সিদ্ধিরগঞ্জে ২ হাজার ৬৫৫ কেজি নিষিদ্ধ পরিবেশ দূষণকারী পলিথিন বোঝাই একটি মিনি কভার্ডভ্যান (ঢাকা মেট্রো ম-৫১-৬৫৩৮) সহ এর চালক মো. রফিক (৪০) কে আটক করেছে শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ।

 আটককৃত মো. রফিক ঢাকার কামরাঙ্গীরচরের ইসলামনগর পশ্চিম এলাকার মো. হারুনের ছেলে। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মৌচাক ইউটার্ন এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। উদ্ধারকৃত পলিথিনের আনুমানিক মূল্য ৩ লাখ ৭১ হাজার ৭শ টাকা।

এর সত্যতা নিশ্চিত শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ আবু নাঈম সিদ্দিকী জানায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মৌচাক ইউটার্ন এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে দায়িত্ব পালনকালে ঢাকার হোসনে দালান এলাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ শিবু মার্কেটগামী একটি মিনি কভার ট্রাক পরিবেশ দূষণকারী নিষিদ্ধ পলিথিন পাওয়া যায়। ৎ

পরে ট্রাকটি জব্দ করে চালককে আটক করা হয়। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হতে দেব না: মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে দেশবাসী স্থানীয় সরকারের নির্বাচন মেনে নেবে না। বিএনপিও তা হতে দেবে না। যতদিন দেশের মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার এবং গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত না হবে, ততদিন বিএনপি রাজপথেই থাকবে। 

সোমবার ধামরাই পৌর শহরের যাত্রাবাড়ী মাঠে ঢাকা জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। 

ফখরুল বলেন, গণতন্ত্রের প্রশ্নে বিএনপি কখনও আপস করেনি। বিএনপিকে ভাঙতে বারবার চেষ্টা করা হয়েছে; কিন্তু কেউ তা পারেনি। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার সুপরিকল্পিতভাবে নির্বাচন ব্যবস্থা, রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে।  ১৯৭১ সালে আওয়ামী লীগ পালিয়েছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আক্রমণে। তখন শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানি বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে জীবন বাঁচিয়ে ছিলেন। সেই আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনা এবার পালিয়ে গিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত শুরু করে দিয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগ কর্মীদের নির্দেশনা দেন, ‘তোমরা মারো, কাটো, জ্বালিয়ে দাও।’

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলন ও গণবিস্ফোরণের মধ্য দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে আমাদের অনেক প্রত্যাশা ছিল, খুব দ্রুত প্রয়োজনীয় সংস্কার করে জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেবেন। কিন্তু তা না করে সংস্কারের নামে কালক্ষেপণ করা হচ্ছে। কিছু কিছু দল বলছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হতে হবে। কিন্তু তা আমরা হতে দেব  না। আমরা এ সরকারকে ব্যর্থ হতে দিতে চাই না। সহযোগিতা করতে চাই। আমরা চাই, এই সরকারই যেন সুন্দর, সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করতে পারে।

ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরীর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন দলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) বেনজীর আহমেদ টিটু, সহসাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম খান আজাদ, ঢাকা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার ইরফান আমান, সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সালাহ উদ্দিন বাবু, কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, ধামরাই উপজেলা বিএনপির সভাপতি তমিজ উদ্দিন প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ