সাজেকে আগুনে পুড়ল ১৫০ রিসোর্ট-দোকান
Published: 24th, February 2025 GMT
রাঙামাটির পর্যটন কেন্দ্র সাজেক ভ্যালিতে আগুনে কমপক্ষে ১৫০টি রিসোর্ট, দোকান ও বসতঘর পুড়ে গেছে। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পৌনে ১টায় ইকো ভ্যালি রিসোর্ট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। এতে মুহূর্তে আগুন আশপাশের রিসোর্টে ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা চেষ্টার পর ফায়ার সার্ভিস, সেনা সদস্যদের চেষ্টায় সন্ধ্যা ৬টার দিকে আগুনে নিয়ন্ত্রণে আসে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী ও উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, দুপুর পৌনে ১টায় একটি রিসোর্ট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। সাজেকের অধিকাংশ রিসোর্ট কাঠ ও বাঁশের তৈরি হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া সাজেক ভ্যালিতে ফায়ার সার্ভিসের কোনো স্টেশন না থাকায় এবং পানির অভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছিল না। প্রাথমিকভাবে সেনাবাহিনী ও স্থানীয়রা মিলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। খবর পেয়ে নিকটবর্তী ফায়ার সার্ভিস স্টেশন খাগড়াছড়ি দীঘিনালা উপজেলা ও বাঘাইছড়ি উপজেলা থেকে দুটি ইউনিট রওনা দেয়। পাহাড়ি পথে তাদের পৌঁছতে প্রায় দুই ঘণ্টা সময় লেগে যায়। এরপর আগুন নেভানোর কাজ শুরু করলেও সাজেকে পানি না থাকায় দূর গ্রাম থেকে বার বার পানি এনে বেগ পেতে হচ্ছিল। এর মধ্যে খাগড়াছড়ি সদর থেকে আরো দুটি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেয়। কিন্তু বাতাসের তীব্রতা, পর্যাপ্ত পানির অভাবে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়েছে। মোট চারটি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে নিয়োজিত ছিল।
আারো পড়ুন: সাজেকে আগুনে পুড়ছে রিসোর্ট
আরো পড়ুন:
সাজেকে আগুনে পুড়ছে রিসোর্ট
সাভারে কারখানার গুদামে আগুন, এক ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার বলেন, আগুনের তীব্রতা এবং পানি সঙ্কটের কারণে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট পৌঁছেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছিল না। ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট চেষ্টা চালিয়ে সন্ধ্যা ৬টার দিকে আগুন মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ জানান, সব মিলে ১৫০টি রিসোর্ট, দোকান ও বসতঘর পুড়ে গেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে পানি ছিটানোর আলোচনা হলেও সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় সেটা করা হয়নি।
ঢাকা/শংকর/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইউন ট উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
প্রবাসীর বসতঘরে ডাকাতির ঘটনায় বিএনপির তিন নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার বাটাখালী এলাকায় এক প্রবাসীর বসতঘরে ডাকাতির ঘটনায় বিএনপি ও যুবদলের তিন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ রোববার ভোরে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন চকরিয়া পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মো. নয়ন চৌধুরী (৪৫), ৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল (৩৫) ও বিএনপি কর্মী মো. হানিফ (৪৩)। নয়ন চকরিয়া পৌরসভার উত্তর কাহারিয়াঘোনার খোন্দকারপাড়ার, ইসমাইল উত্তর কাহারিয়াঘোনার ঘাটপাড়ার ও হানিফ দক্ষিণ বাটাখালী এলাকার বাসিন্দা।
চকরিয়া পৌরসভা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মনোহর আলম গ্রেপ্তার নেতাদের পদবি নিশ্চিত করেছেন।
চকরিয়া থানার পুলিশ ও ডাকাতির শিকার বসতঘরের পরিবারের সদস্যরা বলেন, গত শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে বাটাখালী এলাকার বাসিন্দা সংযুক্ত আরব আমিরাতপ্রবাসী শ্রীমন্ত দাশের বসতঘরে ডাকাতি সংঘটিত হয়। এ সময় ছয় সদস্যের ডাকাতদল বাড়ির দারোয়ান রবি দাশকে (৫০) গলায় ছুরি ধরে বাড়ির গেট খুলতে বাধ্য করে। পরে তাঁর হাতে ও পায়ে ছুরিকাঘাত করে বসতঘরে ঢোকে ডাকাত দল। ডাকাতেরা পরিবারের সদস্যদের গলায় ছুরি ধরে জিম্মি করে তিন ভরি স্বর্ণ, চার ভরি রুপা ও ১২ হাজার টাকা নিয়ে যায়।
শ্রীমন্তের স্ত্রী রুবি দাশ বলেন, পরিবারে কোনো পুরুষ সদস্য নেই। ডাকাতেরা পরিবারের নারী সদস্যদের গলায় ছুরি ধরে টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে গেছে।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মঞ্জুর কাদের ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল শনিবার সকালে খবর পাওয়ার পর পুলিশের একাধিক দল ডাকাতির ঘটনা কারা ঘটিয়েছে, তা উদ্ঘাটনের চেষ্টা করে। একপর্যায়ে আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়। পরে হানিফ, নয়ন ও ইসমাইলকে গ্রেপ্তার করা হয়। নয়নের স্বীকারোক্তি মতে তাঁর শয়নকক্ষের ফ্রিজের পেছনে লুকিয়ে রাখা ১০ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
ওসি বলেন, প্রবাসী শ্রীমন্তের স্ত্রী রুবি দাশ বাদী হয়ে আজ ডাকাতির ঘটনায় একটি মামলা করেছেন। গ্রেপ্তার তিনজনকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে দুপুরে আদালতে তোলা হলে আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ ছাড়া লুণ্ঠিত স্বর্ণালংকার ও অন্যান্য মালামাল উদ্ধার এবং ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকিদের ধরতে পুলিশ চেষ্টা করছে।