Samakal:
2025-03-30@23:47:12 GMT

অনলাইন টিকিটিং বদলে দিচ্ছে জীবন

Published: 24th, February 2025 GMT

অনলাইন টিকিটিং বদলে দিচ্ছে জীবন

বাংলাদেশে ডিজিটাল টিকিটিং পরিবহন ব্যবস্থাকে বদলে দিচ্ছে, যা ভ্রমণকে আরও সহজ, কার্যকরী ও চাপমুক্ত করে তুলেছে। প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে যাত্রীরা এখন বেশি স্বচ্ছতা, নিরাপত্তা ও সুবিধাজনক উপায়ে তাদের টিকিট সংগ্রহ করতে পারছেন।

সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে অনলাইন টিকিটিং প্ল্যাটফর্ম সহজ আয়োজিত ‘টিকিটিং টু ট্রান্সফর্ম লাইভস’ শীর্ষক একটি মতবিনিময় সভায় এমনটা জানান সহজ-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
 
এ আয়োজনে আলোচকরা তুলে ধরেন, কীভাবে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম দীর্ঘদিনের টিকিট সংক্রান্ত সমস্যাগুলো সমাধান করছে। বিশেষ করে ঈদ, পূজা এবং জাতীয় ছুটির মতো ব্যস্ত মৌসুমে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়ানোর ঝামেলা, অনিশ্চয়তা এবং শেষ মুহূর্তের দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দিচ্ছে অনলাইন টিকিটিং। বহু বছর ধরে উৎসব বা জরুরি ভ্রমণের জন্য টিকেট সংগ্রহ করা ছিল বেশ কঠিন। তবে, অনলাইন টিকিটিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এখন লাখো মানুষ মুহূর্তেই টিকেট বুক করতে পারছেন, আসন খালি আছে কি না তা তাৎক্ষণিকভাবে জানতে পারছেন এবং নিরাপদ পেমেন্ট করতে পারছেন। ফলে, টিকিটিং ব্যবস্থা আরও স্বচ্ছ ও সহজ হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ডিজিটাল টিকিটিং শুধুমাত্র প্রযুক্তির প্রসার নয়, বরং এটি এক ধরণের ক্ষমতায়ন। এটি শহর থেকে গ্রাম, সব শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্য সমান সুযোগ তৈরি করেছে, যাতে ভ্রমণ আরও সহজ ও নিশ্চিন্ত হয়। 

বাংলাদেশের আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থার একটি অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে অনলাইন টিকিটিং। এই সেশনে আলোচকরা আরও বলেন, ভবিষ্যতে টিকিটিং ব্যবস্থা আরও কার্যকর ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে ডিজিটাল প্রযুক্তির উন্নয়ন ও বিস্তার অব্যাহত রাখা জরুরি।

‘সহজের’ যাত্রা শুরু হয় ২০১৪ সালে, যার লক্ষ্য-বাংলাদেশিদের জীবনকে সহজ করা। ‘সহজ’ এখন বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ টিকিটিং প্ল্যাটফর্ম, যা মানুষের জীবনকে সহজ করতে এবং তাদের ভ্রমণ অভিজ্ঞতাকে উন্নত করতে কাজ করছে। প্রথমে অনলাইন বাস টিকিটিংয়ের মাধ্যমে দেশের ভ্রমণ খাতে বিপ্লব ঘটিয়ে, সহজ তার সেবার পরিধি সম্প্রসারণ করেছে ফেরি/লঞ্চ, ইভেন্ট, বিনোদন, রেল এবং বিমান টিকিটিং পর্যন্ত পৌঁছেছে। 

সাদামাটা কিন্তু উদ্ভাবনী দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে, সহজ দ্রুত বর্ধনশীল এই বাজারে গ্রাহক এবং ব্যবসার জন্য পরিবহন, ই-কমার্স এবং অন-ডিমান্ড পরিষেবাগুলোর সংজ্ঞা নতুনভাবে গড়ে তুলছে।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন সহজ সংগঠনের সিইও মে.

আমিনুল হক (সাবেক কর্নেল), জাকিল জোয়াদ রাহিম (পরিচালক টিকিট), তলাত রাহিম (চিফ বিজনেস অফিসার), আরিফ খসরু ( সিইও বেঞ্চমার্ক) এ এফ এম আসাদুজ্জামান (পরিচালক পাবলিক আফায়াস) ফাহিমা-তুজ-জোহরা সিনিয়র এক্সিকিউটিভ, মিডিয়া রিলেশন প্রমুখ।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প ল য টফর ম ব যবস থ ভ রমণ

এছাড়াও পড়ুন:

কাঁদতে কাঁদতে গাজার বাসিন্দা বললেন, ‘আমরা তো সব হারিয়েছি, ঈদটা কষ্টের’

ফিলিস্তিনের গাজায় রোববার পালিত হয়েছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। তবে ইসরায়েলের নৃশংস হামলায় বিধ্বস্ত উপত্যকাটিতে এ দিন ছিল না উৎসবের আমেজ। ঈদের দিনও সেখানে নির্বিচারে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। মুসলিমদের কাছে খুশির এ দিনটিতেও গাজায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৩৫ ফিলিস্তিনি।

দীর্ঘ ১৭ মাস ধরে চলা হামলায় গাজায় আর কোনো মসজিদ অবশিষ্ট নেই বললেই চলে। রোববার তাই উপত্যকাটির বাসিন্দাদের ঈদের নামাজ আদায় করতে হয়েছে ধ্বংস হয়ে যাওয়া মসজিদের বাইরে। আগের দিনে গাজার যেসব শিশু নতুন পোশাক পরে আনন্দ করত, তারা এখন ক্ষুধায়-আতঙ্কে কাতর। ঈদ উপলক্ষে নেই তেমন রান্নার আয়োজন।

ইসরায়েলের হামলা শুরুর আগে গাজার ফিলিস্তিনিরা ঈদের সকালে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে উদ্‌যাপন করতেন। তবে এখনকার চিত্র ভিন্ন। বহু গাজাবাসী তাঁদের পরিবারের সদস্যকে হারিয়েছেন। রোববার অনেককে দেখা যায় প্রিয়জনের কবরের পাশে। অনেকে হাজির হন হাসপাতালের মর্গে—শেষবারের মতো কাছের মানুষের মরদেহটি দেখতে।

ইসরায়েলের হামলায় গাজার বাসিন্দা আদেল আল-শায়ের তাঁর পরিবারের ২০ সদস্যকে হারিয়েছেন। মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ এলাকায় ঈদের নামাজ শেষে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। বলেন, ‘এই ঈদটা কষ্টের। আমরা আমাদের ভালোবাসার মানুষগুলোকে হারিয়েছি। আমাদের সন্তান, আমাদের জীবন, আমাদের ভবিষ্যৎ—সবকিছু... আমরা তো সব হারিয়েছি।’

ঈদের দিন স্বজনের কবরের পাশে গাজা নগরীর এক নারী

সম্পর্কিত নিবন্ধ