দেশে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের প্রতিবাদে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক দুই ঘণ্টা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বরিশাল নগরীর হাতেম আলী কলেজ চৌমাথা সংলগ্ন সড়ক অবরোধ করে তারা। এ সময় শিক্ষার্থীরা অবিলম্বে নারী নির্যাতন বন্ধে কার্যকরী উদ্যোগ ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেন।

সড়ক অবরোধের ফলে দুই কিলোমিটার জুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েন। এর আগে একই দাবিতে সকাল ১০টায় বরিশাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ধর্ষণবিরোধী মঞ্চের উদ্যোগে থেকে প্রতিবাদী অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ইসরাত মায়া জানান, পথেঘাটে ধর্ষণসহ নারী নির্যাতনের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। নারীদের সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারছে না সরকার। আইনশৃংখলা নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। অবিলম্বে দেশে শতভাগ নারী নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানান তিনি। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায়ের হুঁশিয়ারি দেন।

আরো পড়ুন:

টাঙ্গাইলে ধর্ষণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

পদ্মার চরে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার তিন যুবকের স্বীকারোক্তি

সকালে বরিশাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ধর্ষণবিরোধী মঞ্চের পক্ষ থেকে প্রতিবাদী অবস্থান কর্মসূচি থেকে তিন দফা দাবি উত্থাপন করা হয়। দাবিগুলো হচ্ছে, ধর্ষণের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচার; নারীদের চলাচলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করা হয়।

ধর্ষণবিরোধী মঞ্চের সদস্য নাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘‘দেশে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে গেলেও প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। জনসাধারণের নিরাপত্তা দিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্যর্থ হয়েছেন।’’  

ঢাকা/পলাশ/বকুল 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বর শ ল অবর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

শিল্পকলায় অনুষ্ঠিত হলো ‘সাধুমেলা’

মানবিকতা ও ঐক্যের শাশ্বত বার্তা সমাজের প্রতিটি হৃদয়ে পৌঁছে দিতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের আয়োজনে গত ১৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় একাডেমির নন্দনমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয়েছে সাধুমেলা “মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি”।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের পরিচালক মেহজাবীন রহমান। সাধুমেলায় শুরুতে সমবেত কণ্ঠে লালনের ‘ভক্তিমূলক গান’ পরিবেশিত হয়। লালনসংগীত পরিবেশন করেন ফকির শামসুল সাঁই, ‘তিন পাগলে হলো মেলা’ পরিবেশন করেন মেহেরুন নেসা পূর্ণিমা। উপস্থাপনা করেন শেখ জামাল উদ্দিন টুনটুন। শ্রীকৃষ্ণ গোপাল পরিবেশন করেন ‘লীলার যার নাইরে সীমা’ এবং ‘দেখো দেখো মনো রায় হয়েছে’। গান পরিবেশন করেন দিপা মণ্ডল। ওমর আলী পরিবেশন করেন ‘আচলা ঝোলা তিলক মালা’। লালনসংগীত পরিবেশন করেন মোঃ মিরাজ সিকদার ‘আমি ওই চরণে দাসের যোগ্য নই’, আকলিমা ফকিরানী এবং লাভলী শেখ ‘রসো প্রেমে ঘাট ভাড়িয়ে তরী বেওনা’।

পরিবেশনা নিয়ে মঞ্চে আসেন মোঃ সমির হোসেন, ফারজানা আফরিন ইভা পরিবেশন করেন ‘আমায় রাখিলেন সেই কূপজল করে’ এবং লালনের গান ‘মন তোর এমন জনম আর কী হবে রে’ পরিবেশন করেন মোঃ মুক্তার হোসেন। এরপর লালনসংগীত পরিবেশন করেন মোসাঃ লিনা খাতুন ‘কোথায় সে অটল রূপে বারাম দেয়’, মনিরুল ইসলাম এবং আবু শাহীন খান ‘চিরদিন পুষলাম এক অচিন পাখি’। সবশেষে সমবেত কণ্ঠে পরিবেশিত হয় লালনের গান।   
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ