বিএনপি চেয়ারপারসনের অন্যতম উপদেষ্টা ফজলুর রহমান বলেছেন, বিগত ১৬ বছর বিএনপির নেতাকর্মীরা জেল-জুলুম সহ্য করেছে। বিএনপি দীর্ঘ ১৬ বছর সরকার পতন এবং তত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আন্দোলন করেছে। বিএনপির লাগানো সেই ধান কেটে নিয়েছে ছাত্র-জনতা। 

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজশাহী নগরের বাটার মোড়ে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রতিবাদ, আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসরদের নানামুখী ষড়যন্ত্র রুখে দিতে এবং দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা বিএনপি এ আয়োজন করে।

ফজলুর রহমান বলেন, ‘‘৫ আগস্টের আগে একমাস আন্দোলন হলো। ১৫ বছর সংগ্রাম করলাম আমরা। বীজ ফেলল বিএনপি, চারা বানাইলো বিএনপি, পানি দিল বিএনপি, ধানও রোপণ করল বিএনপি, ধান হওয়ার পরে একমাসে ধান কেটে নিল ছাত্র-জনতা। তারা এখন সব দাবি করছে।’’ 

আরো পড়ুন:

সরকারের সব বিষয় সমর্থন করি না, ব্যর্থও হতে দিতে চাই না: ফখরুল

খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি মনা, সম্পাদক তুহিন 

তিনি বলেন, ‘‘একটি দল এখন স্লোগান দিচ্ছে- দুই সাপের একই বিষ নৌকা আর ধানের শীষ। যে যত কিছুই বলুক এই দেশের দায়িত্ব বিএনপি এবং তারেক রহমানকেই নিতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকারে থেকে দল গঠন করা যায় না। তৃণমূলে এসে মানুষের সঙ্গে থেকে কাজ করে রাজনৈতিক দল গঠন করেন। দেখেন কেমন লাগে। রাজপ্রাসাদে বসে থেকে দল গঠন মেনে নেওয়া হবে না।’’ 

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাইদ চাঁদের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত। বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ঈশা, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদা ও সদস্য সচিব মামুন-অর-রশিদ মামুন।

জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক বিশ্বনাথ সরকার সমাবেশ পরিচালনা করেন। সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মেজর জেনারেল (অব.

) শরীফ উদ্দীন, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু বকর সিদ্দিক, দেবাশীষ রায় মধু, জেলা বিএনপির সদস্য সৈয়দ মোহাম্মদ মহসিন, গোলাম মোস্তফা মামুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
 

ঢাকা/কেয়া/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ র সদস য ব এনপ র সরক র রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

কবিতা

অনাদিকালের প্রতীক্ষা
রকিবুল ইসলাম

একমুঠো রোদ্দুর এনেছি 
তোমার মলিন মুখটা অমলিন করব বলে,
কিছু স্বপ্ন এনেছি তোমায় রাঙাব বলে,
কিছু জ্যোৎস্না এনেছি
তোমায় ঘিরে থাকা অমানিশার 
ঘোর আঁধার দূরীভূত করব বলে,
সবুজ দূর্বাঘাসের গালিচা বিছিয়ে রেখেছি 
তুমি তার ওপর দিয়ে হেঁটে আসবে বলে,
আমার নেত্র বিসর্জিত অজস্র-অসংখ্য মুক্ত
বিন্দুর মতো অশ্রু জমিয়ে ঝরনাধারা তৈরি করে রেখেছি, 
তুমি স্নান করবে বলে।
ঘন সবুজ রেখেছি তোমাকে পাখপাখালির
শ্রুতিমধুর সংগীত শোনাব বলে।
পাহাড় কেটে দেয়াল বানিয়ে রেখেছি
তোমাকে আড়ালে রাখব বলে।
এতসব আয়োজন যে তোমাকে ঘিরে সেই তুমিই তো এলে না।
তবুও, আশার পাখিরা নিরাশার বালুচরে ডুবে যেতে
থাকলেও আমার নয়ন চেয়ে থাকবে 
তোমার পথপানে অনাদি-অনন্তকাল...।

 

 

প্রেমো-নন্দিনী 
আসাদুজ্জামান খান মুকুল

ভালোবেসে প্রিয়া বিষাদ অনলে
পুড়ছে আমার হিয়া!
আসিলে হাসিয়া প্রেমো-নন্দিনী
খেলেছ হৃদয় নিয়া!

তোমারি প্রেমেতে উন্মাদ সেজে 
হয়েছি মার্গভোলা,
রেখেছি আমার তোমারি স্মরণে
সকল দুয়ার খোলা!

অদেখা রূপসী খুঁজিয়া চলেছি
পাইনি আজও দেখা,
বিরহ সাগরে চলেছি ভাসিয়া
তোমাকে বিহীন একা!

উথাল প্রেমের জোয়ারে এখনও 
তরীখানি ভেসে চলে,
শ্রাবণের ধারা তারি সাথে ঝরে 
তুমি যে আসনি বলে।

সহসা জাগিয়া পাইনি তোমাকে 
জেগে উঠে ক্ষ্যাপা সুর!
সহিতে না পারি মরম বেদনা 
আছ তুমি কত দূর?

 

নিভৃত আলোয় 
এমএ রহমান

নিভৃত আলোয় দোদুল্যমান সন্ধ্যাতরঙ্গ,
শব্দহীন বেদনায় অকণ্ঠ সংগীত
নীরবতার ছায়ায় ভাসে চেতনার ছায়াপথ,
অস্পষ্ট প্রতিচ্ছবির মতো স্মৃতির দিগন্তজোড়া।
কাচঘেরা বাস্তবতা আমি অদেখা ছায়াপাত,
নিঃশব্দ ভাষায় বলি অভিপ্রকাশের নিস্তব্ধতা।
কেউ কি শুনবে? কেউ কি ছোঁবে?
নাকি রয়ে যাব শুধু অস্বীকৃত প্রতিধ্বনি?
মুখোশ আড়ালে লুকে থাকা অনুভবের-নকশা,
যেখানে সংযোগ মানে শুধু আলো-আঁধারের রং।
আমি কি রঙিন? নাকি শুধু অসংগত বিমূর্ততা?
অথবা নিঃসঙ্গ এক আত্মার নক্ষত্রগঙ্গা?
হয়তো বা একদিন কেউ দেখবে আমায়,
সত্যিকার চোখে, অলেখার ব্যঞ্জনায়।
সেদিন হয়তো মিলবে অধর–
কাব্যেরই গান,
ততক্ষণ থাকি, দীপজ্বালা নিভৃত সন্ধ্যায়।

 

 

ছায়ার প্রার্থনা 
এসডি সুব্রত 

অবচেতনে খোঁজে বেড়াই 
রোদমাখা পথে ষোড়শীর পদচিহ্ন 
হেঁটে যাওয়া ছন্দের অপূর্ব চিত্রকলা,
ঘুমভাঙা রাতে ভোরের প্রতীক্ষা 
খুলে না দিবারাত্রির গোপন দরজা 
আনমনে খুঁজি বিকেলে ভোরের গোলাপ,
সম্মুখে কেবলি ধু-ধু মরুভূমি 
তৃষ্ণা কাতর হৃদয়ে জলের আকাঙ্ক্ষা
বৃক্ষের কাছে ছায়ার প্রার্থনা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ