পৌরাণিক গল্প নিয়ে পরিচালক নীতেশ তিওয়ারি নির্মাণ করছেন ‘রামায়ণ’ সিনেমা। এতে রামের ভূমিকায় অভিনয় করছেন রণবীর কাপুর। আর সীতা চরিত্র রূপায়ন করছেন দক্ষিণী সিনেমার দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী সাই পল্লবী। সিনেমাটিতে রাবণ চরিত্রে দেখা যাবে ‘কেজিএফ’ তারকা যশ।
মহাকাব্য রামায়ণের অন্যতম প্রধান চরিত্র এবং প্রধান খলনায়ক রাবণ। তারপরও চরিত্রটি কেন রূপায়ন করতে রাজি হলেন যশ। এ নিয়ে কথা বলেছেন এই তারকা।
যশ বলেন, “চরিত্রটি ভীষণ চিত্তার্কষক। অন্য কোনো কারণে এটা করতাম না। আপনি যদি জিজ্ঞাসা করেন, রামায়ণে অন্য কোনো চরিত্রে অভিনয় করতে চান কিনা? আমি বলব, সম্ভবত না। আমার কাছে, রাবণ চরিত্রটি রোমাঞ্চকর। বিশেষ এই চরিত্রের শেড এবং সূক্ষ্মতা আমার পছন্দ। চরিত্রটিকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করার অনেক সুযোগ রয়েছে।”
আরো পড়ুন:
উর্বশীর ‘অশ্লীল নাচের’ দৃশ্য মুছে ফেলার খবর সত্য নয়
কন্যাসন্তান নিয়ে মন্তব্য করে বিপাকে চিরঞ্জীবী
রণবীর-সাই পল্লবী আগেই সিনেমাটির শুটিংয়ে অংশ নিয়েছেন। এ জুটির লুকও প্রকাশিত হয়েছে। তবে এখনো যশের অংশের শুটিং শুরু হয়নি। যশ বর্তমানে বেঙ্গালুরুতে ‘টক্সিক’ সিনেমার শুটিং নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ সিনেমার শুটিং শেষ করতে যশের আরো দুই মাস সময় লাগবে। এটি পরিচালনা করছেন গীতু মোহনদাস।
‘রামায়ণ’ সিনেমায় হনুমান চরিত্রে অভিনয় করছেন সানি দেওল। রাবণের ভাই বিভীষণের চরিত্রে অভিনয় করছেন বিজয় সেতুপতি। অভিনেত্রী লারা দত্তকে দেখা যাবে কৈকেয়ীর ভূমিকায়। সিনেমাটি তিনটি পর্বে নির্মাণ করা হবে।
‘রামায়ণ’ সিনেমার পোস্ট প্রোডাকশনের কাজের জন্য ৬০০ দিন ব্যয় হবে। এর ভিএফএক্সের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অস্কারজয়ী সংস্থা ডিএনইজিকে। হিন্দি, তামিল, তেলেগু ছাড়া আরো বেশ কিছু ভাষায় সিনেমাটি মুক্তি পাবে। বক্স অফিস বিশ্লেষক সুমিত জানিয়েছেন, ২০২৭ সালের অক্টোবরে মুক্তি পাবে ‘রামায়ণ’।
তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টুডে
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ভারতের ইস্যু না: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ভারতকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা বাংলাদেশের সাথে কেমন সম্পর্ক চায়। এ বিষয়ে বাংলাদেশ তার জায়গায় স্পষ্ট।
তিনি বলেন, ভারতের সংখ্যালঘু যেমন বাংলাদেশের ইস্যু না, ঠিক তেমন বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ভারতের ইস্যু না। এসব ইস্যুতে ভারতীয় মিডিয়া প্রপাগান্ডামূলক সংবাদ ছড়াচ্ছে। এগুলো পুরোই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। শেখ হাসিনা ভারতে আরাম আয়েশে বসে যে বক্তব্য দিচ্ছে তাতে দুদেশের সম্পর্ক খারাপ হচ্ছে।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তাদের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা অহরহ বাংলাদেশের বিপক্ষে বক্তব্য দেয়। এর মাঝেই সম্পর্ক ভালো করার চেষ্টা করছি। ভিসা তাদের অধিকার। এতে কিছু বলার নাই। আমরা বিকল্প খুঁজে নেবো।
সম্প্রতি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বাংলাদেশিদের অংশ নেয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। সে ব্যাপারে তিনি বলেন, ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধে যারা যাচ্ছে, আদম পাচারকারীদের ফাঁদে পড়ে যাচ্ছে। তাদের ফিরিয়ে আনা কঠিন কাজ। কতটুকু সরকার করতে পারবে তাতে সন্দিহান বলেও জানান তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশে ২৯ মিলিয়ন ডলার অর্থায়নের ব্যাপারে তিনি বলেন, এ সম্পর্কে কোনো তথ্য নেই। আমরা এ ব্যাপারে কিছু জানি না। এগুলো এনজিও ব্যুরোর অনুমোদন ছাড়া হয় না।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টার নেতৃত্বে এই মন্ত্রণালয় ভালো কিছু করতে পারছে না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, নিশ্চয়ই আমি পারছি না। না হলে এমন প্রশ্ন আসছে কেনো? যদি কাউকে পাওয়া যায় যে ভালো পারবে, আমি খুব আনন্দের সাথে তাকে এখানে স্বাগত জানিয়ে চলে যাব।
এম জি