যুক্তরাষ্ট্রের ২ কোটি ৯০ লাখ ডলারের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য দেশবাসীকে জানাতে সিপিবির আহ্বান
Published: 24th, February 2025 GMT
বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শক্তিশালী করতে যুক্তরাষ্ট্র ২ কোটি ৯০ লাখ ডলার (প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা) বরাদ্দ দিয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি যে বক্তব্য দিয়েছেন, সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেশবাসীর সামনে তুলে ধরতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)।
আজ সোমবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সিপিবির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স এই দাবি জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিদেশি বিভিন্ন সংস্থার হস্তক্ষেপ, বিশেষত সাম্রাজ্যবাদী শক্তির হস্তক্ষেপের খবর নানাভাবেই প্রকাশিত হয়ে থাকে। এসবের সঙ্গে জড়িত দেশি-বিদেশি চক্র বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারের জন্য তাদের অনৈতিক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখে। বিশেষ উদ্দেশ্য সাধনে তারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নানামুখী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্যে ‘বাংলাদেশের রাজনীতি শক্তিশালী করতে’ বিগত দিনে ২ কোটি ৯০ লাখ ডলার দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কারা এই টাকা নিয়েছে, তা সুনির্দিষ্ট না করলেও অখ্যাত দুটি প্রতিষ্ঠানের কথা বলা হয়েছে।
আরও পড়ুনট্রাম্পের ঘোষিত ২৯ মিলিয়ন ডলারের খোঁজ পায়নি এনজিও ব্যুরো১৮ ঘণ্টা আগেবিবৃতিতে সিপিবির নেতারা বলেন, এসব বিষয়ে আলোচনায় অনেক সময় পেরিয়ে গেলেও অন্তর্বর্তী সরকার এ বিষয়ে নীরবতা পালন করছে, যা মোটেই কাম্য নয়। বাংলাদেশে কারা এই টাকা পেয়েছে এবং কীভাবে খরচ করেছে? দেশের রাজনীতিতে বা অন্যান্য ক্ষেত্রে তারা কীভাবে ‘হস্তক্ষেপ’করেছে, এসব বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য দেশবাসী জানতে চায়।
বিষয়টি স্বচ্ছতার সঙ্গে দেশবাসীর কাছে তুলে ধরতে এবং দেশের অভ্যন্তরে যেকোনো বিদেশি শক্তি ও সাম্রাজ্যবাদী শক্তির অপতৎপরতা বন্ধে দৃঢ় ভূমিকা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানায় সিপিবি।
আরও পড়ুনবাংলাদেশে ২৯ মিলিয়ন ডলার অর্থায়ন নিয়ে আবার কথা বললেন ট্রাম্প২২ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনযে সংস্থার নাম কেউ শোনেনি, তারাই পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ২৯ মিলিয়ন ডলার: ট্রাম্প২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দ শ র র জন ত
এছাড়াও পড়ুন:
সংবিধান অর্থবহ করতে বিচার আরও সহজলভ্য হতে হবে: প্রধান বিচারপতি
দেশ-জাতি নির্বিশেষে সাধারণ নাগরিকের জীবনে সংবিধানকে আরও কার্যকর ও অর্থবহ করে তুলতে হলে বিচার প্রক্রিয়াকে আরও সহজলভ্য, স্বচ্ছ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
শুক্রবার ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত তুরস্কের সাংবিধানিক আদালতের ৬৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক বিশেষ অধিবেশনে এ কথা বলেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলামের পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশের বিচার বিভাগের পক্ষ থেকে তুরস্কের সাংবিধানিক আদালতকে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, তুরস্কের সাংবিধানিক আদালতের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এই আয়োজন শুধু একটি ঐতিহাসিক উপলক্ষ নয়, বরং এটি সাংবিধানিক আদর্শ ও ন্যায়বিচার রক্ষার প্রতিশ্রুতির একটি প্রতীকী উদযাপন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও তুরস্কের সাংবিধানিক পথচলা ভিন্ন ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটে গড়ে উঠলেও দুই দেশের অভিন্ন লক্ষ্য ন্যায়বিচার, মানবাধিকারের সুরক্ষা এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে প্রধান বিচারপ্রতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের উচ্চ আদালত বিভিন্ন স্বপ্রণোদিত উদ্যোগের পাশাপাশি জনস্বার্থ মামলার মাধ্যমে যে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে, তা বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষার মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে।
আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় তিনি বলেন, বর্তমান যুগে সাধারণ মানুষের অধিকারের সুরক্ষায় সাংবিধানিক আদালতগুলোর আরও বিস্তৃত দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করা প্রয়োজন। বিশেষ করে, জলবায়ু ন্যায়বিচার, ডিজিটাল অধিকার ও তথ্য সুরক্ষা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও আন্তঃদেশীয় বৈষম্য মোকাবিলায় বিশ্বের প্রতিটি দেশে এমন একটি ন্যায়বিচার কাঠামো প্রতিষ্ঠা করা জরুরি- যা একদিকে নিজস্ব বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে, তেমনই বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায়ও প্রাসঙ্গিক ভূমিকা পালন করবে।
প্রধান বিচারপতি তার বক্তব্যে তুরস্কের সাংবিধানিক আদালতের প্রতি আমন্ত্রণ ও আতিথেয়তার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি বাংলাদেশের সঙ্গে তুরস্কের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও গভীর করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।