ঢাকায় ভারতীয় সিনেমার ১১১ বছর পূর্তি উদযাপন
Published: 24th, February 2025 GMT
ভারতীয় সিনেমার ১১১ বছর উপলক্ষে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন। গত রোববার ঢাকার ভারতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। এ আয়োজনে জানানো হয় চলতি বছরের মে মাসে মুম্বাইর জিও ওয়ার্ল্ড কনভেনশন সেন্টারে ১ থেকে ৪ মে ২০২৫ পর্যন্ত ‘ওয়ার্ল্ড অডিও ভিজ্যুয়াল অ্যান্ড এন্টারটেইনমেন্ট সামিট’ (ওয়েব সামিট) এর প্রথম সংস্করণ অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে দেশের বিনোদন অঙ্গনের অনেক তারকাশিল্পী, নির্মাতা ও কলাকুশলীদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। তিনি বলেন, ‘ওয়েব হলো সহযোগিতা, উদ্ভাবন এবং শৈল্পিক উৎকর্ষের নতুন পথ তৈরি করতে একসঙ্গে কাজ করার জন্য একটি সক্রিয় প্ল্যাটফর্ম। ওয়েবের লক্ষ্য হলো টিভি ও রেডিও, নিউজ মিডিয়া, মিউজিক, বিজ্ঞাপন, অ্যানিমেশন, ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট, গেমিং, কমিকস, সোশ্যাল মিডিয়া, অনলাইন নির্মাতা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ফিল্ম, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম এবং প্রদর্শকসহ সারা বিশ্ব থেকে মিডিয়া এবং বিনোদন (এম অ্যান্ড ই) শিল্প নেতাদের একত্রিত করা।
এ আয়োজনের অংশ হিসেবে সেদিন ‘জার্নি অব ইন্ডিয়ান সিনেমা’র ওপর একটি প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়। একই সঙ্গে অস্কার বিজয়ী ভারতীয় ডকুমেন্টারি ফিল্ম ‘দ্য এলিফ্যান্ট হুইস্পারস’র প্রদর্শনী করা হয়।
জানা গেছে, ওয়েব সামিটে মন্ত্রী ও নীতিনির্ধারকদের গ্লোবাল মিডিয়া ডায়ালগ, মিডিয়া ও বিনোদন সিইওদের গোলটেবিল, শিল্পের সেরা স্বীকৃতি প্রদানকারী ওয়েবস পুরস্কার, ২২টি আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ, মাস্টারক্লাস এবং ওয়ার্কশপ, ক্লাসিক্যাল এবং ফিউশন সাংস্কৃতিক পারফরম্যান্স, মিডিয়া স্টার্টআপগুলো প্রদর্শন করা হবে। এ ছাড়া সামিটে পূর্ণাঙ্গ এবং সম্মেলন সেশন, ভারতবর্ষের জন্য একটি সভা এবং একটি প্রদর্শনী অনুষ্ঠান থাকবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রাম্পের ‘স্বাধীনতা দিবস’ বুধবার, অধিকাংশ পণ্যে ২০% শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেবেন
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্প একের পর এক বিভিন্ন দেশের পণ্য আমদানিতে শুল্ক আরোপ করে আসছেন। চীন থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ রাষ্ট্র কানাডা এবং যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের ঐতিহাসিক মিত্র দেশগুলোকেও ছাড়েননি। এ জন্য পাল্টাও খেয়ে চলেছেন। এ রকম পরিস্থিতিতে তিনি আবার নতুন একগুচ্ছ শুল্ক প্রস্তাবের ঘোষণা দিতে যাচ্ছেন। আগামীকাল বুধবার এই ঘোষণা দেবেন, যা আগেই ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন।
কিন্তু বুধবার ট্রাম্প কি ঘোষণা করতে পারেন তা নিয়ে যেন জল্পনাকল্পনার শেষ নেই। কারণ, তিনি এরই মধ্যে বলে দিয়েছেন যে ছোট–বড় নির্বিশেষ কোনো দেশকেই ছাড়বেন না। সেটি বুঝা যায়, ট্রাম্পের বক্তব্যে। তিনি এই বুধবারকে ‘লিবারেশন ডে’ বা ‘স্বাধীনতা দিবস’ বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী গণমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট আজ মঙ্গলবার জানিয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের কার্যালয় হোয়াইট হাউসের কর্মীরা নতুন করে শুল্ক আরোপের একটি প্রস্তাব তৈরি করেছেন। এতে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি হয়, এ রকম পণ্যের বেশির ভাগের ওপরই প্রায় ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেওয়া হবে।
নতুন শুল্ক আরোপের প্রস্তাব তৈরির প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত এমন তিনজন ব্যক্তিকে উদ্ধৃত ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হোয়াইট হাউসের উপদেষ্টারা সতর্ক করে দিয়েছেন যে শুল্ক আরোপের বিষয়ে বেশ কয়েকটি বিকল্প রয়েছে; যার অর্থ ২০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর না–ও হতে পারে। সংবাদ মাধ্যমটির মতে, এমন একটি বিকল্প পরিকল্পনার কথা বিবেচনা করা হচ্ছে যে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে পারস্পরিক সম্পর্কের ভিত্তিতে শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হতে পারে।
আগামীকাল ২ এপ্রিল বুধবার বিশ্ব বাণিজ্য নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি বৃহত্তর পরিকল্পনা ঘোষণা করতে চলেছেন। এই ঘোষণা অবশ্য আগেই দিয়ে রাখা হয়েছে। এতে ওয়াল স্ট্রিট তথা যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাজারে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। কারণ, শুল্ক বৃদ্ধির প্রভাবে বৃহৎ বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর বিক্রি ও মুনাফায় সরাসরি প্রভাব পড়বে, এমন আশঙ্কায় তাদের শেয়ারের দর কমছে। বিনিয়োগকারীরা ভয় ও আতঙ্কে এসব কোম্পানির শেয়ার ছেড়ে দিয়ে সেফ হ্যাভেন বা বিনিয়োগের জন্য ‘নিরাপদ স্বর্গ’ খ্যাত সোনায় বিনিয়োগ করছেন। ফলে সোনার দাম বেড়ে ইতিমধ্যে প্রতি আউন্স ৩ হাজার ১৪৮ মার্কিন ডলারে উঠেছে। এটি সোনার সর্বকালের সর্বোচ্চ দামের রেকর্ড। এই প্রবণতা বিশ্বে আবার মন্দার আশঙ্কা তৈরি করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ট্রাম্প প্রশাসন ইতিমধ্যে শুল্ক আরোপ নিয়ে যেসব ঘোষণা দিয়েছেন, আগামীকাল সেগুলোকে নতুন পরিকল্পনায় আরও বিস্তৃত স্থায়ী করার কথা বলতে পারেন। তা অবশ্য নির্দিষ্ট কিছু দেশ বা শিল্পকে লক্ষ্য করে হবে না। ট্রাম্প ও তাঁর উপদেষ্টারা বলে আসছেন যে তাঁদের লক্ষ্য হলো, অন্যান্য দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যকে আরও ন্যায়সংগত তথা সামঞ্জস্যপূর্ণ করে তোলা; যাতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল বা কেন্দ্রীয় সরকারের রাজস্ব আয় বাড়ে।
কতিপয় অর্থনীতিবিদ সতর্ক করে দিয়েছেন, নতুন শুল্ক আরোপের ফলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধীর হয়ে যেতে পারে। মূল্যস্ফীতিও বাড়তে পারে। আবার বিভিন্ন দেশও পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপের পদক্ষেপ নিতে পারে।
ক্রমবর্ধমান বাণিজ্যযুদ্ধ সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বিনিয়োগকারী, ভোক্তা ও ব্যবসায়ী নেতাদের আস্থাকে আঘাত করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। যেমন চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচক ৪ দশমিক ৬ শতাংশ পড়ে গেছে। নাসড্যাক সমন্বিত সূচক তো রীতিমতো ১০ দশমকি ৪ শতাংশ কমেছে। এ ছাড়া ভোক্তা ও ব্যবসায়ী নেতাদের ওপর পরিচালিত এক জরিপেও বলা হয়েছে, চলতি ২০২৫ সালের শুরু থেকে অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা ক্রমে বাড়ছে।
হোয়াইট হাউসের একজন মুখপাত্রের সঙ্গে ওয়াশিংটন পোস্টের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলেও তিনি এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। সূত্র: সিএনবিসি, ডয়চে ভেলে, এএফপি ও বিবিসি।