বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ভারতের ইস্যু না: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
Published: 24th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ভারতকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা বাংলাদেশের সাথে কেমন সম্পর্ক চায়। এ বিষয়ে বাংলাদেশ তার জায়গায় স্পষ্ট।
তিনি বলেন, ভারতের সংখ্যালঘু যেমন বাংলাদেশের ইস্যু না, ঠিক তেমন বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ভারতের ইস্যু না। এসব ইস্যুতে ভারতীয় মিডিয়া প্রপাগান্ডামূলক সংবাদ ছড়াচ্ছে। এগুলো পুরোই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। শেখ হাসিনা ভারতে আরাম আয়েশে বসে যে বক্তব্য দিচ্ছে তাতে দুদেশের সম্পর্ক খারাপ হচ্ছে।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তাদের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা অহরহ বাংলাদেশের বিপক্ষে বক্তব্য দেয়। এর মাঝেই সম্পর্ক ভালো করার চেষ্টা করছি। ভিসা তাদের অধিকার। এতে কিছু বলার নাই। আমরা বিকল্প খুঁজে নেবো।
সম্প্রতি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বাংলাদেশিদের অংশ নেয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। সে ব্যাপারে তিনি বলেন, ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধে যারা যাচ্ছে, আদম পাচারকারীদের ফাঁদে পড়ে যাচ্ছে। তাদের ফিরিয়ে আনা কঠিন কাজ। কতটুকু সরকার করতে পারবে তাতে সন্দিহান বলেও জানান তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশে ২৯ মিলিয়ন ডলার অর্থায়নের ব্যাপারে তিনি বলেন, এ সম্পর্কে কোনো তথ্য নেই। আমরা এ ব্যাপারে কিছু জানি না। এগুলো এনজিও ব্যুরোর অনুমোদন ছাড়া হয় না।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টার নেতৃত্বে এই মন্ত্রণালয় ভালো কিছু করতে পারছে না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, নিশ্চয়ই আমি পারছি না। না হলে এমন প্রশ্ন আসছে কেনো? যদি কাউকে পাওয়া যায় যে ভালো পারবে, আমি খুব আনন্দের সাথে তাকে এখানে স্বাগত জানিয়ে চলে যাব।
এম জি
.উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: পরর ষ ট র উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
সড়ক অবরোধমুক্ত করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করে সেনাবাহিনী
সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ করলে দেশের অর্থনীতিসহ সব সেক্টরে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। সড়ক অবরোধমুক্ত করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করে থাকে সেনাবাহিনী। যত কম সময়ের মধ্যে মুক্ত করা যায়– এ লক্ষ্যে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা থাকে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা সেনানিবাসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সেনাসদর মিলিটারি অপারেশনস ডাইরেক্টরেটের স্টাফ কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বিগত সময়ে শিল্পাঞ্চলে নিরাপত্তা নিশ্চিতে সেনাবাহিনী ১৩৭টি ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। ৩১ বার বিভিন্ন মূল সড়ককে অবরোধ থেকে অবমুক্ত করেছে।
কর্নেল শফিকুল ইসলাম জানান, গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে এখন পর্যন্ত ৭ হাজার ৮২২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী। গত দুই মাসে নিয়ন্ত্রণ করেছে ২৩২টি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি। এর মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত ৩৭টি, সরকারি সংস্থা ও অফিস-সংক্রান্ত ২৪টি, রাজনৈতিক কোন্দল ৭৬টি এবং অন্য ঘটনা ৯৫টি।
তিনি বলেন, সেনাবাহিনী দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখাসহ বিদেশি কূটনীতিক ও দূতাবাসগুলোর সামগ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের কাজে নিয়োজিত রয়েছে। এ ছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং কক্সবাজার জেলায় এফডিএমএন ক্যাম্প এলাকার নিরাপত্তা বিধান করার দায়িত্বও সুষ্ঠুভাবে পালন করে যাচ্ছে।
এক প্রশ্নের জবাবে এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা প্রয়োগে সেনাবাহিনী কোনো বাধা পাচ্ছে না। এই ক্ষমতা যেখানে যতটুকু ব্যবহারের দরকার, সেটা করা হচ্ছে। অপরাধী গ্রেপ্তারের পর অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে হস্তান্তরের পর বিচারকার্যে সেনাবাহিনীর কিছু করার থাকে না।
গুজবে সেনাবাহিনী বিচলিত নয় জানিয়ে তিনি বলেন, সেনাবাহিনী একতাবদ্ধ হয়ে সরকারের নির্দেশে দেশ-জাতির পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছে। সততা, ন্যায়নীতি, প্রত্যয় ও সহনশীলতার সঙ্গে এটি করা হচ্ছে।
শফিকুল ইসলাম বলেন, কিছুদিন আগেও দেখেছেন মার্চ ফর গাজা কর্মসূচিতে দীর্ঘ মিছিলে কালো পতাকাধারীদের রহিত করেছে সেনাবাহিনী। কালো পতাকাধারী হলেই জঙ্গি, এর প্রমাণ পাইনি। তবে এ ব্যাপারে সেনাবাহিনী সোচ্চার আছে।
সেনাপ্রধানের রাশিয়া ও ক্রোয়েশিয়া সফর নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বন্ধুপ্রতিম দেশে সেনাবাহিনী প্রধানের সফর একটি ‘রুটিন অ্যাফেয়ার’। সেখানে বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়েছে। বেশ কিছু মিলিটারি ইন্ডাস্ট্রি পরিদর্শন করেছেন। এতে আমাদের সামরিক সহযোগিতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক প্রগাঢ় হবে বলে বিশ্বাস করি।