দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের কষ্ট লাঘবের লক্ষ্যে পটুয়াখালীতে চালু করা হয়েছে সাশ্রয়ী মূল্যের ‘রমজানের বাজার’। পটুয়াখালীবাসী নামের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এ মহতী উদ্যোগ নিয়েছে।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় পটুয়াখালী শহরের শহীদ আলাউদ্দিন শিশু পার্ক মাঠে এ বাজারের উদ্বোধন করেন সংগঠনটির সদস্যরা। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফিন। এ ছাড়া পটুয়াখালী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইফফাত আরা জামান উর্মিসহ সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

এ বাজারে রমজানের প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী বাজারমূল্যের তুলনায় কম দামে বিক্রি করা হচ্ছে। এখানে ছোলা, মসুর ডাল, তেল, মুড়ি, চিনি, চিড়া, খেজুরসহ বিভিন্ন জরুরি খাদ্যসামগ্রী সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে।

আরো পড়ুন:

আমদানি বেশি, রমজানে কম দামে মিলবে ছোলা-খেজুর

ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ জানাল আরব আমিরাত

সরেজমিন রমজানের বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে যেখানে ছোলার দাম ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, সেখানে রমজানের বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। ১১০ থেকে ১২০ টাকার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়; ১১০ থেকে ১২০ টাকার মুড়ি ৮০ টাকায়;  ২৩০ থেকে ২৫০ টাকার খেঁজুর ১৭০ টাকায়; ১২০ থেকে ১৩০ টাকার চিনি ১১৫ টাকায়; ৭০ থেকে ৮০ টাকার চিড়া ৬০ টাকায়; ৪০ টাকা থেকে ৪৫ টাকার লবণ ৩৫ টাকায় এবং বাজারে প্রতি লিটারে তেলের যে দামে বিক্রি হয় তার চেয়ে ১০ থেকে ১৫ টাকা কম দামে বিক্রি হচ্ছে রমজানের বাজারে। সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য কিনতে পেরে উচ্ছসিত নিম্ন ও মধ্যবিত্ত ক্রেতারা।

রমজানের বাজারে আসা ক্রেতা মনিরা বেগম বলেন, ‘‘বাজারে বর্তমানে সব দ্রব্যের দাম অনেক বেশি। এখানে এসে দেখলাম বাজারে বিক্রি হওয়া সব পণ্যের দামের চেয়ে ২০ থেকে ২৫ টাকা কম। তাই ছোলাবুট ও মুড়িসহ বেশ কিছু পণ্য এখান থেকে ক্রয় করেছি। কম দামে প্রয়োজনীয় সবকিছু পাওয়ায় আমরা মধ্যবিত্তরা অনেক উপকৃত হচ্ছি।’’

পটুয়াখালীবাসী সংগঠনের সভাপতি মাহমুদ হাসান রায়হান বলেন, ‘‘পটুয়াখালীবাসীর পক্ষ থেকে এ বাজারের আয়োজন করেছি, যাতে সাধারণ মানুষ রমজান মাসে সাশ্রয়ী দামে তাদের প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পারেন। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সহযোগিতার হাত বাড়ানো। পুরো রমজান মাসজুড়ে আমাদের এ বাজার চালু থাকবে।’’

পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফিন বলেন, এ ধরনের মানবিক উদ্যোগ সমাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এবং এটি বিশেষভাবে প্রান্তিক মানুষের জন্য উপকারী। জেলা প্রশাসন পটুয়াখালীবাসী সংগঠনকে সকল ধরনের সহযোগিতা করবে।

পটুয়াখালীবাসী সংগঠনটি এর আগেও  প্রান্তিক কৃষকদের কাছ থেকে সবজি কিনে পাইকারি দামে বাজারে বিক্রি করেছে। এছাড়া এ সংগঠনটি দীর্ঘদিন ধরে অসহায় হতদরিদ্র মানুষকে সহযোগিতা করে আসছে। 

ঢাকা/ইমরান/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর রমজ ন রমজ ন র ব জ র কম দ ম

এছাড়াও পড়ুন:

সাভারে স্মৃতিসৌধে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান, আটক ৩

সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে ‘মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড’–এর পতাকা হাতে সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর স্মৃতিসৌধের বেদির সামনে থেকে তাঁরা ‘জাতির পিতা শেখ মুজিব, লও লও লও সালাম’, ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’, ‘একাত্তরের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘তুমি কে আমি কে, বাঙালি বাঙালি’সহ নানা স্লোগান দিয়ে ফটকের দিকে আসেন।

এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে আশুলিয়া থানা-পুলিশ। আটক ব্যক্তিরা হলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক এবং মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম লীগের মহাসচিব সেলিম রেজা (৪৭), মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম লীগের সদস্য মো. শহিদুল ইসলাম (৫০) ও আশুলিয়ার গাজীরচট শের আলী এলাকার সোহেল পারভেজ (৪১)।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বেলা ১১টার দিকে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের পতাকা হাতে স্মৃতিসৌধের মূল বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। পরে তাঁরা স্মৃতিসৌধ থেকে বের হওয়ার সময় ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’সহ নানা স্লোগান দেন। পরে স্মৃতিসৌধে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা এগিয়ে এলে তাঁরা বিভিন্ন দিকে দৌড় দেন। কয়েকজন মূল ফটকের দিকে গেলে জনতার সঙ্গে তাঁদের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে একজনকে পিটুনি দেন জনতা। মারধরের সময় উপস্থিত সংবাদকর্মীসহ বেশ কয়েকজন তাঁদের থামানোর চেষ্টা করেন। পরে তিনজনকে আটক করে আশুলিয়া থানা-পুলিশ।

স্লোগান দেওয়ার ব্যাপারে সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে সংগঠনটির কয়েকজন স্লোগান দেওয়ার কথা স্বীকার করেন। তাঁরা বলেন, ‘আমরা মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি, আমরা স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তি।’ পরিচয় জানতে চাইলে তাঁদের একজন বলেন, ‘আমি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। এটা আমার সবচেয়ে বড় পরিচয়।’ পরে জানান, তাঁর নাম আমিন মুসল্লি। তিনি বরগুনা সদর থেকে এসেছেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহীনুর কবির বলেন, স্মৃতিসৌধ চত্বর থেকে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তাঁরা জাতীয় স্মৃতিসৌধে উসকানিমূলক স্লোগান দিয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মাসব্যাপী নামাজ পড়া ৩২ কিশোরকে সাইকেল দিল মহানগর উত্তর বিএনপি
  • পেপার ও পেপার বোর্ড আমদানিতে শুল্ক ৫ শতাংশ চান ব্যবসায়ীরা
  • সয়াবিনের দাম লিটারে ১৮ টাকা বাড়াতে চান ব্যবসায়ীরা
  • জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের তিন নেতাকে কারণ দর্শনোর নোটিশ
  • সাভারে স্মৃতিসৌধে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান, আটক ৩