ফরিদপুরে ইজিবাইক চালককে হত্যার দায়ে ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
Published: 24th, February 2025 GMT
ফরিদপুরে শাহাদাত মুন্সী (১৫) নামে এক কিশোর ইজিবাইক চালককে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে তিন ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা অনাদায়ে তাদের আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
হত্যাকাণ্ডের শিকার কিশোর শাহাদাত ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার কাপুরিয়া সদরদী এলাকার বেলায়েত মুন্সীর ছেলে।
সোমবার বিকেল চারটার দিকে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক অশোক কুমার দত্ত এ রায় প্রদান করেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার চৌধুরীকান্দা সদরদী গ্রামের আয়নাল শেখ (৩৬), স্বপন মুন্সী (৩৬) এবং আলামিন শেখ (৩৩)। রায় ঘোষণার সময় আলামিন শেখ আদালতে হাজির ছিলেন না। রায়ের পর আদালতে উপস্থিত আয়নাল শেখ ও স্বপন মুন্সীকে পুলিশ প্রহরায় জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, শাহাদাত মুন্সী ইজিবাইক চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করত। ২০১২ সালের ১২ জানুয়ারি বিকেল ৫টার দিকে ভাঙ্গা উপজেলা অটোস্ট্যান্ড থেকে নিখোঁজ হয়। পরদিন ১৩ জানুয়ারি দুপুর দুইটার দিকে তার লাশ পাওয়া যায় নগরকান্দার উপজেলার ডাঙ্গী ইউনিয়নের বাসাগাড়ি গ্রামে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের পাশের একটি ডোবায়। আসামিরা কিশোর শাহাদাতের ইজিবাইক ছিনতাই করে তাকে গামছা দিয়ে পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
এ ঘটনায় ওইদিনই (১৩ জানুয়ারি) শাহাদাতের ভাই আবু সাঈদ বাদী হয়ে নগরকান্দা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামিদের অজ্ঞাতনামা হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
এ মামলাটি তদন্ত করে ২০১৩ সালের ৩১ মার্চ নগরকান্দা থানার উপপরিদর্শক মো.
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ওই আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মো. রকিবুল ইসলাম বিশ্বাস বলেন, ১৮৪০ সালের পেনাল কোডের ৩০২ ধারাসহ তৎসংলগ্ন ধারায় এই রায় প্রদান করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এই রায়ে প্রমাণ হয়েছে অপরাধ করে পার পাওয়ার কোনও সুযোগ নেই। এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
ফরিদপুরে ইজিবাইক চালককে হত্যার দায়ে ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ফরিদপুরে শাহাদাত মুন্সী (১৫) নামে এক কিশোর ইজিবাইক চালককে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে তিন ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা অনাদায়ে তাদের আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
হত্যাকাণ্ডের শিকার কিশোর শাহাদাত ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার কাপুরিয়া সদরদী এলাকার বেলায়েত মুন্সীর ছেলে।
সোমবার বিকেল চারটার দিকে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক অশোক কুমার দত্ত এ রায় প্রদান করেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার চৌধুরীকান্দা সদরদী গ্রামের আয়নাল শেখ (৩৬), স্বপন মুন্সী (৩৬) এবং আলামিন শেখ (৩৩)। রায় ঘোষণার সময় আলামিন শেখ আদালতে হাজির ছিলেন না। রায়ের পর আদালতে উপস্থিত আয়নাল শেখ ও স্বপন মুন্সীকে পুলিশ প্রহরায় জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, শাহাদাত মুন্সী ইজিবাইক চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করত। ২০১২ সালের ১২ জানুয়ারি বিকেল ৫টার দিকে ভাঙ্গা উপজেলা অটোস্ট্যান্ড থেকে নিখোঁজ হয়। পরদিন ১৩ জানুয়ারি দুপুর দুইটার দিকে তার লাশ পাওয়া যায় নগরকান্দার উপজেলার ডাঙ্গী ইউনিয়নের বাসাগাড়ি গ্রামে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের পাশের একটি ডোবায়। আসামিরা কিশোর শাহাদাতের ইজিবাইক ছিনতাই করে তাকে গামছা দিয়ে পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
এ ঘটনায় ওইদিনই (১৩ জানুয়ারি) শাহাদাতের ভাই আবু সাঈদ বাদী হয়ে নগরকান্দা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামিদের অজ্ঞাতনামা হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
এ মামলাটি তদন্ত করে ২০১৩ সালের ৩১ মার্চ নগরকান্দা থানার উপপরিদর্শক মো. আতিয়ার রহমান তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। এরপর দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ এ রায় প্রদান করা হল।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ওই আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মো. রকিবুল ইসলাম বিশ্বাস বলেন, ১৮৪০ সালের পেনাল কোডের ৩০২ ধারাসহ তৎসংলগ্ন ধারায় এই রায় প্রদান করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এই রায়ে প্রমাণ হয়েছে অপরাধ করে পার পাওয়ার কোনও সুযোগ নেই। এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।