সালমান এফ রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ৩৫৮ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
Published: 24th, February 2025 GMT
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, তাঁর পরিবারের সদস্য ও সহযোগীদের নামে থাকা ৩৫৮টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন আজ সোমবার এই আদেশ দেন।
সালমান এফ রহমান, তাঁর পরিবারের সদস্য ও সহযোগীদের নামে থাকা ৩৫৮টি ব্যাংক হিসাবের তথ্য তুলে ধরে দুদকের পক্ষ থেকে এসব ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আবেদন জানানো হয়। শুনানি নিয়ে এসব ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন আদালত।
দুদকের পক্ষ থেকে আদালতকে জানানো হয়েছে, সালমান এফ রহমান ও অন্যদের বিরুদ্ধে প্লেসমেন্ট শেয়ার কারসাজি ও প্রতারণার মাধ্যমে শেয়ার হোল্ডারদের কাছ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট, অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। দুদক জানতে পেরেছে, সালমান এফ রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠরা এসব ব্যাংক হিসাবের অর্থ হস্তান্তর বা স্থানান্তর করার চেষ্টা করছেন।
দুদকের তথ্য অনুযায়ী, অবরুদ্ধের আদেশ হওয়া ৩৫৮টি ব্যাংক হিসাবের মধ্যে সালমান এফ রহমানের তিনটি ব্যাংক হিসাব রয়েছে। আর তাঁর ছেলে আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমানের নামে দুটি ব্যাংক হিসাব রয়েছে। বাকিগুলো তাঁর পরিবার ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্টদের।
গত ১৩ জানুয়ারি সালমান এফ রহমান, তাঁর পরিবারের সদস্য ও সহযোগীদের নামে থাকা ২৫০ কোটি টাকার সম্পদ ক্রোক করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ক্রোক করা এসব সম্পদের বেশির ভাগই রয়েছে ঢাকার দোহারে।
সিআইডি বলছে, রপ্তানি বাণিজ্যের আড়ালে অর্থ পাচারের অভিযোগে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে গত ১৮ সেপ্টেম্বর বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে ১৭টি মামলা করে সিআইডির আর্থিক দুর্নীতি দমন বিভাগ ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট। এসব মামলার তদন্ত করতে গিয়ে সিআইডি সালমান এফ রহমান ও তাঁর ছেলে শায়ান ফজলুর রহমানসহ অন্যদের নামে দোহারে প্রায় দুই হাজার শতাংশ জমি, জমিতে নির্মিত স্থাপনা ও রাজধানীর গুলশানে একটি ফ্ল্যাটের খোঁজ পায়।
এরপর ১৩ জানুয়ারি সালমান এফ রহমান, তাঁর ছেলে আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমান এবং সালমানের ভাই এ এস এফ রহমান, তাঁর ছেলে আহমেদ শাহরিয়ার রহমানসহ অন্য আসামিদের নামে থাকা সম্পদের বিবরণ আদালতে তুলে ধরে ক্রোকের আবেদন করে সিআইডি। আদালত সে দিনই এসব সম্পদ ক্রোক করার আবেদন মঞ্জুর করেন। অপরাধ তদন্ত সংস্থাটি বলছে, ক্রোক করা এসব সম্পত্তির বাজারমূল্য ২৫০ কোটি টাকা।
মামলাগুলোয় সালমান এফ রহমান, তাঁর পরিবারের সদস্যসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে ৮ কোটি ৩০ লাখ ডলার বিদেশে পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে। আসামিদের সম্পত্তি ক্রোকের আবেদনে সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়, আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমান ও আহমেদ শাহরিয়ার রহমান বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো অনুমতি না নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আর আর গ্লোবাল ট্রেডিং ও আর আর হোল্ডিং লিমিটেড নামের প্রতিষ্ঠান গড়েছেন। অর্থ পাচারের উদ্দেশ্যে এসব প্রতিষ্ঠান গড়েন তাঁরা।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র পর ব র র সদস য ও শ য় ন ফজল র রহম ন ক হ স ব অবর দ ধ ক র ক কর আহম দ শ স আইড
এছাড়াও পড়ুন:
মেক্সিকোতে বন্দুকধারীদের হামলায় নিহত ৮
মেক্সিকোর সবচেয়ে সহিংস রাজ্যে বন্দুকধারীদের হামলার ঘটনায় ৮ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
দেশটির প্রসিকিউটরের কার্যালয় জানিয়েছে, গুয়ানাজুয়াতা রাজ্যে স্থানীয় সময় শনিবার রাতে বন্দুকধারীরা ৮ জনকে গুলি করে হত্যা করেছে। এদের মধ্যে পাঁচজন নারী এবং তিনজন পুরুষ। তবে নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
গুয়ানাজুয়াতো একটি সমৃদ্ধ শিল্পকেন্দ্র এবং সেখানে বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যও রয়েছে। তবে সরকারি হিসাব অনুসারে, মেক্সিকোর সবচেয়ে সহিংস রাজ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয় এ রাজ্যকে।
এ ঘটনায় বন্দুকধারীদের কাউকে এখনো গ্রেপ্তার করা যায়নি। তবে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনী রবিবার গুনাজুয়াতোতে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে, যাকে স্থানীয় গণমাধ্যম সান্তা রোসা ডে লিমা চক্রের খুনিদের নেতা হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
এএএফপির তথ্যানুসারে, সান্তা রোসা দে লিমা গ্যাং এবং জালিসকো নিউ জেনারেশন কার্টেলের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্বের কারণে ওই রাজ্যে বার বার সহিংসতার ঘটনা ঘটছে।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০০৬ সালে মাদক পাচার দমনে সেনা মোতায়েনের পর থেকে মেক্সিকোতে মাদকসম্পর্কিত সহিংসতায় এখন পর্যন্ত চার লাখ ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
ঢাকা/ফিরোজ