৪ সড়ক ও ৮ সেতু থেকে শেখ পরিবারের নাম বাদ
Published: 24th, February 2025 GMT
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) চারটি মহাসড়ক ও আটটি সেতুর নাম পরিবর্তন করেছে সরকার। শেখ পরিবারের সদস্যদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে এসব স্থাপনা থেকে।
সোমবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক্সপ্রেসওয়ে’ থেকে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেস নাম পুনর্বহাল করা হয়েছে।
সিলেটে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়ক’কে আগের নামে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বিমানবন্দর বাইপাস ইন্টারসেকশন-লালবাগ-সালুটিকর-কোম্পানীগঞ্জ-ভোলাগঞ্জ জাতীয় মহাসড়কের নাম পুনর্বহাল করা হয়েছে।
মাদারীপুর (মোস্তফাপুর)-ভায়া কাজিরটেক ব্রিজ হয়ে শরীয়তপুর পর্যন্ত দীর্ঘ ২২২ কিলোমিটার দীর্ঘ মহাসড়কের নাম ‘শেখ হাসিনা মহাসড়ক’ থেকে পরিবর্তন করে ‘কাজীরটেক ব্রিজ-শরীয়তপুর মহাসড়ক’ করা হয়েছে।
চট্টগ্রামের মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল সংযোগ সড়কের নাম ‘শেখ হাসিনা সরণি’ থেকে পরিবর্তন করে বড়তাকিয়া (আবুতোরাব)-মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল সংযোগ সড়ক করা হয়েছে।
পীরগঞ্জ উপজেলার কাঁচদহঘাটে করতোয়া নদীতে নির্মিত সেতুর নাম ‘ওয়াজেদ মিয়া সেতু থেকে ‘কাঁচদহ সেতু’ নামে পুনর্বহাল করা হয়েছে।
পটুয়াখালী-কুয়াকাটা আঞ্চলিক মহাসড়কে আন্দারমানিক নদীতে নির্মিত সেতুর নাম ‘শেখ কামাল সেতু’ থেকে পরিবর্তন করে ‘আন্দারমানিক সেতু’ নামকরণ করা হয়েছে।
পটুয়াখালী-কুয়াকাটা আঞ্চলিক মহাসড়কে সোনাতলা নদীর উপর নির্মিত সেতুর নাম ‘শেখ জামাল সেতু’ থেকে পরিবর্তন করে ‘সোনাতলা সেতু’ নামকরণ করা হয়েছে।
পটুয়াখালী-কুয়াকাটা আঞ্চলিক মহাসড়কের খাপড়াভাঙ্গা নদীর ওপর নির্মিত সেতুর নাম ‘শেখ রাসেল সেতু’ থেকে পরিবর্তন করে ‘খাপড়া ভাঙ্গা সেতু’ রাখা হয়েছে।
পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর উপজেলায় বলেশ্বর নদীতে নির্মিত সেতুর নাম ‘শহীদ শেখ ফজলুল হক মনি’ সেতু থেকে পরিবর্তন করে ‘ইন্দুরকানি সেতু’ রাখা হয়েছে।
রাজাপুর-নৈকাঠী-বেকুটিয়া-পিরোজপুর জেলা মহাসড়কের বেকুটিয়া পয়েন্টে কঁচা নদীতে নির্মিত সেতুর নাম ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব সেতু’ থেকে ‘বেকুটিয়া সেতু’ রাখা হয়েছে।
দ্বিতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর নাম ‘সুলতানা কামাল সেতু’ থেকে ‘ডেমরা সেতু’ রাখা হয়েছে এবং বরিশালে দপদপিয়া সেতুর নাম ‘শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাদ সেতু’ থেকে ‘দপদপিয়া সেতু’ রাখা হয়েছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভুলবশত বিতাড়িত ব্যক্তির সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন মার্কিন সিনেটর
যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত এল সালভাদর বংশোদ্ভূত কিলমার আবরেগো গার্সিয়ার সঙ্গে গতকাল বৃহস্পতিবার সাক্ষাৎ করেছেন মার্কিন সিনেটর ক্রিস ভ্যান হোলেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা ইতিমধ্যে স্বীকার করেছেন, কিলমারকে ভুল করে যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড থেকে বিতাড়িত করে এল সালভাদরের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
কিলমারের সঙ্গে সাক্ষাতের বেশ কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন ম্যারিল্যান্ডের ডেমোক্রেটিক সিনেটর ক্রিস ভ্যান হোলেন।
মার্কিন এক ফেডারেল বিচারকের আদেশ সত্ত্বেও কিলমারকে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরিয়ে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।
এই সাক্ষাতের পর কিলমারকে মুক্তি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন এল সালভাদরের প্রেসিডেন্ট নায়েব বুকেলে। তিনি বলেছেন, কিলমার দেশটির কারা হেফাজতেই থাকবেন।
হোয়াইট হাউসের অভিযোগ, কিলমার ট্রান্সন্যাশনাল সালভাদোরিয়ান গ্যাং এমএস-১৩-এর সদস্য।
এমএস-১৩ যুক্তরাষ্ট্রের তালিকাভুক্ত বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন। কিলমারের আইনজীবী হোয়াইট হাউসের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
ঘটনাটি এমন একসময় ঘটল, যখন অভিবাসন নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও দেশটির বিচার বিভাগের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে।
গত বুধবার অন্য একটি মামলায় এক মার্কিন বিচারক বলেছেন, বিতাড়ন ফ্লাইটের জেরে প্রশাসনকে আদালত অবমাননার অভিযোগে অভিযুক্ত করা যেতে পারে।
মার্কিন সিনেটর ক্রিস ভ্যান হোলেন তাঁর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে বলেছেন, ‘আমি বলেছি, আমার এই সফরের মূল লক্ষ্য ছিল কিলমারের সঙ্গে দেখা করা। আজ (বৃহস্পতিবার) রাতে আমার সেই সুযোগ হয়েছিল। আমি তাঁর স্ত্রী জেনিফারকে ফোন করে তাঁর (কিলমার) ভালোবাসার বার্তা পৌঁছে দিয়েছি। আমি দেশে ফিরে আসার পর পূর্ণ হালনাগাদ তথ্য জানানোর জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।’
এল সালভাদরের সেন্টার ফর দ্য কনফাইনমেন্ট অব টেররিজমে (সর্বোচ্চ নিরাপত্তার কারাগার) বন্দী আছেন কিলমার।
মার্কিন সিনেটর ক্রিস ভ্যান হোলেন জানান, এদিন কারাগারটিতে কিলমারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার সময় সশস্ত্র রক্ষীরা তাঁকে থামিয়ে দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুনকারাগারে রাখার জন্য ভেনেজুয়েলার ২৩৮ নাগরিককে এল সালভাদরে পাঠাল যুক্তরাষ্ট্র১৬ মার্চ ২০২৫সিনেটর ক্রিস ভ্যান হোলেন কয়েক দিন ধরে এল সালভাদরে অবস্থান করছেন। তিনি কিলমারের মুক্তির জন্য কাজ করছেন। তাঁর অঙ্গরাজ্যেই বসবাস করে আসছিলেন কিলমার।
এল সালভাদরের প্রেসিডেন্ট এক্সে (সাবেক টুইটার) সিনেটর ক্রিস ভ্যান হোলেনের সঙ্গে কিলমারের সাক্ষাতের ছবি রিপোস্ট করেন। এই রিপোস্টে তিনি কিলমারের সুস্থতা নিয়ে উদ্বেগকে উপহাস করেছেন বলে মনে হয়।
আরও পড়ুনভুলে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত ব্যক্তিকে ফেরত দেবে না এল সালভাদর: প্রেসিডেন্ট নায়েব১৫ এপ্রিল ২০২৫বিবিসির খবরে বলা হয়, গত ১২ মার্চ মার্কিন অভিবাসন কর্তৃপক্ষ আইসিই মেরিল্যান্ডে চলন্ত গাড়ি থেকে কিলমারকে গ্রেপ্তার করে। কোনো ধরনের নোটিশ, আইনিপ্রক্রিয়া বা শুনানি ছাড়াই তিন দিনের মাথায় গত ১৫ মার্চ তাঁকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত করে এল সালভাদরের কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
বিবিসির খবরে আরও বলা হয়, কিশোর বয়সে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করা কিলমারের বয়স এখন ২৯ বছর। ২০১৯ সালে আরও তিন ব্যক্তির সঙ্গে মেরিল্যান্ডে তিনি গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। কিন্তু সে সময় একজন অভিবাসন বিচারক তাঁকে বিতাড়ন থেকে সুরক্ষা পাওয়ার অধিকার দিয়েছিলেন। এর কারণ হিসেবে বিচারক বলেছিলেন, কিলমারকে দেশে ফেরত পাঠানো হলে স্থানীয় সন্ত্রাসী দল তাঁর ক্ষতি করতে পারে।
আরও পড়ুনফিলিস্তিনি বাবার ছেলে এল সালভাদরের প্রেসিডেন্ট, ট্রাম্পের নয়া বন্ধু কে এই নায়েব বুকেলে১৬ ঘণ্টা আগে