গ্যাস সংকটে বন্ধ হওয়ার ১৩ মাস পর সংযোগ পেয়ে উৎপাদনে ফিরেছে জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে অবস্থিত দেশের সর্ববৃহৎ ইউরিয়া উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যমুনা সার কারখানা। রোববার রাতে ইউরিয়া উৎপাদনে ফিরে কারখানাটি।

কারখানা সূত্রে জানা যায়, যমুনা সার কারখানা বাংলাদেশ রাসায়নিক শিল্প সংস্থা নিয়ন্ত্রণাধীন এবং কেপিআই-১ মানসম্পন্ন সার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই দৈনিক ১ হাজার ৭০০ টন ইউরিয়া উৎপাদন করে আসছিল কারখানাটি। কারখানার নিরবচ্ছিন্ন উৎপাদনের জন্য দৈনিক ৪২-৪৩ পিএসআই গ্যাসের প্রয়োজন হয়। কিন্তু গ্যাসের চাপ স্বল্পতা ও বিভিন্ন ত্রুটির কারণে কারখানার উৎপাদন কমে বর্তমানে ১ হাজার ২০০ টন ইউরিয়া সার উৎপাদন করছে। গত বছরের ১৫ জানুয়ারি থেকে যমুনার গ্যাসের চাপ কমিয়ে দেয় তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি। এরপর থেকেই যমুনায় ইউরিয়া উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।

প্রায় ১৩ মাস পর ১৩ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার থেকে গ্যাসের চাপ পুনরায় বৃদ্ধি করলে ইউরিয়া সার উৎপাদনে আনতে কার্যক্রম শুরু করে কারখানা কর্তৃপক্ষ। তবে যন্ত্রাংশের কিছুটা মেরামত করে অ্যামোনিয়া ও ইউরিয়া পুরোপুরি উৎপাদনে যেতে পারেনি। সকল কার্যক্রম শেষে ২৪ ফেব্রুয়ারি রোববার রাত থেকে ইউরিয়া উৎপাদন শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে যমুনা সার কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আ.

স .ম মোসলে উদ্দিন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে কারখানাটিতে গ্যাস সংকটে সার উৎপাদন বন্ধ ছিল। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি পুনরায় গ্যাস দেয় তিতাস। সব কার্যক্রম শেষ করে রোববার রাত থেকেই পুরোপুরি ইউরিয়া উৎপাদনে ফিরেছে যমুনা সার কারখানা।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইউর য়

এছাড়াও পড়ুন:

অপারেশন ডেভিল হান্টে আরও গ্রেপ্তার ৫৮৯

যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযান ‘অপারেশন ডেভিল হান্টে’ সারা দেশে আরও ৫৮৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে ৮ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে আজ সোমবার ২৪ ফেব্রুয়ারি বিকেল পর্যন্ত এই অভিযানে মোট ৯ হাজার ২৫৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।

আজ সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পুলিশ সূত্র জানায়, অপারেশন ডেভিল হান্টের পাশাপাশি বিভিন্ন মামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল রোববার বিকেল থেকে আজ বিকেল) আরও ৯৫৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া একই সময়ে কিছু অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১টি বিদেশি পিস্তল, ১টি কাঠের বাঁটযুক্ত পিস্তল, ৩টি ম্যাগাজিন, ১২টি গুলি ও ১টি মালবাহী ট্রাক।

৭ ফেব্রুয়ারি রাতে গাজীপুরে সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলার শিকার হন ১৫ থেকে ১৬ শিক্ষার্থী। এরপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর সমন্বয়ে অপারেশন ডেভিল হান্ট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বলছেন, শিক্ষার্থীরা ওই রাতে মোজাম্মেল হকের বাড়িতে ডাকাতির খবর পেয়ে তা প্রতিহত করতে গিয়েছিলেন। তখন তাঁদের ওপর হামলা চালানো হয়। ওই ঘটনায় আহত একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ