মোহাম্মদপুরের ‘কবজিকাটা গ্রুপের’ অন্যতম সহযোগীসহ ৮ জন গ্রেপ্তার
Published: 24th, February 2025 GMT
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ‘কবজিকাটা গ্রুপের’ প্রধান সহযোগী ও কিশোর গ্যাং লিডার মো. বাবু খান ওরফে টুন্ডা বাবুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-২। একই সঙ্গে কবজিকাটা গ্রুপের প্রধান মো. আনোয়ার হোসেন ওরফে কবজিকাটা আনোয়ারের প্রধান সহযোগী মো. রফিকুল ইসলাম রানা ওরফে রিফাত ওরফে রাফাতসহ আরও সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের কাছ থেকে মাদক ও বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
গতকাল রোববার সাভারের হেমায়েতপুর আলম নগর সুগন্ধা হাউজিং এলাকার একটি ভবন এবং রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। আজ সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব এসব তথ্য জানিয়েছে।
গ্রেপ্তার অন্য ব্যক্তিরা হলেন সাকিব মৃধা (২২), মো.
র্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অভিযানে ৪টি সামুরাই, ৪টি চাপাতি, ২টি ছুরি, ২ টি চায়নিজ কুড়াল, ২টি হাতুড়ি, ৪৫০টি ইয়াবা, নগদ ৬ লাখ ৭৬ হাজার ৯০০ টাকা, মাদকদ্রব্য পরিমাপ করার একটি ডিজিটাল স্কেল, ১৩টি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল এবং ৪টি বাটন মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানায়, শুটার আনোয়ার ওরফে কবজিকাটা আনোয়ারের নির্দেশে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা মোহাম্মদপুর এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, ভূমি দখল, চুরি-ছিনতাই, ডাকাতি, হত্যাসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করত। তারা সাধারণত দিনের বেলায় ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন এলাকায় কম জনসমাগমপূর্ণ স্থানে পথচারীদের জিম্মি করে নগদ অর্থ, মোবাইল, ল্যাপটপ, ভ্যানিটি ব্যাগ ইত্যাদি মূল্যবান সামগ্রী ছিনতাই করত। রাত গভীর হলেই বাসাবাড়ি, ফ্ল্যাটে এবং গাড়ি থামিয়ে অস্ত্রের মুখে মানুষের কাছ থেকে সর্বস্ব লুটে নিত।
আরও পড়ুন‘কবজিকাটা’ বাহিনীর প্রধান আনোয়ারসহ গ্রেপ্তার ৩: র্যাব১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫এর আগে ১৮ ফেব্রুয়ারি কবজিকাটা গ্রুপের প্রধান আনোয়ার হোসেন ওরফে কবজিকাটা আনোয়ার এবং তার দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে রাজধানীর উপকণ্ঠ কেরানীগঞ্জ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর ম হ ম মদপ র কবজ ক ট ন ওরফ সহয গ
এছাড়াও পড়ুন:
আওয়ামী লীগকে যেখানে পাবেন, গণধোলাই দিয়ে জেলে ভরে দেবেন: কুমিল্লায় এনসিপি নেতা জয়নাল
কোনো দল যদি মজলুম থেকে জালিমে রূপান্তর হতে চায়, তাদেরও আওয়ামী লীগের মতোই পরাজিত করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্যসচিব জয়নাল আবেদীন (শিশির)। শুক্রবার ইফতারের আগে কুমিল্লার লালমাই উপজেলার বাগমারা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত সমাবেশ ও ইফতার মাহফিলে এ মন্তব্য করেন।
লালমাই উপজেলা এনসিপির ব্যানারে ‘গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগের বিচার, নিবন্ধন বাতিল, রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবি’তে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘বিগত দিনে শুনেছি, কুমিল্লা আওয়ামী সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি। কিন্তু আমরা বলতে চাই, কুমিল্লায় যেখানে আওয়ামী লীগ, সেখানেই গণধোলাই। আওয়ামী লীগকে যেখানে পাবেন, সেখানে গণধোলাই দিয়ে জেলে ভরে দেবেন। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আমাদের স্লোগান হলো—একটা একটা লীগ ধর, ধরে ধরে জেলে ভর।’
কেউ কেউ এখন জুলাই বিপ্লবকে অস্বীকার করতে চাইছে উল্লেখ করে জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘তারা এটাকে দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলছে না। তারা বলছে, এটা নাকি বিপ্লবই হয়নি। আপনারা আমাদের সহযোগী ছিলেন। এত দিন মজলুম ছিলেন। আপনারা যদি এখন মজলুম থেকে জালিমে রূপান্তর হতে চান, আমরা আপনাদের আওয়ামী লীগের মতোই পরাজিত করে ছাড়ব।’
জয়নাল আবেদীন আরও বলেন, ‘জুলাইয়ের প্রত্যেক শহীদকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দিতে হবে। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আহ্বান জানাই, অবিলম্বে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশ করুন। সেকেন্ড রিপাবলিক (স্বাধীনতা) ঘোষণা করুন। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে অনেক ছিনিমিনি খেলা হয়েছে। এখনো খেলার চেষ্টা চলছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণপরিষদ নির্বাচন একই সঙ্গে দিতে হবে। যদি এর ব্যতিক্রম হয় জুলাই আন্দোলনের মহানায়করা আবারও রাজপথে বুকের তাজা রক্ত দিতে নেমে আসবে।’
সমাবেশ ও ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্য হাফসা জাহান, এনসিপির ফজলে এলাহি, হুমায়ুন কবির, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লা মহানগর কমিটির আহ্বায়ক আবু রায়হান, সদস্যসচিব মুহাম্মদ রাশেদুল হাসান প্রমুখ।
ইফতার মাহফিল শেষে এনসিপির নেতারা আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের বাগমারা বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিলটি বাগমারা উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে বাগমারা দক্ষিণ বাজারে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় তাঁরা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেয়।