শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা, ৫ কেন্দ্রে আসনবণ্টন, অনলাইনে প্রবেশপত্র প্রকাশ
Published: 24th, February 2025 GMT
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষ প্রথম সেমিস্টারের ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র প্রকাশ করা হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুর থেকে শাবিপ্রবির ভর্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট থেকে ভর্তি–ইচ্ছুরা প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে পারছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটির সদস্যসচিব মো. রফিকুল ইসলাম জানান, নির্ধারিত তারিখে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার চার দিন আগে থেকে প্রবেশপত্র প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর মধ্যে অনেক শিক্ষার্থীর প্রবেশপত্রের জন্য ওয়েসাইটের ‘লগইন’র ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন কিংবা তা সংগ্রহ করতে পারছেন না। এ রকম প্রায় আড়াই হাজার আবেদনকারীর সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। এ কারণে যাঁরা প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে পারছেন না, তাঁদের ভর্তি কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।’
এদিকে, শাবিপ্রবির ভর্তিবিষয়ক ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তিতে তিনটি হটলাইন নম্বর দেওয়া হয়েছে। সেখানে পাসওয়ার্ড পুনরায় ফেরত পেতে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ (উচ্চমাধ্যমিকের রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও নিবন্ধনকৃত ফোন নম্বরসহ) দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
আরও পড়ুনচায়নিজ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ, প্রয়োজন নেই আইইএলটিএস৯ ঘণ্টা আগেভর্তি কমিটির সদস্যসচিব মো.
অন্যদিকে, বি ইউনিটে (বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগ) শাবিপ্রবি কেন্দ্রে ৬ হাজার ৯৮৩ জন; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২ হাজার ৬৩৬, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫ হাজার ৫৬, যবিপ্রবিতে ৩ হাজার ১৪ ও সিভাসুতে ১ হাজর ৪২৭ জনসহ মোট ৫৬ হাজার ৫৮ জন আবদেনকারী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার কথা রয়েছে। ২৮ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টায় ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষা। একই দিন বেলা ৩টায় এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুনজাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি, এমসিকিউ ১০০, মেধাতালিকা ২০০ নম্বরে২০ জানুয়ারি ২০২৫আসন কতশাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটাসহ মোট আসন ১ হাজার ৬৭১টি। ২৮টি বিভাগে মূল আসন ১ হাজার ৫৬৬। এ বছর এ ইউনিটে (বিজ্ঞান শাখা) মোট আসন ৯৮৫টি এবং বি ইউনিটে (বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য শাখা) মোট ৫৮১টি আসন রয়েছে। এসব আসন ছাড়াও অতিরিক্ত ১০৫টি কোটা আসন রয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ২৮, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী/জাতিসত্তা/হরিজন-দলিত কোটা ২৮, প্রতিবন্ধী কোটা ১৪, পোষ্য কোটা ২০, চা–শ্রমিক কোটা ৫, বিকেএসপি (খেলোয়াড়) কোটা ১০।
আরও পড়ুনএসএসসি পরীক্ষা–২০২৫ নতুন রুটিন প্রকাশ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
গার্দিওয়ালার ভয়, চ্যাম্পিয়নস লিগে জায়গা হারালে বড় ট্রান্সফার হবে
পেপে গার্দিওলা যেমন শিরোপা জেতাতে পারদর্শী, ঠিক একইভাবে ট্রান্সফার মার্কেটের সবচেয়ে বড় খদ্দেরও তিনি। শীতকালীন দল বদলেই খরচ করেছেন ২০০ মিলিয়ন ইউরো। সিটি কোচের এই ধরনের বিশাল অংকের অর্থ খরচের ইচ্ছে আছে আসন্ন গ্রীষ্মকালীন দল বদলেও। তবে গার্দিওয়ালা সতর্ক করে বলেছেন যে, ম্যানসিটি চ্যাম্পিয়নস লিগে জায়গা না পেলে তাদের শীর্ষস্থানীয় ট্রান্সফার টার্গেটগুলো মিস হয়ে যেতে পারে।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ (ইপিএলে) সবশেষ ৭ মৌসুমে ৬ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল পেপ গার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটি। তবে এই মৌসুমে তারা আছে টেবিলের পাঁচ নম্বরে। সামনের মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগে ইপিএল থেকে ৫টি দল খেলার সুযোগ পাবে। তাই বর্তমান অবস্থানে থেকেই যদি সিটি মৌসুম শেষ করে, তাহলে তাদের চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলতে অসুবিধা হবে না। তবে যদি একটুও পা ফসকায়, তাহলে ঘারে নিঃশ্বাস ফেলা অ্যাস্ট ভিলা ও চেলসির কাছে হারাতে হবে ৫ নম্বর স্থানটিও। সিটি শনিবার (১৯ এপ্রিল) এভারটনের বিপক্ষে ম্যাচে নামার আগে তাদের হাতে রয়েছে আর মাত্র ছয়টি খেলা।
চলতি মৌসুমে কিছুটা হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর গার্দিওয়ালা গ্রীষ্মে দল ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা করছেন। তবে তিনি স্বীকার করেছেন, যদি চ্যাম্পিয়নস লিগ ফুটবল নিশ্চিত না হয়, তাহলে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে খেলতে সেরা খেলোয়াড়দের আনতে অসুবিধা হতে পারে।
আরো পড়ুন:
ম্যানসিটির ফুটবলারদের ইচ্ছেশক্তির অভাব দেখছেন গুন্দোয়ান
ডার্বি ড্র করে ইউনাইটেড সমর্থকদের ‘ক্লাসলেস’ বললেন গার্দিওলা
গার্দিওয়ালা বলেন, “এটা নির্ভর করে আমরা কাদের নিতে চাই এবং তারা কী শুধুমাত্র আমাদেরকেই পছন্দ করে। যদি তাদের সামনে একাধিক বিকল্প থাকে, তাহলে আমি নিশ্চিত, তারা অবশ্যই চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলছে এমন ক্লাবগুলোকেই বেছে নেবে।”
ইএসপিএনের দাবি, কেভিন ডি ব্রুইনার বিকল্প হিসেবে, জার্মান ক্লাব বেয়ার লেভারকুসেনের ফরোয়ার্ড ফ্লোরিয়ান উইর্টজের দিকে নজর রেখেছে সিটি। তবে রিয়াল মাদ্রিদ এবং বায়ার্ন মিউনিখও তাকে দলে ভেড়াতে আগ্রহী। আর এই দুই দলই আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলবে।
গার্দিওয়ালার ধারনা, “আমি জানি না। হয়তো কিছু খেলোয়াড় আসবে, আবার কেউ কেউ, ‘চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলতে পারছি না’ বলে আসতে চাইবে না। আমি এখনও কোনও সম্ভাব্য ভবিষ্যতের খেলোয়াড়ের সঙ্গে কথা বলিনি, তাই আসলে কিছুই বলতে পারছি না।”
ডি ব্রুইনা নিশ্চিতভাবে সিটি ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে দিয়েছেন। তবে দলে বেশ কয়েকজন সিনিয়র খেলোয়াড়ের ভবিষ্যৎ নিয়েও অনিশ্চয়তা রয়েছে। গার্দিওয়ালা বলেন, “আমার এখন বড় স্কোয়াড। দুই একজন খেলোয়াড় গুডিসন পার্কে (এভারটনের মাঠ) সফরে যেতে পারবেন না। এটা খুব বাজে বিষয়, ভয়ানক।
তারা বেঞ্চেও থাকতে পারবে না, বাসায় বসে ভাববে ‘আমি এখানে কী করছি?’ তারা তাদের কাজটাই করতে পারছে না। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, দেখা যে কে কতটা নির্ভরযোগ্য। যদি কোনো খেলোয়াড় নির্ভরযোগ্য হয়, তাহলে আর কারো দরকার নেই।”
“যদি এমন হয়, যে পুরো মৌসুমে ২০ কিংবা ২৫ শতাংশ ম্যাচ খেলে, তাহলে হয় তার নিজের বিকল্প খোঁজা দরকার, নয়তো অন্য কাউকে আনতে হবে। এটা ভারসাম্য রক্ষা, যেটা আমাদের আলোচনা, পর্যবেক্ষণ করে ঠিক করতে হবে।”
ঢাকা/নাভিদ