সারা দেশে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, রাহাজানি, হত্যা নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের শক্ত পদক্ষেপ এবং ধর্ষকদের প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার থেকে ব্লকেড কর্মসূচি ঘোষণা করে মিছিল বের করেন। মিছিলটি পুরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে আসে।

সেখান থেকে ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক ধরে ক্যালিকো কটন মিলের ঘুরে পুনরায় প্রধান ফটকের সামনে এসে মহাসড়ক অবরোধ করেন। এ সময় তারা ধর্ষণ, চুরি-ডাকাতির বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন।

অবরোধ চলাকালে পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমুস সাকিব সিজান বলেন, “সারাদেশে উদ্বেগজনক হারে হত্যা, ধর্ষণ, রাহাজানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা সবাইকে অনুরোধ করব, হত্যা, ধর্ষণ, রাহাজানির বিরুদ্ধে সবাই নিজেদের জায়গা থেকে সোচ্চার হন। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এগুলোর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা চাই সবাই এর প্রতিবাদ করুক।”

অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী রাশেদুল ইসলাম বলেন, “স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা যে চেয়ারে বসে আছেন, সেটা শহীদদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে। কিন্তু আমরা আজ চোখের সামনে আমাদের মা-বোনদের ধর্ষণ হতে দেখছি, প্রতিদিন ডাকাতি হতে দেখছি। সারাদেশে আইন-শৃঙ্খলার যে অবনতি হয়েছে তাতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা তার চেয়ারে বসে থাকার অধিকার রাখেন না। আমরা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করছি।”

ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী মিরাজুল ইসলাম বলেন, “আমরা চাই, আমাদের মা-বোনেরা সবসময় যেন নিরাপদ থাকে। তারা যেন তাদের সম্ভ্রম নিয়ে চিন্তিত না থাকে। আমরা চব্বিশের বিপ্লব ঘটিয়েছি মা বোনের সম্ভ্রমহানির জন্য নয়। যে ধর্ষণ করবে আইন পাশ করার মাধ্যমে তাকে প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে।”

ঢাকা/আতিক/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অবর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ভালো উইকেট চাইলেন বাংলাদেশ কোচ

বাংলাদেশ দলের কোচ ফিল সিমন্স মনে করেন, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে স্পিন বান্ধব উইকেট তৈরি না করে টেস্ট মানসম্পন্ন রাখাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তার মতে, ভালো উইকেটই দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়তা করবে।

বাংলাদেশের বেশিরভাগ টেস্ট মাঠে, বিশেষ করে মিরপুরে, স্পিনারদের জন্য স্বর্গ বলা হয়ে থাকে। তবে সিলেটের উইকেটে তুলনামূলকভাবে পেসারদের জন্য বাড়তি সহায়তা থাকে। আর চট্টগ্রামে ব্যাটাররাও বেশ দাপট দেখান। ২০ এপ্রিল সিলেটে শুরু হতে যাওয়া জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টেও তাই ভিন্ন ধরনের উইকেট চান টাইগার কোচ।

সিমন্স বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা হচ্ছে একটি ভালো উইকেট তৈরি করা, যেখানে আমরা আমাদের টেস্ট দলকে এগিয়ে নিতে পারব। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আলাদা করে স্পিন উইকেট বানানোর দরকার আছে বলে মনে করি না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আজ উইকেট দেখেছি, মনে হয়েছে শক্ত এবং ভালো মানের। দেখা যাক কাল সকালে পরিস্থিতি কেমন থাকে। আমরা জয় পেতে চাই, উইকেট যেমনই হোক।’

২০২৩ সালের নভেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের পর দীর্ঘ বিরতিতে সাদা পোশাকের ক্রিকেটে ফিরছে বাংলাদেশ। এই ফাঁকে ১৩ এপ্রিল থেকে সিলেটে প্রস্তুতি শুরু করেছে শান্ত-মুমিনুল-মিরাজরা। প্রস্তুতির বিষয়েও সন্তুষ্ট সিমন্স।

তিনি বলেন, ‘প্রস্তুতি খুবই ভালো হয়েছে। এখানে যে সুযোগ-সুবিধা আছে, তা যেন স্বপ্নের মতো। হোটেল থেকে মাঠের দূরত্ব কম, সময়ের মধ্যে অনেক কিছু করা যাচ্ছে।’

সিরিজে হোয়াইটওয়াশের পরিকল্পনা থাকলেও, ফিল সিমন্স ধাপে ধাপে এগোনোর পক্ষে। ‘আমরা এখনই হোয়াইটওয়াশ নিয়ে ভাবছি না। প্রথম টেস্টটা জিততে চাই। এরপর সিরিজ জয় নিয়ে ভাবব। প্রথম দিনটা ভালো কাটাতে হবে, ধাপে ধাপে এগোতে হবে। এখন মনোযোগ সিলেটেই, চট্টগ্রার কথা পরে ভাবব।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ