সিরাজগঞ্জ-২ আসনের (সদর-কামারখন্দ) সাবেক সংসদ সদস্য জান্নাত আরা হেনরীর ৩৫টি ব্যাংক হিসাবে ২ হাজার কোটি টাকার লেনদেনের তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর বাইরে সাবেক এই সংসদ সদস্যের ব্যাংক হিসাবে আরও ১৩ কোটি ৭৮ লাখ মার্কিন ডলারের সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পেয়েছে দুদক। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জান্নাত আরা হেনরীর ৬৮টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন।

ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো.

জাকির হোসেন আজ সোমবার এই আদেশ দেন।

দুদক আদালতকে লিখিতভাবে জানিয়েছে, জান্নাত আরা হেনরী জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৫৭ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। দুর্নীতি ও ঘুষের মাধ্যমে এই অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন বলে দুদক জানতে পেরেছে। আদালত শুনানি নিয়ে আদালত জান্নাত আরা হেনরীর ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন।

এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি জান্নাত আরা হেনরীর স্থাবর সম্পদ ক্রোকের (জব্দ) আদেশ দেন আদালত। সংস্থাটির তথ্য বলছে, সাবেক এই সংসদ সদস্যের জমি, ফ্ল্যাটসহ ৪৫টি স্থাবর সম্পত্তি, ১৬টি গাড়ি, ১৯টি ব্যাংক হিসাবে থাকা প্রায় ৫৭ কোটি টাকা এবং যৌথ মালিকানাধীন ৪ কোম্পানির ১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৫ নভেম্বর জান্নাত আরা হেনরী, তাঁর স্বামী শামীম তালুকদার ও মেয়ে মুনতাহা রিদায়ীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত। এর আগে ৩০ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার হন হেনরি। বর্তমানে তিনি ও তাঁর স্বামী কারাগারে আছেন।

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত ১ জানুয়ারি জান্নাত আরা হেনরীর বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের সমন্বিত কার্যালয় ঢাকা–১–এর উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জ ন ন ত আর

এছাড়াও পড়ুন:

কক্সবাজারে সংঘর্ষের ব্যাখ্যা দিল আইএসপিআর

কক্সবাজারে নির্মাণাধীন বিমান ঘাঁটিতে সংঘর্ষের ব্যাখ্যা দিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। 

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আইএসপিআরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংঘর্ষের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। ওই সংঘর্ষে যুবকের মৃত্যুর বিষয়েও ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কক্সবাজারে নির্মাণাধীন বিমান ঘাঁটিসংলগ্ন সমিতি পাড়ার কিছু দুর্বৃত্ত সোমবার ঘাঁটিতে অতর্কিত হামলা চালিয়েছে।

স্থানীয় এক লোকের মোটরসাইকেলের কাগজপত্র না থাকায় বিয়াম স্কুলের পাশে বিমান বাহিনীর চেকপোস্ট থেকে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঘাঁটির ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় সমিতি পাড়ার দুই শতাধিক মানুষ ঘাঁটির দিকে অগ্রসর হলে বিমান বাহিনীর সদস্যরা তাদের বাধা দেন। পরবর্তী সময়ে স্থানীয় লোকজনের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে চেকপোস্ট এলাকায় বিমান বাহিনীর সদস্য ও সমিতি পাড়ার কিছু দুষ্কৃতকারীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলে কুচক্রী মহলের ইন্ধনে দুর্বৃত্তরা বিমান বাহিনীর সদস্যদের ওপর ইট-পাটকেল ছোড়ে।

ইট-পাটকেলের আঘাতে কয়েকজন আহত হন। তাদের মধ্যে বিমান বাহিনীর চার সদস্য (এক জন অফিসার ও তিন জন বিমানসেনা) আঘাতপ্রাপ্ত হন এবং শিহাব কবির নাহিদ নামের এক যুবককে গুরুতর আহত অবস্থায় বিমান বাহিনীর গাড়িতে করে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়।

আইএসপিআর বলেছে, “রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রক্ষার্থে বিমান বাহিনীর সদস্যরা বাহিনীর ‘রুলস অব এনগেজমেন্ট’ অনুয়ায়ী ফাঁকা গুলি ছোড়েন। তবে, স্থানীয় জনসাধারণের ওপর কোনো প্রকার তাজা গুলি ছোড়া হয়নি। বিমান বাহিনীর আহত সদস্যরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

ঢাকা/হাসান/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ