রাঙামাটির পর্যটন কেন্দ্র সাজেক ভ্যালিতে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। সোমবার বিকেল ৫টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরীন আক্তার। 

তিনি বলেন, আগুনে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ টি রিসোর্ট পুড়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।   

দুপুর পৌনে ১টার দিকে ইকো ভ্যালি রিসোর্টে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুনের লেলিহান শিখা চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে সাজেক অবকাশ রিসোর্টসহ বাকিগুলোতে ধরে যায়। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীসহ স্থানীয় লোকজন আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। 

ফায়ার সার্ভিস জানায়, সাজেকে কোনো ফায়ার স্টেশন না থাকায় দীঘিনালা ফায়ার স্টেশনের ১টি ইউনিট ২টা ৪০ থেকে অগ্নিনির্বাপণ কাজ শুরু করে। পরে মাটিরাঙ্গা স্টেশনের ২টি, লংগদু স্টেশনের ২টি, পানছড়ি ফায়ার স্টেশনের ২টি, খাগড়াছড়ি সদরের ১টি, রামগড় হতে ১টি এবং লক্ষীছড়ি ফায়ার স্টেশন হতে ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। দুর্গম রাস্তা হওয়ায় সেখানে পৌঁছাতে সময় লাগে। দুর্ঘটনাস্থলে পানিরও সংকট আছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

চবির শামসুন নাহার ছাত্রী হলের নাম পরিবর্তন

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পরিত্যক্ত শামসুন নাহার ছাত্রী হলটি ছাত্রহল করে এটি চবির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ফজলুল কাদের চৌধুরীর নামে নামকরণ করা হয়েছে।

এছাড়া বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ডে-কেয়ার সেন্টার ও জয় বাংলা ভাস্কর্যের নামও পরিবর্তন করা হবে বলে জানা গেছে।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৫৯তম (এক্ট্রাঅর্ডিনারি) সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তর ক্যাম্পাসে একটি পুরাতন ও পরিত্যক্ত শামসুন নাহার হল রয়েছে। পুননির্মাণ করে হলটি ছাত্রদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হবে। এর নাম দেওয়া হয়েছে ফজলুল কাদের চৌধুরী হল।”

তিনি আরো বলেন, “ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ডে-কেয়ার সেন্টারটির নাম কে বা কারা যেন দিয়েছিল। আবার জয় বাংলা ভাস্কর্যের নামটিও অফিশিয়াল নয়। তবে এ দুটি স্থাপনার নামও পরিবর্তন করা হবে।

এদিকে, ফজলুল কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতাবিরোধীর অভিযোগ এনে তার নামে হলের নামকরণ করার প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সংগঠনটির ফেসবুক পেজে বিজ্ঞপ্তির দিয়ে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।

এছাড়া বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। 

এর আগে, ২২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৫৯তম সিন্ডিকেট সভায় তিনটি হলসহ ছয়টি স্থাপনার নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ