চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) লোগো থেকে নৌকা প্রতীক বাদ দেওয়া হয়েছে। এরস্থলে জাতীয় ফুল শাপলার প্রতীক যুক্ত করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার দুপুরে চসিকের ফেসবুক পেইজে লোগোটি প্রকাশ করা হয়। এতদিন চসিকের লোগেতে পাহাড়, নদী, নদীতে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী সাম্পান ও সড়ক বাতি ছিল। নতুন লোগোতে নৌকা বাদ দিয়ে শাপলা যুক্ত করা হয়েছে। বাকিগুলো আগের মতো আছে। নৌকা একটি দলের প্রতীক হওয়ায় বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিটি মেয়র ডা.

শাহাদাত হোসেন।

তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনের লোগোর মধ্যে নৌকা ছিল। যা একটি দলের দলীয় প্রতীক। তাই দায়িত্ব নেওয়ার পর লোগো থেকে নৌকা বাদ দিয়ে সার্বজনীন প্রতীক হিসেবে জাতীয় ফুল শাপলা প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে লোগো পরিবর্তন করা হয়েছে।

২০২৪ সালের ১ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে রায় দেন আদালত। এরপর একই বছরের ৩ নভেম্বর মেয়র হিসেবে শপথ নেন তিনি। ৫ নভেম্বর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব নেন তিনি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিটি করপোরেশনের এক কর্মকর্তা বলেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর মেয়র সিটি করপোরেশনের লোগো থেকে নৌকা বাদ দিয়ে নতুন করে লোগো তৈরির করার নির্দেশনা দেন। নির্দেশনা অনুযায়ী জাতীয় ফুল শাপলা রেখে নতুন করে লোগো তৈরি করা হয়েছে। মেয়র তা অনুমোদন দিয়েছেন।

২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী নৌকা প্রতীকে ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২৪৮ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ডা. শাহাদাত হোসেন ৫২ হাজার ৪৮৯ ভোট পান। ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে নয়জনকে বিবাদী করে মামলা করেন ডা. শাহাদাত হোসেন। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর আদালতের রায়ে তিনি মেয়র নির্বাচিত হন।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মদ বিক্রিতে আয় ৫ হাজার কোটি, দুধ বিক্রিতে মাত্র ২১০ কোটি রুপি আয়

চলতি অর্থবছরে মদের উপর কর থেকে পাঁচ হাজার কোটি রুপিরও বেশি আয় করেছে দিল্লি। অপরদিকে, দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য থেকে মাত্র ২১০ কোটি রুপি করা আদায় করা হয়েছে। শনিবার এনডিটিভি অনলাইন এ তথ্য জানিয়েছে।

দিল্লি বিধানসভায় বিজেপি বিধায়ক অভয় ভার্মার প্রশ্নের জবাবে সরকার জানিয়েছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মদ বিক্রির উপর আবগারি শুল্ক এবং ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) থেকে তারা পাঁচ হাজার ৬৮ দশমিক ৯২ কোটি রুপি রাজস্ব আয় করেছে। দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য থেকে জিএসটি বাবদ ২০৯ দশমিক ৯ কোটি রুপি আয় হয়েছে। দুটি পরিসংখ্যানই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

এই প্রশ্নটি এমন এক সময়ে এসেছে যখন বিজেপি কথিত মদ নীতি কেলেঙ্কারি নিয়ে আম আদমি পার্টিকে (এএপি) আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং তার উপ-মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া ছিলেন এএপি নেতাদের মধ্যে যারা কথিত কেলেঙ্কারির সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে জেলে গিয়েছিলেন। গত মাসে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে দলটির পরাজয়ের ক্ষেত্রে এই বিষয়টি একটি বড় ভূমিকা পালন করেছিল বলে মনে করা হচ্ছে।

রেখা গুপ্তার নেতৃত্বাধীন নতুন বিজেপি সরকার জানিয়েছে, ২০২৩-২৪ সালে মদের উপর কর বাবদ পাঁচ হাজার ১৬৪ কোটি রুপি, ২০২২-২৩ সালে পাঁচ হাজার ৫৪৭ কোটি রুপি এবং ২০২১-২২ সালে পাঁচ হাজার ৪৮৭ কোটি রুপি আদায় করা হয়েছে। সরকার জানিয়েছে, ২০২১ সালের নভেম্বর থেকে ২০২২ সালের আগস্ট পর্যন্ত এএপি-এর অধীনে দিল্লিতে নতুন মদ নীতি বাস্তবায়নের কারণে, শুধুমাত্র ব্যক্তিগত দোকানগুলোকে মদ বিক্রি করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তবে, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে পুরাতন মদ নীতি পুনঃপ্রবর্তন করা হলে, সরকারি মদের দোকানগুলো পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হয়।

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মদ বিক্রিতে আয় ৫ হাজার কোটি, দুধ বিক্রিতে মাত্র ২১০ কোটি রুপি আয়