কুবিতে মাদক সেবনকালে শিক্ষার্থীসহ আটক ৩
Published: 24th, February 2025 GMT
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) মাদক সেবনরত অবস্থায় শিক্ষার্থীসহ তিনজনকে আটক করেছেন প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ১১ টার দিকে তাদের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ থেকে আটক করা হয়েছে।
আটকরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাইদ উদ্দীন আহমেদ ও তাকভীর আল মাহমুদ এবং তাদের সঙ্গে থাকা দোকান কর্মচারী মো.
আটক হাসিবুল নিজেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। এছাড়া তিনি বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন একটি দোকানের কর্মচারী। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি হাসিবুলকে দোকানের মালিকের জিম্মায় ছেড়ে দেয়।
অপরদিকে, ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের দুই ছাত্রকে বিভাগের ছাত্র পরামর্শক সাইদুল আল-আমিন ও সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ মাকসুদুল করীমের হেফাজতে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ মাকসুদল করীম বলেন, “বিষয়টি অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে কথা বলে বিভাগ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মাদকের বিষয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় জিরো টলারেন্স নীতিতে আছে। খুব শীঘ্রই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. নাহিদা বেগম বলেন, “আমরা মাদকমুক্ত ক্যাম্পাস চাই। এজন্য যতটুকু ব্যবস্থা নেওয়ার, নেব। ইনশাআল্লাহ, আমাদের কাজ অব্যাহত থাকবে।”
ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ভারতের ইস্যু না: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ভারতকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা বাংলাদেশের সাথে কেমন সম্পর্ক চায়। এ বিষয়ে বাংলাদেশ তার জায়গায় স্পষ্ট।
তিনি বলেন, ভারতের সংখ্যালঘু যেমন বাংলাদেশের ইস্যু না, ঠিক তেমন বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ভারতের ইস্যু না। এসব ইস্যুতে ভারতীয় মিডিয়া প্রপাগান্ডামূলক সংবাদ ছড়াচ্ছে। এগুলো পুরোই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। শেখ হাসিনা ভারতে আরাম আয়েশে বসে যে বক্তব্য দিচ্ছে তাতে দুদেশের সম্পর্ক খারাপ হচ্ছে।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তাদের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা অহরহ বাংলাদেশের বিপক্ষে বক্তব্য দেয়। এর মাঝেই সম্পর্ক ভালো করার চেষ্টা করছি। ভিসা তাদের অধিকার। এতে কিছু বলার নাই। আমরা বিকল্প খুঁজে নেবো।
সম্প্রতি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বাংলাদেশিদের অংশ নেয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। সে ব্যাপারে তিনি বলেন, ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধে যারা যাচ্ছে, আদম পাচারকারীদের ফাঁদে পড়ে যাচ্ছে। তাদের ফিরিয়ে আনা কঠিন কাজ। কতটুকু সরকার করতে পারবে তাতে সন্দিহান বলেও জানান তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশে ২৯ মিলিয়ন ডলার অর্থায়নের ব্যাপারে তিনি বলেন, এ সম্পর্কে কোনো তথ্য নেই। আমরা এ ব্যাপারে কিছু জানি না। এগুলো এনজিও ব্যুরোর অনুমোদন ছাড়া হয় না।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টার নেতৃত্বে এই মন্ত্রণালয় ভালো কিছু করতে পারছে না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, নিশ্চয়ই আমি পারছি না। না হলে এমন প্রশ্ন আসছে কেনো? যদি কাউকে পাওয়া যায় যে ভালো পারবে, আমি খুব আনন্দের সাথে তাকে এখানে স্বাগত জানিয়ে চলে যাব।
এম জি