রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসে নতুন পাসপোর্টের আবেদন জমা দিতে আসা ব্যক্তিরা বিড়ম্বনায় পড়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এমন বিড়ম্বনার শিকার হন বেশ কয়েকজন আবেদনকারী।

পশ্চিম নাখালপাড়া থেকে নতুন পাসপোর্টের আবেদন করতে এসেছেন রনি দাস। সমকাল তিনি জানান, সকাল ৯টার দিকে তিনি পাসপোর্ট অফিসে পৌঁছেছেন। এরপর জাতীয় পরিচয়পত্র ভেরিফাই করার জন্য তাকে ১০৫ নম্বর কক্ষে পাঠানো হয়। সেখানে এনআইডি কার্ড জমা দিতে গেলে দায়িত্বরত কর্মকর্তা জানান- সার্ভার ডাউন আছে। দুই ঘণ্টা পরে আবার ওই কর্মকর্তার কক্ষে গেলে আবারও তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এক ঘণ্টা পর তিনি পুনরায় গেলে, তার এনআইডির ভেরিফায়েড কপি প্রদান করা হয়।

রনি দাসের মতো একই বেকায়দায় পড়েন আফসারা রহমান নামে এক আবেদনকারী। তাকেও এনআইডি ফেরিভায়েড কক্ষে যাওয়ামাত্র ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এভাবে যারাই নতুন আবেদন জমা দিতে গেছেন, তারাই পড়েছেন ভোগান্তিতে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস আগারগাঁওয়ের উপ-পরিচালক ইসমাইল হোসেন সমকালকে বলেন, যারা নতুন আবেদন জমা দিতে আসেন; তাদের এনআইডির ফেরিভায়েড হওয়া কপি বাধ্যতামূলক। সেক্ষেত্রে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সার্ভার ডাউন থাকায় কিছুটা বিড়ম্বনার সৃষ্টি হয়। তবে দুপুর ১টার পর সার্ভার আপ হলে কাজের গতি ফিরে আসে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

সড়কে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে কয়েক হাজার এনআইডি, কারণ জানতে কমিটি

কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার মধ্যম বাটাখালী এলাকার একটি সড়কে ছড়ানো-ছিটানো অবস্থায় কয়েক হাজার জাতীয়পত্র (এনআইডি) উদ্ধারের ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল রোববার চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আতিকুর রহমান এ তদন্ত কমিটি করেন।

কমিটিতে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহফুজুল ইসলামকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। সদস্য হিসেবে রয়েছেন চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, উপজেলা আইসিটি কর্মকর্তা ও গোয়েন্দা সংস্থার দুজন মাঠ কর্মকর্তা।

ইউএনও আতিকুর রহমান কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, সড়ক থেকে হাজারো জাতীয় পরিচয়পত্র উদ্ধারের ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে সরেজমিনে তদন্ত করে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে গত শনিবার বিকেলে এসব জাতীয় পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চকরিয়া পৌরসভার মধ্যম বাটাখালী এলাকায় সড়কের ওপর কয়েক হাজার জাতীয় পরিচয়পত্র ছড়ানো-ছিটানো অবস্থায় দেখে উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করেন এলাকাবাসী। এরপর চকরিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহফুজুল ইসলাম ঘটনাস্থলে পৌঁছে জাতীয় পরিচয়পত্রগুলো উদ্ধার করেন। এসব জাতীয় পরিচয়পত্র চকরিয়ার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের এবং ২০০৮ সালে ইস্যু করা।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহফুজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, যেসব জাতীয় পরিচয়পত্র সড়ক থেকে উদ্ধার করা হয়েছে, তার সবই পুরোনো। চকরিয়ায় সব জায়গায় স্মার্ট কার্ড বিতরণ শেষ হয়েছে। স্মার্ট কার্ড বিতরণের সময় পুরোনো জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে নেওয়া হয়। তবে এসব পুড়িয়ে ফেলা বা নষ্ট করে ফেলার কথা। হাজারো জাতীয় পরিচয়পত্র সড়কে কীভাবে এল, তা জানতে আজ সোমবার থেকে তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সার্ভার জটিলতায় আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে ভোগান্তি
  • সড়কে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে কয়েক হাজার এনআইডি, কারণ জানতে কমিটি