যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) ‘ফিউচার ইন প্যাসিভ ইনকাম: এক্সপ্লোরিং দি ক্যাপিটাল মার্কেট’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্যালারিতে যবিপ্রবি ও বাংলাদেশ একাডেমি ফর সিকিউরিটিজ মার্কেটের (বিএএসএম) যৌথ উদ্যোগে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের আয়োজনে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন ড.

মো. কামাল হোসাইনের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হোসেন আল মামুন।

ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের প্রভাষক মো. শাহনুরের সঞ্চালনায় এতে স্পিকার হিসেবে ছিলেন বিএএসএম এর মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী, বিএএসএম এর ফ্যাকাল্টি মেম্বার মো. সাদ্দাম হোসাইন খান, মো. রিজভী আহমেদ।

অন্যদের মাঝে আরো বক্তব্য দেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন ড. মো. কামাল হোসাইন, ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম, প্রক্টর মো. আমজাদ হোসেন প্রমুখ।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ বলেন, “প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত সফট স্কিল প্রশিক্ষণ চালু করা হবে, যা শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত ও পেশাগত দক্ষতা উন্নত করবে। পাশাপাশি তৃতীয় একটি বিদেশি ভাষা শিক্ষা (জাপানিজ, চাইনিজ, হিন্দি বা অন্যান্য আন্তর্জাতিক ভাষা) বাধ্যতামূলক করা হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে আরো প্রতিযোগিতামূলক হতে পারে। পরবর্তী ভর্তি পরীক্ষা থেকেই এ উদ্যোগ কার্যকর হবে, যা শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাফল্যের নতুন দ্বার উন্মোচন করবে।”

ঢাকা/ইমদাদুল/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পবিত্র রমজানের শিক্ষা বিস্তৃত হোক জীবনব্যাপী

ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের দ্বিতীয় স্তম্ভ হলো সালাত বা নামাজ। ইমানের পরেই নামাজ। পবিত্র রমজান মাস হলো নামাজের মাস, যেমন তারাবিহর নামাজ ও কিয়ামুল লাইল নামাজের পাশাপাশি পবিত্র রমজানে সাহ্‌রির বদৌলতে তাহাজ্জুদ নামাজের অভ্যাস গড়া সহজ হয়; এশা ও ফজরের নামাজ জামাতে পড়ার সুযোগ বৃদ্ধি পায়। ফজরের নামাজ আগেভাগে পড়ে ঘুমানোর কারণে সকালে ইশরাক নামাজ পড়ার সুবিধা হয়।

পবিত্র রমজানের কারণে কাজের চাপ কম থাকায় চাশত নামাজ ও জোহরের আগে আওয়াবিন নামাজ আদায়ের সুযোগ হয়। বিকেলে অফিস বা কর্মস্থল থেকে আগে ফেরার কারণে আসরের নামাজ জামাতে পড়া যায়। একসঙ্গে ইফতার করার সুবাদে মাগরিবের নামাজের জামাতও পাওয়া যায়। অন্যান্য নফল নামাজও বেশি পড়া হয়। পবিত্র রমজানেই নামাজের পূর্ণতা আসে।

ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের তৃতীয় স্তম্ভ হলো জাকাত। সাহাবায়ে কিরাম পবিত্র রমজানেই জাকাত প্রদান করতেন। পবিত্র রমজানে জাকাত প্রদানে চান্দ্রবর্ষের হিসাব অনুযায়ী সঠিকভাবে জাকাত প্রদান করা সহজ হয়।

ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের চতুর্থ স্তম্ভ হলো হজ। পবিত্র রমজানে ওমরাহ পালন করলে নবীজি (সা.)–এর সঙ্গে হজ করার সমান সওয়াব পাওয়া যায়। ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের পঞ্চম স্তম্ভ হলো সিয়াম বা রোজা। রোজা হলো পবিত্র রমজানের প্রধান অনুষঙ্গ। আগুন যেমন সোনাকে বিশুদ্ধ করে, তেমনি রোজা ইমানদারের কামনা–বাসনাকে দহন করে তাঁকে খাঁটি বান্দায় পরিণত করে।

রোজার ফিদইয়া পবিত্র রমজানেরই অংশ। রোজা একটি শারীরিক ও মানসিক ইবাদত। কিন্তু অসুস্থ ও দুর্বল ব্যক্তির জন্য কাজার পাশাপাশি অপারগতায় ফিদইয়ার বিধান রাখা হয়েছে, যা আর্থিক ইবাদত। এতে বোঝা যায় রোজার পরিধি কত ব্যাপক।

রোজার কাফফারা পবিত্র রমজানের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। রোজা শারীরিক ইবাদত হওয়া সত্ত্বেও দুর্বলচিত্তের ব্যক্তি যদি রোজা ভঙ্গ করেন, তবে তাঁর জন্য কাফফারার বিধান রয়েছে। এটি হলো দাস মুক্তি দেওয়া অথবা ৬০ জন গরিবকে দুই বেলা পরিপূর্ণ আহার করানো অথবা একাধারে ৬০টি রোজা রাখা। অর্থাৎ যদি কেউ রমজান মাসের একটি রোজা ভঙ্গ করেন, তবে তাঁকে ৬০ দিনের রোজা রাখতে হবে অথবা কাফফারা আদায় করতে হবে। এর মাধ্যমে বোঝা যায়, দান–খয়রাত ও সমাজকল্যাণই পবিত্র রমজানের অন্যতম উদ্দেশ্য।

রোজা শেষে পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন ঈদের নামাজে যাওয়ার আগে সদকাতুল ফিতর আদায় করতে হয়। দাতা ও গ্রহীতার সুবিধার্থে পবিত্র রমজানেও এটি প্রদান করা যায়। ঈদের সঙ্গে ফিতরার সম্পৃক্ততার কারণে এর নাম হয়েছে ঈদুল ফিতর। সদকাতুল ফিতর হলো ঈদের আনন্দ সর্বজনীন করার উপায়। ধনী–গরিব সবাই যেন ঈদের আনন্দে শামিল হতে পারেন, সে জন্য এই ব্যবস্থা। সদকাতুল ফিতর পবিত্র রমজানে রোজা পালনের শুকরিয়াস্বরূপ এবং এটি রোজাকে পূর্ণতা দেয়।

পবিত্র রমজানের বিশেষ উপহার হলো ইতিকাফ। মানবজীবনে আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের অন্যতম মাধ্যম হলো ইতিকাফ। পবিত্র রমজান মাসের শেষ দশকে ইতিকাফ করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা কিফায়া। এখান থেকেও পবিত্র রমজানের মহিমা বোঝা যায়। এক দশকের কম সময়ের ইতিকাফ নফল হলেও এই ইতিকাফ অন্য সময়ের চেয়ে ৭০ গুণ বেশি ফজিলতের। ইতিকাফ বছরের যেকোনো সময় করা যায়, তবে সর্বনিম্ন সীমা হলো এক দিন অর্থাৎ সূর্যাস্তের আগে থেকে পরের দিনের সূর্যাস্ত পর্যন্ত।

পবিত্র রমজানের অনন্য উপহার হলো শবে কদর। এটি এমন এক রাত, যা হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। হাজার মাস মানে প্রায় ৮৩ বছর ৪ মাস, যা একটি মানবজীবনের সময়ের সমান। সুতরাং পবিত্র রমজানের সুফল জীবনব্যাপী।

মুফতি মাওলানা শাঈখ মুহাম্মাদ উছমান গনী

যুগ্ম মহাসচিব, বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতি; সহকারী অধ্যাপক, আহ্ছানিয়া ইনস্টিটিউট অব সুফিজম

[email protected]

সম্পর্কিত নিবন্ধ