ভারতীয় সিনেমার ১১১ বছর উপলক্ষে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন। গত রোববার ঢাকার ভারতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। এ আয়োজনে জানানো হয় চলতি বছরের মে মাসে মুম্বাইর জিও ওয়ার্ল্ড কনভেনশন সেন্টারে ১ থেকে ৪ মে ২০২৫ পর্যন্ত ‘ওয়ার্ল্ড অডিও ভিজ্যুয়াল অ্যান্ড এন্টারটেইনমেন্ট সামিট’ (ওয়েব সামিট) এর প্রথম সংস্করণ অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে দেশের বিনোদন অঙ্গনের অনেক তারকাশিল্পী, নির্মাতা ও কলাকুশলীদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। তিনি বলেন, ‘ওয়েব হলো সহযোগিতা, উদ্ভাবন এবং শৈল্পিক উৎকর্ষের নতুন পথ তৈরি করতে একসঙ্গে কাজ করার জন্য একটি সক্রিয় প্ল্যাটফর্ম। ওয়েবের লক্ষ্য হলো টিভি ও রেডিও, নিউজ মিডিয়া, মিউজিক, বিজ্ঞাপন, অ্যানিমেশন, ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট, গেমিং, কমিকস, সোশ্যাল মিডিয়া, অনলাইন নির্মাতা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ফিল্ম, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম এবং প্রদর্শকসহ সারা বিশ্ব থেকে মিডিয়া এবং বিনোদন (এম অ্যান্ড ই) শিল্প নেতাদের একত্রিত করা।
এ আয়োজনের অংশ হিসেবে সেদিন ‘জার্নি অব ইন্ডিয়ান সিনেমা’র ওপর একটি প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়। একই সঙ্গে অস্কার বিজয়ী ভারতীয় ডকুমেন্টারি ফিল্ম ‘দ্য এলিফ্যান্ট হুইস্পারস’র  প্রদর্শনী করা হয়।  
জানা গেছে, ওয়েব সামিটে মন্ত্রী ও নীতিনির্ধারকদের গ্লোবাল মিডিয়া ডায়ালগ, মি‌ডিয়া ও বি‌নোদন সিইওদের গোলটেবিল, শিল্পের সেরা স্বীকৃতি প্রদানকারী ওয়েবস পুরস্কার, ২২টি আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ, মাস্টারক্লাস এবং ওয়ার্কশপ, ক্লাসিক্যাল এবং ফিউশন সাংস্কৃতিক পারফরম্যান্স, মিডিয়া স্টার্টআপগুলো প্রদর্শন করা হ‌বে। এ ছাড়া সা‌মি‌টে পূর্ণাঙ্গ এবং সম্মেলন সেশন, ভারতবর্ষের জন্য একটি সভা এবং একটি প্রদর্শনী অনুষ্ঠান থাক‌বে।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ

এছাড়াও পড়ুন:

এই কঠিন সময়ে ঐক্য ধরে রাখা প্রয়োজন: ঢাবি উপাচার্য

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির ঐক্য রক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান।

উপাচার্য বলেন, ‘আমরা একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছি। এক অর্থে জাতির জন্য এটি একটি ক্রান্তিকাল। এই সময়ে আমাদের ঐক্য ধরে রাখা একান্তই প্রয়োজন।’

আজ রোববার সকালে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের কাছে নিয়াজ আহমেদ খান এ কথা বলেন।

ঢাবি উপাচার্য বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস জাতির জন্য পরম শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও মমতার দিন। এক গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, চিন্তাবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। তাঁদের সেই চূড়ান্ত আত্মত্যাগ ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে আছে।

নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, যুগে যুগে ও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ এ জাতিকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ঐক্যবদ্ধ করেছে এবং সাহস জুগিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় জাতি ১৯৯০ ও ২০২৪ সালের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়েছে।

উপাচার্য আরও বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ আজও জাতির ঐক্য ধরে রাখার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোকবর্তিকা। একই সঙ্গে ১৯৫২, ১৯৬৮, ১৯৬৯, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি আন্দোলন–সংগ্রামে যাঁরা রক্ত ও জীবন দিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষা করেছেন, তাঁদের সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।

নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ১৯৫২ থেকে ২০২৪—এর প্রতিটি দিন ও ঘটনাপ্রবাহ জাতির মৌলিক পরিচয়ের মাইলফলক। এর কোনো অংশ বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। এ ইতিহাসই যুগে যুগে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছে, আর বর্তমান সময়ে সেই ঐক্য ধরে রাখাই সবচেয়ে বড় প্রয়োজন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ