কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের ১৩ জন শিক্ষককে একটি মামলায় আসামি করার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টা থেকে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

তাদের দাবি, আজকের মধ্যেই মামলা প্রত্যাহার করতে হবে এবং যারা মামলা করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসককে অবরোধের স্থানে এসে এ ঘোষণা দিতে হবে।

কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের সামনে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন। এরপর তারা দুপুর একটার দিকে শহরের মজমপুর ট্রাফিক এলাকায় এসে মহাসড়ক অবরোধ করেন। একই দাবিতে রবিবার কলেজের সামনে অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ১১ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়া মডেল থানায় হওয়া একটি মামলায় সরকারি কলেজের ১৩ জন শিক্ষককে আসামি করা হয়েছে।

কুষ্টিয়া শহরের কুঠিপাড়ার বাসিন্দা শেখ সবুজ রহমান (৪০) মামলাটি করেন।

কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, “যে কেউ যে কারো বিরুদ্ধে আমলযোগ্য অভিযোগ নিয়ে এলে মামলা হতেই পারে। আমরা তদন্ত করে দেখব, ঘটনার সত্যতা আছে কি না। সত্যতা না পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট হবে না।”

কুষ্টিয়া/কাঞ্চন/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কল জ র

এছাড়াও পড়ুন:

ডিসেম্বর বা পরের বছরের মার্চের মধ্যে নির্বাচন: প্রেস সচিব

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন চলতি বছরের ডিসেম্বর অথবা সর্বোচ্চ পরের বছরের মার্চের মধ্যে হবে বলে ধারণা করছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

সোমবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই ধারণার কথা জানান।

নির্বাচন-সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন ‘এটি (নির্বাচন) নিয়ে অনেকবার কথা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, অনেক উপদেষ্টাও কথা বলেছেন। প্রধান উপদেষ্টা আগে দুটি সময় বলেছিলেন। একটি হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো যদি কম সংস্কার চায় তাহলে ডিসেম্বরের (চলতি বছরের) মধ্যে নির্বাচন হবে। আর যদি তারা চান যে আমরা আর কিছুদিন থাকি, সে ক্ষেত্রে উনি (প্রধান উপদেষ্টা) বলেছিলেন প্রথমার্ধে (২০২৬ সালের) হবে। কিন্তু এখানে একটি বাস্তব বিষয় হলো, এপ্রিল মাস থেকে কালবৈশাখী এবং ঝড়বৃষ্টির সময় শুরু হয়ে যায়। এপ্রিলের পর আবার জুনে বর্ষা শুরু হয়ে যায়। ফলে ওই তিনটি মাস নির্বাচনের জন্য অতটা উপযোগী না। সে জন্য আমাদের ধারণা, নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যে হবে নতুবা সর্বোচ্চ মার্চের মধ্যে হবে।’

সংবাদ ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ, সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ