ইবিতে জিয়া পরিষদের নতুন কমিটি গঠন
Published: 24th, February 2025 GMT
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন ‘জিয়া পরিষদ’ এর নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এতে সভাপতি হিসেবে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. ফারুকুজ্জামান খান ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম নির্বাচিত হয়েছেন।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড.
আরো পড়ুন:
‘আওয়ামী শাসনামলে সবচেয়ে বেশি জুলুমের শিকার ইসলামী নেতৃবৃন্দরা’
ইবির ৪৫ বছরে মাত্র ৪ সমাবর্তন, সংকট উত্তরণে ‘নতুন চিন্তা’
কমিটির নির্বাচিত অন্য সদস্যরা হলেন- সহ-সভাপতি ড. শফিকুল ইসলাম, ড. আব্দুস সামাদ, ড. নূরুন নাহার, আব্দুস শাহীদ মিয়া ও ড. এ.এস.এম. আয়নুল হক আকন্দ, যুগ্ম-সম্পাদক ড. রশিদুজ্জামান, ফকরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ড. হাফিজুর রহমান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, ড. শরিফুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক, ড. জালাল উদ্দিন, সহ-দপ্তর সম্পাদক ড. নাসির উদ্দিন খান, কোষাধ্যক্ষ ড. শেখ মোহাম্মদ আবদুর রউফ।
কমিটিতে আরো আছেন- প্রচার সম্পাদক ড. মো. শাহীনুজ্জামান, সহ-প্রচার সম্পাদক এসএম আব্দুর রাজ্জাক, সংগ্রহ ও প্রকাশক সম্পাদক ড. একেএম রাশেদুজ্জামান, সাহিত্য সংস্কৃতি ও শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ড. জাহিদুল ইসলাম, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ড. খোদেজা খাতুন, কার্যনির্বাহী সদস্য ড. মো. মিজানুর রহমান ও ড. নজিবুল হক।
সভাপতি অধ্যাপক ড. ফারুকুজ্জামান খান বলেন, “জুলাইয়ের ছাত্র-গণআন্দোলনের চেতনা অনুযায়ী নতুন করে রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও সার্বিক কার্যক্রমে দুর্নীতি ও ফ্যাসিবাদ মুক্ত পরিবেশ সৃষ্টিতে সাধ্যের সবটুকু দিয়ে কাজ করে যাব।”
ঢাকা/তানিম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ফুসফুসের সুরক্ষায় যা করণীয়
জীবনকে সুস্থ রাখার জন্য চাই সুস্থ ফুসফুস, সুস্থ নিঃশ্বাস আর বিশুদ্ধ বাতাস। ফুসফুসের যত্নের শুরু মাতৃজঠরে থাকায় সময় থেকেই। গর্ভাবস্থায় মায়ের অপুষ্টি, বিভিন্ন সংক্রামক রোগের সংক্রমণ, সময়ের আগে অপরিণত অবস্থায় স্বল্প ওজনের শিশুর জন্মগ্রহণ ফুসফুসের বিভিন্ন রোগের কারণ হতে পারে। আবার জন্মের পর মাতৃদুগ্ধ পান নিউমোনিয়া, অ্যাজমাসহ বিভিন্ন রোগের প্রকোপ কমায়। এ কারণে হবু মা এবং নতুন মায়ের যত্ন শিশুর সুস্থ ফুসফুসের পূর্বশর্ত। অন্যদিকে ধূমপায়ী বাবা শুধু তাঁর পরিবারের সদস্যদের জন্যই নয়, এমনকি যে শিশুটি এখনও ভূমিষ্ঠ হয়নি তার জন্যও হুমকিস্বরূপ। ধূমপায়ী মায়েদের জন্য এ কথাটি আরও বেশি সত্য।
ফুসফুস বিভিন্ন সংক্রামক জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার একটি প্রধান অঙ্গ। করোনা মহামারি আমাদের এই সত্য আরও ভালোভাবে বুঝিয়েছে। সারা পৃথিবী ছোট্ট একটি ভাইরাস করোনার কাছে অসহায় হয়েছিল। একই ভাবে নিউমোনিয়া, যক্ষ্মা, ইনফ্লুয়েঞ্জা এমনকি বিভিন্ন ছত্রাকজনিত রোগের ও আকর এ ফুসফুস। অথচ সামান্য স্বাস্থ্যবিধি যেমন- নিয়মিত হাত ধোয়া, মাস্ক পরা, হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার ইত্যাদির মাধ্যমে এ রোগগুলো অনেকাংশে প্রতিরোধ করা সম্ভব। বর্তমান সময়ে পরিবেশ দূষণ এবং বায়ুদূষণ একটি অন্যতম প্রধান সমস্যা। বায়ুদূষণের সরাসরি আঘাত হয় ফুসফুসে। অ্যাজমা, সিওপিডিসহ বিভিন্ন ফুসফুসের শ্বাসনালির বাধাজনিত রোগের সৃষ্টি এই বায়ুদূষণের জন্য। অতএব পৃথিবীর সজীব নির্মল বায়ু নিশ্চিত করার জন্য আমাদের প্রচেষ্টা ফুসফুসের যত্নের একটি অংশ। জীবিকার প্রয়োজনে আমরা বিভিন্ন ধরণের পেশা বেছে নিই। তার মধ্যে এমন কিছু পেশা আছে যা ফুসফুসের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। যেমন- পাথরভাঙা, জাহাজভাঙা, ওয়েলডিং, আঁশ ও তুষজাতীয় উপাদানের সংস্পর্শে থাকা ইত্যাদি। এই পেশার কারণে তৈরি ছোট ছোট ধূলিকণা বা সূক্ষ্ম তন্তু আমাদের ফুসফুসে আটকে বিভিন্ন ধরনের রোগ সৃষ্টি করতে পারে। অথচ কাজের সময় ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহার করলে এই বিপর্যয় থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব– যে ব্যাপারে আমরা মোটেও সচেতন নই। তাই “অকুপেশানাল হেলথ্” বা জীবিকাসংক্রান্ত স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আমাদের আরও মনোযোগী হতে হবে। ছোট, ছোট কিছু পদক্ষেপে সম্মিলিতভাবে সবাই উপকৃত হতে পারে। বিশেষ করে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের ফুসফুসের তথা সঠিক স্বাস্থ্যরক্ষায় আরও মনোযোগী হতে হবে। শুধু চিকিৎসা নয়, রোগ প্রতিরোধে উদ্যোগী হওয়ার এখনই সময়। করোনা মহামারি আমাদের সেই শিক্ষাটাই দিয়েছে। v
[রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়]