ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে ফি কালেকশন সেবা দেবে ব্র্যাক ব্যাংক
Published: 24th, February 2025 GMT
শিক্ষার্থীদের সহজ ফি কালেকশন সেবা দিতে ব্র্যাক ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি। এ চুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষার্থীদের জন্য নিরবচ্ছিন্ন এবং কার্যকর ফি সংগ্রহ ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে। দুই প্রতিষ্ঠানের প্রযুক্তিগত ইন্টিগ্রেশনের ফলে নিরাপদ, সহজ এবং তাৎক্ষণিক ফি ও চার্জ পরিশোধের সুবিধা মিলবে।
ব্র্যাক ব্যাংকের বিস্তৃত ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক থেকে শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকরা ব্যাপক সুবিধা পাবেন। ব্র্যাক ব্যাংকের ১৮৯টি শাখা, ৭৪টি উপশাখা এবং ১ হাজার ১০০টির বেশি এজেন্ট আউটলেটে এখন সহজেই ফি জমা দেওয়া যাবে। এছাড়া, ব্যাংকের ‘আস্থা’ অ্যাপ এবং অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে যুক্ত হওয়ায় ফি পরিশোধ প্রক্রিয়া আরো সহজ হবে।
ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে ব্র্যাক ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব ব্র্যাঞ্চ ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক শেখ মোহাম্মদ আশফাক এবং ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার অবসরপ্রাপ্ত এয়ার কমোডর ইশফাক ইলাহী চৌধুরী নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক ব্যাংকের হেড অব ট্রানজ্যাকশন ব্যাংকিং এ কে এম ফয়সাল হালিম, হেড অব ব্র্যাঞ্চ ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন আলী তালুকদার, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ফাইন্যান্স কন্ট্রোলার তৌহিদুল ইসলামসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।
ব্র্যাক ব্যাংকের ইনস্টিটিউশনাল পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম কর্পনেট এবং স্মল বিজনেস ও রিটেইল ডিজিটাল পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম আস্থা একত্রিত করে ফি সংগ্রহ ব্যবস্থা আরো উন্নত করা হয়েছে। এ সংযোজন প্রশাসনিক কার্যক্রম সহজ করার পাশাপাশি বিভিন্ন অর্থনৈতিক ও পেমেন্ট প্রক্রিয়া দক্ষতার সঙ্গে সম্পন্ন করতে সাহায্য করবে।
এডুকেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমস ব্যবহার না করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ব্র্যাক ব্যাংক কাস্টমাইজড পেমেন্ট সল্যুশন দেয়, যা তাদের নির্দিষ্ট চাহিদা পূরণ করতে সহায়ক হবে।
ব্র্যাক ব্যাংকের এ পার্টনারশিপ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং তাদের স্টেকহোল্ডারদের জন্য আধুনিক, কার্যকর ও প্রযুক্তিনির্ভর নগদ সংগ্রহ সেবা দেওয়ার মিশনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।
ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি:
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের অর্থায়নে অগ্রাধিকার দেওয়ার ভিশন নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে, যা এখন পর্যন্ত দেশের অন্যতম দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী একটি ব্যাংক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ‘BRACBANK’ প্রতীকে ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেন হয়। ১৮৯টি শাখা, ৭৪টি উপশাখা, ৩৩০টি এটিএম, ৪৪৬টি এসএমই ইউনিট অফিস, ১ হাজার ১১৪টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এবং ৮ হাজারের বেশি মানুষের বিশাল কর্মী বাহিনী নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক কর্পোরেট ও রিটেইল সেগমেন্টেও সার্ভিস দিয়ে আসছে। ব্যাংকটি দৃঢ় ও শক্তিশালী আর্থিক পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে এখন সকল প্রধান প্রধান মাপকাঠিতেই ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষে অবস্থান করছে। ১৮ লাখেরও বেশি গ্রাহক নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক বিগত ২৩ বছরেই দেশের সবচেয়ে বৃহৎ জামানতবিহীন এসএমই অর্থায়নকারী ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের ব্যাংকিং খাতে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও নিয়মানুবর্তিতায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
ঢাকা/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ট ইউন ভ র স ট
এছাড়াও পড়ুন:
পুঁজিবাজারে মূলধন বেড়েছে ৮ হাজার ৪২৩ কোটি টাকা
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (১৬ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি) সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এ সময়ে ডিএসই ও সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন বেড়েছে। একইসঙ্গে বিদায়ী সপ্তাহে উভয় পুঁজিবাজারে মূলধন বেড়েছে ৮ হাজার ৪২৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১.১১ পয়েন্ট বা ০.০২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২০০ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৯.২২ পয়েন্ট বা ০.৪৮ শতাংশ কমে ১ হাজার ৯০৯ পয়েন্টে, ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৭.১৯ পয়েন্ট বা ০.৬২ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ১৬২ পয়েন্টে এবং ডিএসএমইএক্স সূচক (এসএমই ইনডেক্স) ০.৯২ পয়েন্ট বা ০.০৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৬ পয়েন্টে।
আরো পড়ুন:
৬ মিউচুয়াল ফান্ডের দ্বিতীয় প্রান্তিক প্রতিবেদন প্রকাশ
পুঁজিবাজারে সূচকের পতন
বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৯৫ হাজার ১৯১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৮৯ হাজার ৭৩৯ কোটি ৯০ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ৫ হাজার ৪৫১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৩৫১ কোটি ৭৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ১০৭ কোটি ২৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ২৪৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯৮টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৫৯টি কোম্পানির, কমেছে ২০৩টির ও অপরিবর্তিত আছে ৩৭ টির। তবে, ১৪টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়নি।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩১.৮৭ পয়েন্ট বা ০.২১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৪৯৭ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসই-৩০ সূচক ০.৪৯ শতাংশ কমে ১১ হাজার ৯০৫ পয়েন্টে, সিএসসিএক্স সূচক ০.০৮ শতাংশ কমে ৮ হাজার ৭৯৪ পয়েন্টে, সিএসআই সূচক ০.১৩ শতাংশ কমে ৯৪১ পয়েন্টে এবং এসইএসএমইএক্স (এসএমই ইনডেক্স) ১.৮৭ শতাংশ কমে ২ হাজার ১০৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৫ হাজার ৪৩৬ কোটি ৩২ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ২ হাজার ৪৬৪ কোটি ৮১ লাখ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ২ হাজার ৯৭১ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ৩৩ কোটি ৪৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২৯ কোটি ১৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৪ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইতে মোট ২৯৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এগুলোর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ১১৯টি কোম্পানির, কমেছে ১৫১টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৭টির।
ঢাকা/এনটি/রফিক