‘প্রথম দেখায় প্রেম’ কথাটায় কোনো দিন বিশ্বাস করিনি, অথচ...
Published: 24th, February 2025 GMT
‘প্রথম দেখায় প্রেম’ কথাটায় কোনো দিন বিশ্বাস করিনি। কারণ, মানুষের বাহ্যিক সৌন্দর্যে আমি কখনো অকৃষ্ট হই না। তার প্রেমে পড়ার ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে।
নাম না হয় না–ই বলি। একটা প্রজেক্টে তার সঙ্গে দেখা। অনেক মানুষের ভিড়ে খুব যে একটা আলাদা, প্রথম দেখায় তা মনে হয়নি। কিন্তু একটা সময় খেয়াল করলাম, সবাই তার আচরণ, কাজ, কথায় মুগ্ধ। এ মুগ্ধতা আমাকে সেভাবে স্পর্শ করেনি; কারণ, দূরত্ব ছিল। সকালে যখন হাঁটতে বের হতাম, দেখতাম, সে জঙ্গলে ঘুরছে। নানা কিছু কুড়াচ্ছে, নয়তো কুকুরের বাচ্চা কোলে নিয়ে টংদোকানে ধোঁয়া–ওঠা চা খাচ্ছে। সাধারণ সৌজন্য বিনিময় হতো, ছোটখাটো সম্ভাষণ—এ পর্যন্ত।
আরও পড়ুনপ্রথম প্রেম কেন ভোলা যায় না২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫একদিন ভোরে দেখি একটা গাছের নিচে চোখ বুজে ধ্যানের ভঙ্গিতে বসে আছে। বেশ কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলাম। এরপর সুপ্রভাত জানালাম। চোখ মেলে চাইল, যেন ধ্যানভঙ্গ হলো। এত ভোরে গাছের নিচে বসে আছে কেন, জানতে চাইলাম। আমাকে ইশারায় কথা বলতে বারণ করল এবং কাছে ডাকল। মন্ত্রমুগ্ধের মতো কাছে গেলাম, সে উঠে দাঁড়াল এবং তার বসার জায়গায় চোখ বন্ধ করে বসতে বলল। আমি চোখ বুজে ধ্যানে বসলাম।
মিষ্টি একটা সুবাস, বুক ভরে শ্বাস নিলাম। পরের ঘটনাটার জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম না। আমার ওপর যেন শত শত পাপড়ি ঝরে পড়ল। চোখ মেলে দেখি, কোথাও কেউ নেই। আমি একা আর চারপাশে ঝরে পড়া তারার মতো শুভ্র শিউলি ফুল। বুঝতে পারলাম, সে গাছটায় ঝাঁকি দিয়ে আমার ওপর ফুল ফেলে চলে গেছে।
আরও পড়ুনসুখী দাম্পত্য সম্পর্কে থেকেও কেন মানুষ প্রেমে পড়ে?১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪এক দিন পর প্রজেক্টের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। তার সম্পর্কে তেমন কিছু জানি না। দুজন দুদিকে চলে গেছি। ভেবেছিলাম, এ ক্ষণিকের মোহ। কিন্তু এখনো খুব ভোরে ঘুমের ঘোরে শিউলির সুবাস আমাকে আচ্ছন্ন করে। মনে হয়, শতসহস্র শিউলি আমার ওপর ঝরে পড়ছে।
আমি তাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। শুনেছি, অন্য শহরে আরেকটা প্রজেক্টে কাজ করছে। এখন শুধু মুখোমুখি হওয়ার অপেক্ষা।
আরও পড়ুনআম্মার ভয়ে প্রেম করিনি, এখন আম্মাই বলে, তুমি খুঁজে আনো০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
এই কঠিন সময়ে ঐক্য ধরে রাখা প্রয়োজন: ঢাবি উপাচার্য
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির ঐক্য রক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান।
উপাচার্য বলেন, ‘আমরা একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছি। এক অর্থে জাতির জন্য এটি একটি ক্রান্তিকাল। এই সময়ে আমাদের ঐক্য ধরে রাখা একান্তই প্রয়োজন।’
আজ রোববার সকালে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের কাছে নিয়াজ আহমেদ খান এ কথা বলেন।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস জাতির জন্য পরম শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও মমতার দিন। এক গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, চিন্তাবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। তাঁদের সেই চূড়ান্ত আত্মত্যাগ ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে আছে।
নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, যুগে যুগে ও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ এ জাতিকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ঐক্যবদ্ধ করেছে এবং সাহস জুগিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় জাতি ১৯৯০ ও ২০২৪ সালের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়েছে।
উপাচার্য আরও বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ আজও জাতির ঐক্য ধরে রাখার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোকবর্তিকা। একই সঙ্গে ১৯৫২, ১৯৬৮, ১৯৬৯, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি আন্দোলন–সংগ্রামে যাঁরা রক্ত ও জীবন দিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষা করেছেন, তাঁদের সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।
নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ১৯৫২ থেকে ২০২৪—এর প্রতিটি দিন ও ঘটনাপ্রবাহ জাতির মৌলিক পরিচয়ের মাইলফলক। এর কোনো অংশ বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। এ ইতিহাসই যুগে যুগে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছে, আর বর্তমান সময়ে সেই ঐক্য ধরে রাখাই সবচেয়ে বড় প্রয়োজন।