‘ছাভা’ পরিচালকের বিরুদ্ধে ১০০ কোটির মানহানি মামলার হুমকি!
Published: 24th, February 2025 GMT
তথ্য বিকৃতির অভিযোগ এনে সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ‘ছাভা’ সিনেমার নির্মাতাদের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি রুপির মানহানি মামলার হুমকি দিয়েছেন দুই মারাঠা যোদ্ধা গনোজি ও কানহোজির বংশধররা।
সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে, গনোজি ও কানহোজির বিশ্বাসঘাতকতার জেরেই আওরঙ্গজেবের কাছে পরাস্ত হতে হয় সম্ভাজিকে। ষড়যন্ত্র করে মোগল সম্রাটের শিবিরে যোগ দেন দুই মারাঠা যোদ্ধা। মারাঠা লোককথাতেও এই কাহিনি বহুল প্রচারিত।
সিনেমার পর্দায় এমন দৃশ্য দেখেই ফুঁসে উঠছেন গনোজি, কানহোজির বংশের ত্রয়োদশ প্রজন্ম। তাদের অভিযোগ, ছবিতে এমন দৃশ্যের জন্য তাদের পরিবারের মান-মর্যাদা নষ্ট হচ্ছে।
অবিলম্বে পরিচালককে সেই দৃশ্য বদলের জন্য হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। না হলে ১০০ কোটি রুপির মানহানি মামলা করা হবে পরিচালক লক্ষ্মণ উতরেকর ও টিম ‘ছাভা’র বিরুদ্ধে।
কথিত তথ্য বিকৃতি এড়াতে গত ২০ ফেব্রুয়ারি ‘ছাভা’ টিমের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশও পাঠিয়েছেন গনোজি, কানহোজির বংশধরেরা।
প্রতিক্রিয়ায় এর মধ্যেই দুঃখপ্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন নির্মাতা লক্ষ্মণ উতরেকর। এর আগে সিনেমায় সম্ভাজি মহারাজের নাচ ও গানের দৃশ্য নিয়ে বিতর্কের মুখে সিনেমা থেকে দৃশ্যগুলো বাদ দেন নির্মাতারা।
এতে ছত্রপতি সম্ভাজি মহারাজের চরিত্রে দেখা গেছে ভিকি কৌশল এবং তার স্ত্রীর চরিত্রে রাশমিকা মান্দানা। পর্দায় আওরঙ্গজেবের চরিত্রে অভিনয় করেছেন অক্ষয় খান্না। সূত্র : বলিউড হাঙ্গামা
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বগুড়ায় অ্যালকাহল পানে ২ জনের মৃত্যু
বগুড়ায় অ্যালকাহল পানে দুই জনের মৃত্যু এবং অসুস্থ হয়ে আরো দুইজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শুক্রবার (২৮ মার্চ) রাতে অ্যালকোহল পান করার পর তারা অসুস্থ হয়ে পড়েন।
মৃতরা হলেন, বগুড়া শহরের ঠনঠনিয়া হাজী পাড়ার মৃত মোয়াজ্জেম হোসেনের পালিত ছেলে আওরঙ্গজেব চিন্টু (৩৫) ও ঠনঠনিয়া বটতলা এলাকার আবু তালেবের ছেলে রাসেল (৩০)। অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীনরা হলেন, ঠনঠনিয়া বটতলার পিলু (৫৬) এবং একই এলাকার জয়দেব দাসের ছেলে সনি দাস (৩০)।
তাদের মধ্যে শুক্রবার (২৮ মার্চ) সন্ধ্যায় আওরঙ্গজেব চিন্টু এবং রাসেল মধ্যরাতে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায়।
আরো পড়ুন:
টেকনাফে ৪০ হাজার ইয়াবাসহ আটক ৭
চার বছরের সাজা নিয়ে ছিলেন পলাতক, ধরা পড়লেন ইয়াবাসহ
বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পিলু জানান, গত শুক্রবার (২৭ মার্চ) বিকেলে রাসেল শহরের ১নং রেল ঘুমটি থেকে প্লাস্টিকের বোতলে অ্যালকাহোল কিনে আনেন। ওই দিন বিকেলে চারজন একসঙ্গে অ্যালকাহোল পান করেন। রাতে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েন। পিলু আরো জানান, পুলিশের ভয়ে হাসপাতালে ভর্তির সময় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত বলে ভর্তি হয়েছেন। সনি শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. সাইফুর শাহীন জানান, পিলু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। ডায়রিয়া এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে শ্বাসকষ্ট ও পেটে ব্যথা থাকায় তাকে মেডিসিন বিভাগে স্থানান্তর করা হয়েছে। তিনি এখনো শংকা মুক্ত না। অ্যালকাহোল পান করে অসুস্থ কি-না তা পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যাবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওরঙ্গজেব চিন্টুর পরিবারের একজন জানান, চিন্টু ও রাসেল আগে থেকে অ্যালকাহল পান করতেন। অ্যালকাহল পান করে অসুস্থ হয়ে পড়লে শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে তাকে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে চিন্টু কাউকে না জানিয়ে বাড়িতে চলে আসে। বিকেল ৫টার পর অসুস্থবোধ করলে তাকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চিন্টু মারা যায়। শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার পর রাসেল মারা যায়।
বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, চিন্টু ও রাসেল মারা যাওয়ার তথ্য তাদের কাছে নেই। সম্ভবত তারা রাস্তায় মারা গিয়েছিল। আর সনি নামে একজন ভর্তি আছে। তার অবস্থা সংকটাপন্ন। তবে তার কি ধরনের সমস্যা রয়েছে তা এখনো বলা যাচ্ছে না।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মঈনুদ্দিন বলেন, মদপানে দুইজনের মৃত্যুর খবর পেয়ে দুইজনের বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। মারা যাওয়া দুইজনের পরিবারের সদস্যরা পুলিশকে সহযোগিতা করেনি। তারা পুলিশকে কোনো তথ্য দেননি। বেলা ৩টার মধ্যে দুইজনের লাশ পরিবারের পক্ষ থেকে দাফন করা হয়েছে।
ওসি আরো বলেন, হাসপাতাল থেকে এই দুইজনের মৃত্যুর বিষয়ে পুলিশকে অবহিত না করায় আপাতত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না।
ঢাকা/এনাম/বকুল