ধর্ষণে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তি ও নারীদের নিরাপত্তা দাবিতে সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
Published: 24th, February 2025 GMT
ধর্ষণে জড়িত ব্যক্তিদের কঠিন শাস্তি ও নারীদের নিরাপত্তার দাবিতে সাড়ে তিন ঘণ্টা বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজের শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে বেইলি রোডে কলেজের সামনে এ সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। বেলা সাড়ে তিনটা পর্যন্ত তাঁরা সেখানে বিক্ষোভ করেন।
শিক্ষার্থীরা ‘ইজ্জত যারা করল হরণ, তাদের চাই মৃত্যুবরণ’, ‘জাস্টিস, জাস্টিস, উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘আমার বোন কবরে, ধর্ষক কেন বাহিরে’, ‘ধর্ষকের চামড়া, তুলে নেব আমরা’–সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।
সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সাবিহা আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, ‘কিছুদিন ধরেই ধর্ষণের ঘটনাগুলো আমাদের চোখে পড়েছে। তখন থেকেই আমরা ভাবছিলাম, এ রকম যদি চলতে থাকে, আমরা প্রতিবাদ করব। তারই অংশ হিসেবে আজ দুপুর থেকে নিজ প্রতিষ্ঠানের সামনে কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছি। প্রশাসন এখন পর্যন্ত শিথিল অবস্থানে আছে। যদি কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া না হয়, আমরা অন্য প্রতিষ্ঠানকে সঙ্গে নিয়ে আরও কঠোর কর্মসূচি হাতে নিতে পারি।’
শিক্ষার্থীরা সব ধরনের সহিংসতা বন্ধের দাবি জানান। নারীরা যেন নিরাপদে, নির্ভয়ে ঘর থেকে বের হয়ে আবার ঘরে ফিরতে পারেন, সেই নিরাপত্তা চান তাঁরা।
একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান বলে, ‘এই প্রতিবাদে কলেজের বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছে। কলেজ প্রশাসনও আমাদের প্রতিবাদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছে।’
গতকাল দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণ, নারী নির্যাতন ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ ও নারী-শিশুসহ সবার নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রতিবাদ সমাবেশ, বিক্ষোভ, মোমবাতি প্রজ্বালন ও মশালমিছিল হয়েছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেটের শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল ব্রজমোহন (বিএম) কলেজ, রংপুর কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ, লায়ন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এসব কর্মসূচি পালন করা হয়।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কল জ র
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ভারতের ইস্যু না: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ভারতকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা বাংলাদেশের সাথে কেমন সম্পর্ক চায়। এ বিষয়ে বাংলাদেশ তার জায়গায় স্পষ্ট।
তিনি বলেন, ভারতের সংখ্যালঘু যেমন বাংলাদেশের ইস্যু না, ঠিক তেমন বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ভারতের ইস্যু না। এসব ইস্যুতে ভারতীয় মিডিয়া প্রপাগান্ডামূলক সংবাদ ছড়াচ্ছে। এগুলো পুরোই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। শেখ হাসিনা ভারতে আরাম আয়েশে বসে যে বক্তব্য দিচ্ছে তাতে দুদেশের সম্পর্ক খারাপ হচ্ছে।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তাদের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা অহরহ বাংলাদেশের বিপক্ষে বক্তব্য দেয়। এর মাঝেই সম্পর্ক ভালো করার চেষ্টা করছি। ভিসা তাদের অধিকার। এতে কিছু বলার নাই। আমরা বিকল্প খুঁজে নেবো।
সম্প্রতি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বাংলাদেশিদের অংশ নেয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। সে ব্যাপারে তিনি বলেন, ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধে যারা যাচ্ছে, আদম পাচারকারীদের ফাঁদে পড়ে যাচ্ছে। তাদের ফিরিয়ে আনা কঠিন কাজ। কতটুকু সরকার করতে পারবে তাতে সন্দিহান বলেও জানান তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশে ২৯ মিলিয়ন ডলার অর্থায়নের ব্যাপারে তিনি বলেন, এ সম্পর্কে কোনো তথ্য নেই। আমরা এ ব্যাপারে কিছু জানি না। এগুলো এনজিও ব্যুরোর অনুমোদন ছাড়া হয় না।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টার নেতৃত্বে এই মন্ত্রণালয় ভালো কিছু করতে পারছে না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, নিশ্চয়ই আমি পারছি না। না হলে এমন প্রশ্ন আসছে কেনো? যদি কাউকে পাওয়া যায় যে ভালো পারবে, আমি খুব আনন্দের সাথে তাকে এখানে স্বাগত জানিয়ে চলে যাব।
এম জি