মার্সেল পণ্য কিনে ১০ লাখ টাকা পাওয়ার সুযোগ
Published: 24th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
আসন্ন ঈদ উৎসবকে ঘিরে সারা দেশে শুরু হয়েছে শীর্ষস্থানীয় দেশীয় ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড মার্সেলের ‘ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২২’। আগের মতো ক্যাম্পেইনের এই সিজনেও মার্সেল পণ্যের ক্রেতাদের জন্য থাকছে বিশেষ চমক। সিজন-২২ এর আওতায় দেশের যেকোনো শোরুম থেকে মার্সেল ব্র্যান্ডের ফ্রিজ, এয়ার কন্ডিশনার বা এসি, ওয়াশিং মেশিন ও সিলিং ফ্যান কিনে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত পেতে পারেন ক্রেতারা। আরও রয়েছে লাখ লাখ টাকার ক্যাশভাউচারসহ নিশ্চিত উপহার। ক্রেতারা ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ তারিখ থেকে চলতি বছরের ঈদুল আযহা পর্যন্ত এসব সুবিধা পাবেন।
গত বৃহস্পতিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীতে মার্সেল কর্পোরেট অফিসে আয়োজিত ‘ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২২’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মার্সেলের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর চিত্রনায়ক আমিন খান, চিফ মার্কেটিং অফিসার জোহেব আহমেদ, মার্সেলের হেড অব বিজনেস মতিউর রহমান, মার্সেল ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্ক নর্থ জোনের ইনচার্জ কুদরত ই খুদা ও সাউথ জোনের ইনচার্জ নুরুল ইসলাম রুবেল প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জনপ্রিয় মডেল এবং অভিনেতা ইরফান সাজ্জাদ।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, অনলাইন অটোমেশনের মাধ্যমে গ্রাহকদের আরো দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে সারা দেশে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে মার্সেল। পূর্বের প্রতিটি সিজনে গ্রাহকদের কাছ থেকে মিলেছে অভূতপূর্ব সাড়া। এরই ধারাবাহিকতায় ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের নতুন সিজন শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, ক্রেতারা দেশের যেকোনো শোরুম থেকে মার্সেল ফ্রিজ, এসি, ওয়াশিং মেশিন ও ফ্যান কেনার সময় পণ্যটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে। এরপর ক্রেতার দেওয়া মোবাইল নাম্বারে মার্সেল থেকে ফিরতি এসএমএসের মাধ্যমে উপহার পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। সংশ্লিষ্ট শোরুম ক্রেতাদেরকে প্রাপ্ত উপহার বুঝিয়ে দেবে।
ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতিতে ক্রেতার নাম, মোবাইল নম্বর এবং বিক্রি করা পণ্যের মডেল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য মার্সেলের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। ফলে, ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে ফেললেও দেশের যেকোনো মার্সেল সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত সেবা পাচ্ছেন গ্রাহক। অন্যদিকে, সার্ভিস সেন্টারের প্রতিনিধিরাও গ্রাহকের ফিডব্যাক জানতে পারছেন। এ কার্যক্রমে ক্রেতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে ক্যাম্পেইনের আওতায় এসব সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।
এএ
.উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: ড জ ট ল ক য ম প ইন ক য ম প ইন র অন ষ ঠ ন
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারের ওপর জঙ্গি-ভূত ভর করেছে: সোহেল
‘জঙ্গি-ভূত’ অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর ভর করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল। তিনি সরকারের উদ্দেশে বলেনে, ‘‘আপনাদের কর্মকাণ্ড দেখে মনে হয়, জঙ্গি-ভূত আপনাদের ওপর ভর করেছে। রগকাটারা আপনাদের ওপর ভর করেছে। সুতরাং ভোট নিয়ে টালবাহানা এই দেশের জনগণ সহ্য করবে না।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা করবেন না। কোটি কোটি তরুণ ভোটার এখনো ভোট দিতে পারে নাই। অতি দ্রুত নির্বাচন দিন, নচেৎ কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবো।’’
দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিরোধ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, পতিত স্বৈরাচারের দোসরদের বিচার ও দ্রুত গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরণের জন্য নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে কেন্দ্রীয় বিএনপির ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা বিএনপির উদ্যোগে রাঙামাটিতে এ জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন হাবিব-উন-নবী খান সোহেল।
আরো পড়ুন:
তর্ক-বিতর্কে যেন স্বৈরাচার সুযোগ পেয়ে না যায়: তারেক রহমান
নোয়াখালীতে অস্ত্রসহ বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে হাবিব-উন-নবী খান সোহেল বলেন, ‘‘অনেক ছাত্র ভাই মনে করেন, সব তারাই করেছেন। আসলে বয়স কমতো তাই বোঝে না। ১৫ দিনে তারা সব করে ফেলেছে মনে করে। তারা তো এসেই গরম ভাত পেয়েছে কিন্তু ভাত তৈরি করতে যে কত কষ্ট; চারা রোপণ থেকে শুরু, আরো কত কী করতে হয়, তাতো তারা বোঝে না। বিগত ১৬ বছর তিল তিল কষ্ট করে যে আন্দোলন বিএনপি তৈরি করেছিল, সেই আন্দোলনের ওপর ভর করেই ছাত্ররা আন্দোলন করেছে।’’
দীর্ঘ ১৯ বছর পর রাঙামাটিতে সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকালে শহীদ আবদুস শুক্কুর স্টেডিয়ামে বিএনপির জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। ২০০৬ সালে ১২ ফেব্রুয়ারি রাঙামাটি স্টেডিয়ামে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে সর্বশেষ জনসভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা বিএনপির সভাপতি দীপন তালুকদার দীপুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদ মামুনের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগ) মাহাবুবের রহমান শামীম, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগ) হারুনুর রশীদ, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সহ-সম্পাদক দীপেন দেওয়ান, কেন্দ্রীয় বিএনপির উপজাতি বিষয়ক সহ-সম্পাদক লে. কর্নেল (অব.) মনীষ দেওয়ান, সাবেক সংসদ সদস্য মনি স্বপন দেওয়ান প্রমুখ।
ঢাকা/শংকর/বকুল