পানিতে কম নামছে কুমির, কারণ কী
Published: 24th, February 2025 GMT
কুমিরের আচরণ ও আবাসস্থলের বেশ পরিবর্তন হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। কুমির মূলত ইক্টোথার্মিক বা ঠান্ডা রক্তের প্রাণী। আর তাই কুমির নিজের শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে বাহ্যিক পরিবেশের ওপর নির্ভর করে থাকে। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কুমিরের শরীরের ওপর চাপ তৈরি হচ্ছে। বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে নদীর পানির তাপমাত্রা বাড়ছে। এতে অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন মোহনায় থাকা কুমির পানিতে কম ডুব দিচ্ছে। শুধু তা–ই নয়, শরীরের রক্ত গরম করতে বেশি পরিশ্রমও করতে হচ্ছে না কুমিরগুলোকে।
কারেন্ট বায়োলজি সাময়িকীতে প্রকাশিত সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ২০০৮ সাল থেকে কুমিরের শরীরের তাপমাত্রা শূন্য দশমিক ৫৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। এ ছাড়া চারপাশের তাপমাত্রা বাড়ার কারণে কুমির গুরুতর তাপীয় সীমার কাছাকাছি তাপমাত্রা অনুভব করছে। এসব কুমির সাধারণত উষ্ণ জলবায়ুতে রোদে শুয়ে বা পানিতে বেড়ে ওঠে। কিন্তু বৈশ্বিক তাপমাত্রা বাড়ার কারণে তাদের শরীরের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।
আরও পড়ুনজলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে আবাসস্থল পরিবর্তন করছে দৈত্যকার তিমিও১৬ ডিসেম্বর ২০২৪বিজ্ঞানী ক্যাটলিন বারহাম বলেন, গরমের কারণে কুমির ভালোই বিপাকে আছে। তাপমাত্রা বাড়ার কারণে কুমিরের বিপাকক্রিয়ার গতি বেড়েছে। এর অর্থ, বেশি অক্সিজেন ব্যবহার করছে কুমির। গবেষণায় দেখা গেছে, বর্তমানে কুমির শ্বাস বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারে না। এতে কুমিরের প্রজনন ভবিষ্যতে প্রভাবিত হতে পারে। দীর্ঘায়িত তাপ কুমিরের শারীরিক চাপ ও শক্তির সংরক্ষণকে বাধা দেয়। জলবায়ু পরিবর্তনের এ ধারা চলতে থাকলে কুমির শরীরকে ঠান্ডা করতে নতুন আবাস খুঁজতে বাধ্য হবে।
সূত্র: এনডিটিভি
আরও পড়ুনসমুদ্রের তাপমাত্রা বাড়ছে ৪০০ গুণ হারে০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সুনামগঞ্জে পূর্ব বিরোধের জেরে সংঘর্ষে আহত ২০
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে পূর্ব বিরোধের জেরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। বুধবার বিকেলে উপজেলার আশারকান্দি ইউনিয়নের কালনীরচর গ্রামের এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কালনীরচর গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্দুল হক ও একই গ্রামের স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য শওকত আলীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন বিষয়ে বিরোধ চলে আসছে। ওইসব বিষয় নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে একাধিক মামলা মোকদ্দমাও রয়েছে।
সম্প্রতি একটি মামলায় ইউপি সদস্য শওকত আলীকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। ৮ দিন পর গত মঙ্গলবার জামিনে বের হন শওকত আলী। এরই জেরে বুধবার বিকেলে উভয় পক্ষের লোকজন বাগ্বিতণ্ডা ও পরে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে জগন্নাথপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহতদের জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ওসমানীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূঞা বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।