেন্টস শ্রমিক মুক্তি আন্দোলন, গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন, ওএসকে গার্মেন্টস অ্যান্ড টেক্সটাইল শ্রমিক ফেডারেশন, গার্মেন্টস-টেক্সটাইল শ্রমিক ফেডারেশন, সোয়েটার গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনে, গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরাম, বাংলাদেশ টেক্সটাইল শ্রমিক ফেডারেশন, গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি, গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন, বিপ্লবী শ্রমিক সংহতি, শ্রমজীবী আন্দোলন, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন বাংলাদেশ, গণতান্ত্রিক শ্রমিক আন্দোলন, বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন, বাংলাদেশ টেক্সটাইল অ্যান্ড গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের বিবৃতিতে বলা হয়, টিএনজেড গ্রুপের শ্রমিকরা রাস্তায় আন্দোলন করতে বাধ্য হচ্ছে। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক পৃথক বিবৃতিতে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেও পুরোনো জমানার মতো শ্রমিকরা নিষ্ঠুরতার শিকার।

সম্পর্কিত নিবন্ধ