পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে হেলাল খান নামে এক আওয়ামী লীগ নেতা ও নাশকতা মামলার আসামিকে ছিনিয়ে নিয়েছে তার সমর্থক ও স্বজনরা। সোমবার দুপুরে উপজেলার ঢেপসাবুনিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। ছিনিয়ে নেওয়া আসামি হেলাল খান উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়নের একটি ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। 

এ ঘটনায় পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মজনু নায়েব ও ইদ্রিস নায়েব নামে দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। আটক ব্যক্তিরা উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়নের ঢেপসাবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দুপুরে একটি জিয়াফত অনুষ্ঠানে স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা হেলাল খানের উপস্থিতির খবর পেয়ে ইন্দুরকানী থানা পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় হেলাল খানের সহযোগী আওয়ামী সমর্থক ও স্বজনরা তাকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়। আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার সময় তারা পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিতে লিপ্ত হয়। পরে পুলিশ দু’জনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, গত ৫ আগস্টের পর ঘোষেরহাট বাজারে বিএনপির মিছিলে হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় দায়ের করা মামলার অন্যতম আসামি হেলাল খান। বাদীপক্ষের অভিযোগ, হেলাল  খান এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরলেও পুলিশ তাকে আটক করছে না।

ইন্দুরকানী থানার ওসি মো.

মারুফ হোসেন বলেন, হেলাল খান নাশকতা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করলে স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশের ওপর হামলা করে সে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় দু’জনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আটকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এ ঘটন ঘটন য় আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

বাঘায় স্বামীর নির্যাতনে হাসপাতালে প্রতিবন্ধী নববধূ

রাজশাহীর বাঘায় স্বামীর নির্মম নির্যাতনে হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন নববধূ আয়েশা (১৯)। ধারালো ছুরি দিয়ে তাঁর দুই হাঁটুর নিচে এলোপাতাড়ি কোপানো হয়েছে। খবর পেয়ে স্বজনরা তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। 

স্বজনরা জানায়, বাজু বাঘা ইউনিয়নের আমোদপুর গ্ৰামের বাসিন্দা নাজিম উদ্দিনের মেয়ে আয়েশা জন্ম থেকে বাক-প্রতিবন্ধী। শুক্রবার পারিবারিকভাবে বাউসা ইউনিয়নের বাউসা হেদাতিপাড়া গ্রামের জোনাল আলীর ছেলে মোবারক হোসেনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। গত বুধবার রাতে মোবারক হোসেন ধারালো ছুরি দিয়ে আয়েশাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেছে। প্রতিবেশীরা বিষয়টি বাবা নাজিমুদ্দিনকে জানালে তিনি মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এদিকে ঘটনার পর থেকে মোবারক হোসেন পলাতক।
 
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আফম আছাদুজ্জামান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাঘায় স্বামীর নির্যাতনে হাসপাতালে প্রতিবন্ধী নববধূ