কুয়েট হামলা আমাদের শিক্ষাঙ্গনের অবস্থা নতুন করে বুঝতে সাহায্য করছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের একটা প্রধান চাওয়া ছিল, বিশ্ববিদ্যালয় হবে ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি থেকে মুক্ত। এ ব্যাপারে সবার আগে বুয়েট আবরার হত্যাকাণ্ডের পর সফল হলেও, অন্যদের, বিশেষ করে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গত বছরের আগস্ট মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়।

আগস্টেই সিন্ডিকেট মিটিংয়ের মধ্য দিয়ে কুয়েট, রুয়েট, চুয়েট সব ধরনের ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি নিষিদ্ধ করে। এরপর কিন্তু সুন্দরভাবে একাডেমিক কাজ চলছিল।

বাংলাদেশে এখন একটা প্রবণতা হচ্ছে, কোনো দল না করে নিজের শক্তি দেখাতে চাইলেই নামের আগে ‘বৈষম্যবিরোধী’ বসিয়ে নেওয়া। সেই আগের লীগের প্রবণতা এখন সর্বত্র বিদ্যমান। ফলাফল হচ্ছে, এই মোড়কের আড়ালে নিষিদ্ধ ছাত্রসংগঠন (ছাত্রলীগ ও হিযবুত তাহ্‌রীর) এবং শিবিরের যারা লুকায়িত কর্মী, তারা সব সাধারণ ছাত্রদের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে। এটি সব বিশ্ববিদ্যালয়েই আমরা দেখতে পাচ্ছি।

কিছুদিন আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রসংগঠনের ব্যানারে একটা কমিটি  হয় এবং অবিশ্বাস্যভাবে সেই কমিটি ঘোষণার সময় আহ্বায়ক পরিষ্কারভাবে বলেছেন, ‘গোয়েন্দা সংস্থার পরামর্শক্রমে’ এই কমিটি দেওয়া হয়েছে। এতে সাধারণ ছাত্ররা ক্ষোভ দেখান। কমিটির অনেকেই ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে জানান, তাঁদের অনুমতি নেওয়া হয়নি। ফলাফল হিসেবে ১২ ঘণ্টার মধ্যে এই কমিটি বাতিল হয়।

আরও পড়ুনকুয়েটে কেন এমন সংঘাত, কী হচ্ছে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

কেন বলছি? সব পত্রিকায় আসছে ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে সংঘর্ষের খবর। যেখানে তাঁরা কমিটিই দিতে পারেননি, সেখানে পত্রিকাগুলো খোঁজ না নিয়েই বা কার তথ্যের ভিত্তিতে রাজনৈতিক ব্যানার কেন দিল এবং তারা কেন সাধারণ ছাত্রদের প্রশ্নবিদ্ধ করল, তা আসলেই ব্যাখ্যার দাবি রাখে।

এরপর যেখানে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ, সেখানে কুয়েটে ঘোষণা দিয়ে ফরম বিতরণ শুরু করে ছাত্রদল। তাদের কি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিষেধাজ্ঞার ওপর শ্রদ্ধা নেই? এ ব্যাপারে লীগের সময় সাদ্দামদের ঘটনা মনে রাখা উচিত ছিল, বুয়েটিয়ানরা কী সাহসিকতার সঙ্গে তাদের রুখে দিয়েছিল। এখনকার প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ছাত্রদের মনমানসিকতা এ রকমই। তাঁরা আর আগের খারাপ অতীতে ফিরে যেতে চান না। আর জুলাই আন্দোলনের পর তাঁরা আর ভয়ও পান না। আমাদের রাজনীতিবিদেরা এই বদল এখনো ধরতে পারেননি। এটি আসলেই দুঃখজনক। যত দিন তাঁরা এটি বুঝতে পারবেন না, তত দিন তাঁরা পিছিয়ে পড়বেন।

শুধু প্রকাশ্যে নয়, লুকিয়ে রাজনীতি করাও নিষিদ্ধ থাকতে হবে। এই প্রস্তাবনা নিয়ে যদি গণভোট হয়, সেই প্রস্তাবনা বিপুল ভোটে পাস হয়ে আসবে। বিভিন্ন অনলাইন পোল তা নিশ্চিত করে। কিন্তু দেশের শিক্ষা খাত আসলে তখনই মুক্ত হবে, যখন রাজনীতিবিদেরা এই প্রস্তাবে সম্মত হবেন।

ভিডিওতে দেখা যায়, ছাত্রদের মিছিল থেকে ছাত্রদলের যাঁরা ফরম তুলেছিলেন, তাঁদের দিকে তেড়ে যান এবং সেখানে ধাক্কাধাক্কিও হয়। এ রকম ঘটনা ক্যাম্পাসের ভেতরেই মিটে যাওয়ার কথা ছিল। সেখানে ন্যক্কারজনক কাজ হলো, বাইরের সন্ত্রাসী ডেকে নিয়ে আসা। লীগের মতোই ফেক ভিডিও ছড়ানো, শিবিরের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা সব আসলে মাঠে মারা যায়, যখন কেন্দ্র থেকে একজনকে বহিষ্কার করা হয়। ছাত্রদলের এতজন মিলে আক্রমণ করল, বহিষ্কার কেন একজন? অন্যদের ব্যাপারে কেন্দ্র কী পদক্ষেপ নিচ্ছে?

ছাত্ররাই এই হামলার ছবি থেকে ১০ জনের মতো ছাত্রদলকর্মী এবং যুবদলকর্মীকে শনাক্ত করেছেন। কিন্তু বিএনপি এখনো নীরব।

ছাত্রদের সব ক্ষোভ এখন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি। যাঁরা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন, তাঁরামাত্রই জানেন, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন কীভাবে গদাই লস্করি হালে চলে। ফলে যখন প্রয়োজনের সঙ্গে গতির প্রয়োজন দরকার হয়, তখন তারা প্রতিক্রিয়া না দিয়ে ‘হ্যাং’ হয়ে যায়।

এ ক্ষেত্রেও ছাত্রদের চাওয়া সতর্কতার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় তাল মেলাতে পারেনি। সতর্কতা হিসেবে যেখানে আগেই পুলিশে ফোন করার কথা ছিল, কিন্তু ফোন করা হলো দেরিতে। যখন ফোন করা হলো, তখন পুলিশ আসেনি। এদিকে রামদা নিয়ে সন্ত্রাসীরা ঘুরছে, এমন একটি ছবিসংবলিত ভিডিওতে হেলমেট পরিহিত একজনকে গুলি করতেও দেখা যায়। সেনাবাহিনী এসেছে অনেক পরে। তারা এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের অনুমতি না পেয়ে ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারেনি। ওই দিকে উপাচার্য বলছেন, তাঁর কাছে তথ্য ঠিক সময়ে পৌঁছায়নি। পুরো অব্যবস্থাপনার বলি হন ১৫০ জনের অধিক ছাত্র ও কয়েকজন শিক্ষক।  

ঘটনা আরও মোড় খায় ছাত্রদের দ্বারা উপাচার্য লাঞ্ছনার অভিযোগে। বেশির ভাগ ছাত্র অভিযোগ অস্বীকার করলেও কয়েকজন শিক্ষক জানিয়েছেন, ঘটনা সত্য। কিছু ছাত্রছাত্রীও ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন, যা অবশ্যই শাস্তিযোগ্য ও চরম অন্যায়। যা ছাত্র-শিক্ষকদের মুখোমুখি অবস্থানে নিয়ে যায়। ছাত্রদের দাবি ছয় দফার মধ্যে পাঁচ দফা মেনে নিলেও ছাত্ররা এখন উপাচার্য, সহ-উপাচার্য ও ছাত্র কল্যাণ উপদেষ্টাদের পদত্যাগের দাবিতে অনড়। উপাচার্যকে দলীয় ট্যাগ দিয়ে তাঁরা এই প্রশাসনকে মানতেই চাচ্ছেন না এবং আলোচনার সব পথ এখন রুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।

কয়েকজন শিক্ষক জানিয়েছেন, ‘আমাদের এখন ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলতেই ভয় লাগছে।’

এখন এই ঘটনার দুটি অংশ। ছাত্রদল-বহিরাগত বনাম সাধারণ ছাত্রদের সংঘর্ষে প্রশাসনের দুর্বলতার পাশাপাশি প্রকট হিসেবে দেখা যায় সরকারি প্রশাসনের নিদারুণ অসহযোগিতা। উপাচার্য ছাড়াও কয়েকজন সিনিয়র শিক্ষক ও ব্যক্তি উদ্যোগে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু বাংলা সিনেমার মতো সব শেষ হওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিরাপত্তা ও আসামি ধরার জন্য স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, শিক্ষা উপদেষ্টার মাধ্যমে চেষ্টা করলেও এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা দিতে পুলিশ আসছে না। ফলে ছাত্ররা নিদারুণ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। যদিও সবার চিকিৎসার খরচ বহন করতে চাওয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ।

শনিবার দুপুর পর্যন্ত মাত্র চারজনকে আটকের কথা শোনা যায়, যাদের মধ্যে একটি শিশু ও একজন বৃদ্ধ। আসল সন্ত্রাসীরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। এখন প্রশাসন আসলে কার হয়ে কাজ করছে?

এরপর আসে ছাত্র-শিক্ষক সমস্যা। দুই পক্ষের মধ্যে এখন অনাস্থা চরম। তদন্ত কমিটিকে ছাত্ররা মেনে নেননি। কোনো আলোচনাও হচ্ছে না। শিক্ষক সমিতিও উপাচার্যের পক্ষে অবস্থান নিচ্ছে। ছাত্রছাত্রীরা এ ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। এই অচলাবস্থা কাটানোর একমাত্র সমাধান আলোচনার রাস্তা খোলা। নিজেদের মধ্যে অনৈক্য থাকলে আসলে বাইরের শক্তি সুবিধা নেবেই।

এ ব্যাপারে সরকার নিজেরা ও নিজ উদ্যোগে ব্যবস্থা নিতে পারে ইউজিসির মাধ্যমে একটা নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি করে। সরাসরি ট্যাগিং না করে বাস্তবেই সাধারণ ছাত্রদের সঙ্গে মিশে অন্য কোনো ছাত্রসংগঠন কোনো রাজনৈতিক ফায়দা নিতে যাচ্ছে কি না, তা আসলে খতিয়ে দেখা উচিত।

দেখা উচিত, উপাচার্যের কাজে সত্যিই গাফিলতি ছিল কি না। বাইরে থেকে কারা এ ঘটনাপ্রবাহে দায়ী ও উসকানিতে আছে, সেটাও খতিয়ে দেখা উচিত। কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি যেন শাস্তি না পান, তদ্রূপ কোনো অপরাধী যেন ছাড় না পায়, সেটাই আসলে চাওয়া হওয়া উচিত। আর সব থেকে বেশি প্রয়োজন শিক্ষার পরিবেশ এবং সঙ্গে পারস্পরিক আস্থা ও শ্রদ্ধা ফিরে আসা। তা হোক শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অ্যালামনাইদের মধ্যে।

বাস্তবতা হচ্ছে, কেউই আইনের বাইরে নন। অপরাধ প্রমাণের আগেই যদি শাস্তি হয়ে যায়, তা কখনো ভালো উদাহরণ হবে না; বরং এই উদাহরণ দেশের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। সবার সহনশীলতা ও সরকারের আশু হস্তক্ষেপই পারে এই অচলাবস্থা দূর করতে। এ ছাড়া দেশের এই অরাজক পরিস্থিতিতে পুলিশ যে কাজ করছে না, তা বারবার উদাহরণসহ প্রমাণিত হচ্ছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কি এই ব্যর্থতার জবাব দেবেন?

নির্বাচন কমিশন সংস্কারের একটা প্রস্তাবনা আছে সব দলীয় ছাত্র ও পেশাজীবী রাজনীতি বন্ধ করা। এই প্রস্তাবনার আগেই প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজেদের রাজনীতিমুক্ত করে দেখিয়েছিল। রাজনীতি তো মানুষদের চাওয়ার ওপরই চলে। তাই রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত এই চাওয়াকে সম্মান করা। শুধু প্রকাশ্যে নয়, লুকিয়ে রাজনীতি করাও নিষিদ্ধ থাকতে হবে। এই প্রস্তাবনা নিয়ে যদি গণভোট হয়, সেই প্রস্তাবনা বিপুল ভোটে পাস হয়ে আসবে। বিভিন্ন অনলাইন পোল তা নিশ্চিত করে। কিন্তু দেশের শিক্ষা খাত আসলে তখনই মুক্ত হবে, যখন রাজনীতিবিদেরা এই প্রস্তাবে সম্মত হবেন।

সুবাইল বিন আলম টেকসই উন্নয়নবিষয়ক কলামিস্ট।
ই-মেইল: [email protected]

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপ চ র য জন শ ক ষ ছ ত রদল উপদ ষ ট র জন ত সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রামে সংবাদ সম্মেলন, ঢাকার রাস্তায় আটকে গেলেন পার্থ বড়ুয়া

২০২৩ সালে শুরু হয়েছিল সোলস ব্যান্ডের ৫০ বছর পূর্তির পথচলা। এরপর দেশে ও দেশের বাইরে বেশ কয়েকটি স্টেজ শোতে অংশ নিয়েছেন তাঁরা। ৫০ বছর পূর্তির এই আয়োজন এখনো চলছে। চট্টগ্রামে গড়ে ওঠা ব্যান্ড সোলস এবার তাদের ৫০ বছর পূর্তির অনুষ্ঠান চট্টগ্রামেও করতে যাচ্ছে। আগামী ২ মে চট্টগ্রামের পাঁচ তারকা হোটেলে গাইবে সোলস।

এ উপলক্ষে আজ বুধবার বিকেলে চট্টগ্রামের একটি তারকা হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে সোলসের অন্য সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও শেষ মুহূর্তে থাকতে পারেননি পার্থ বড়ুয়া। ঢাকার রাস্তায় তিন ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকার পর বাসায় ফিরে যেতে হয় পার্থ বড়ুয়াকে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের প্রথম ব্যাচের তিন শিক্ষার্থী সাজেদ, সুব্রত বড়ুয়া ও আহমেদ নেওয়াজ। এর বাইরে ছিলেন দুলু ও তপন চৌধুরী—এই পাঁচজন মিলে শুরুর দিকের ব্যান্ড সোলস। সেই সময়ের কথা মনে করে আহমেদ নেওয়াজ প্রথম আলোকে জানান, শুরুতে সোলস ভেঙে যায়। এরপর তাঁরা আবার ব্যস্ত হয়ে পড়েন নিজেদের মতো। সোলসের কিছু ইনস্ট্রুমেন্ট নিজেরাই কিনে ফেলেন। তখন সবাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় ভর্তি হন। রনি, আহমেদ নেওয়াজ, সাজিদ। এরপর আবার শুরু করেন। এসব ১৯৭৩ সালের সেপ্টেম্বরের ঘটনা।

এই বছরে ৩ আগস্ট চারুকলা অনুষদের যাত্রা শুরু। তপন, দুলু আর রনির বাসা ছিল একই জায়গায়। কথা প্রসঙ্গে জানা গেছে, সোলস ব্যান্ড করার অনুপ্রেরণা হচ্ছে লাইটেনিংস। চট্টগ্রামের সংগীত ভবনের ওপরতলায় লাইটেনিংস নামে একটা দল ছিল, যারা বিটলসকে অনুসরণ করত। বিটলস যা যা ইনস্ট্রুমেন্টস ব্যবহার করত, লাইটেনিংস সবই করত। সোলসের সবাই তখন অদ্ভুতভাবে তাকিয়ে থাকত, এত বিউটিফুল সাউন্ড কোথা থেকে আসছে। ওখান গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকত। এরপর আস্তে আস্তে নিজেরা সংগঠিত হতে থাকে। ছোট ছোট বিয়ের অনুষ্ঠান ও হোটেলের অনুষ্ঠানে গান গাইতে থাকে। এভাবেই শুরু সোলসের যাত্রা।

সংবাদ সম্মেলনে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাগদান সারলেন ঋতাভরী
  • মোহামেডানের হোঁচটের দিনে আবাহনীর জয় 
  • হ্যাটট্রিক জয়ের পর মিলল হারের স্বাদ
  • ‘ফেসবুক গল্পের’ উৎস খুঁজতে গিয়ে বেরিয়ে এল আসল ঘটনা
  • শারমিন-ফারজানায় টাইগ্রেসদের চ্যালেঞ্জিং স্কোর
  • মোটরসাইকেলের জন্য ডেকে নিয়ে হত্যা, যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
  • ২ উইকেটে ১৩৪ থেকে ২২৭ রানে থামলো বাংলাদেশ 
  • চীনের যেভাবে ট্রাম্পের শুল্কের জবাব দেওয়া উচিত
  • ভিডিও বানাতে গিয়ে অনৈতিক সম্পর্ক, হত্যা করলেন স্বামীকে
  • চট্টগ্রামে সংবাদ সম্মেলন, ঢাকার রাস্তায় আটকে গেলেন পার্থ বড়ুয়া