Prothomalo:
2025-02-24@13:21:22 GMT

পানিতে কম নামছে কুমির, কারণ কী

Published: 24th, February 2025 GMT

কুমিরের আচরণ ও আবাসস্থলের বেশ পরিবর্তন হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। কুমির মূলত ইক্টোথার্মিক বা ঠান্ডা রক্তের প্রাণী। আর তাই কুমির নিজের শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে বাহ্যিক পরিবেশের ওপর নির্ভর করে থাকে। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কুমিরের শরীরের ওপর চাপ তৈরি হচ্ছে। বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে নদীর পানির তাপমাত্রা বাড়ছে। এতে অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন মোহনায় থাকা কুমির পানিতে কম ডুব দিচ্ছে। শুধু তা–ই নয়, শরীরের রক্ত গরম করতে বেশি পরিশ্রমও করতে হচ্ছে না কুমিরগুলোকে।

কারেন্ট বায়োলজি সাময়িকীতে প্রকাশিত সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ২০০৮ সাল থেকে কুমিরের শরীরের তাপমাত্রা শূন্য দশমিক ৫৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। এ ছাড়া চারপাশের তাপমাত্রা বাড়ার কারণে কুমির গুরুতর তাপীয় সীমার কাছাকাছি তাপমাত্রা অনুভব করছে। এসব কুমির সাধারণত উষ্ণ জলবায়ুতে রোদে শুয়ে বা পানিতে বেড়ে ওঠে। কিন্তু বৈশ্বিক তাপমাত্রা বাড়ার কারণে তাদের শরীরের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।

আরও পড়ুনজলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে আবাসস্থল পরিবর্তন করছে দৈত্যকার তিমিও১৬ ডিসেম্বর ২০২৪

বিজ্ঞানী ক্যাটলিন বারহাম বলেন, গরমের কারণে কুমির ভালোই বিপাকে আছে। তাপমাত্রা বাড়ার কারণে কুমিরের বিপাকক্রিয়ার গতি বেড়েছে। এর অর্থ, বেশি অক্সিজেন ব্যবহার করছে কুমির। গবেষণায় দেখা গেছে, বর্তমানে কুমির শ্বাস বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারে না। এতে কুমিরের প্রজনন ভবিষ্যতে প্রভাবিত হতে পারে। দীর্ঘায়িত তাপ কুমিরের শারীরিক চাপ ও শক্তির সংরক্ষণকে বাধা দেয়। জলবায়ু পরিবর্তনের এ ধারা চলতে থাকলে কুমির শরীরকে ঠান্ডা করতে নতুন আবাস খুঁজতে বাধ্য হবে।

সূত্র: এনডিটিভি

আরও পড়ুনসমুদ্রের তাপমাত্রা বাড়ছে ৪০০ গুণ হারে০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সিদ্ধিরগঞ্জে বাবা মায়ের সাথে অভিমান ঘর ছাড়লো স্কুল ছাত্র শুভ  

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে বাবা মায়ের সাথে অভিমান করে ঘর ছেড়েছে শুভ দাস (১৫) নামের নবম শ্রেনির এক স্কুল ছাত্র।

মোবাইল ফোন কিনে না দেওয়ায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে দশটার সময় সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদি নতুন মহল্লা এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে অন্যত্র অজ্ঞাত স্থানে চলে যান ওই স্কুল ছাত্র।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরে নবম শ্রেনির স্কুল ছাত্র শুভ দাস তার বাবা মাকে মোবাইল ফোন কিনে দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে আসছেন। তার (স্কুল ছাত্র শুভ দাস) কথা মতো মোবাইল ফোন কিনে না দেয়ায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে দশটার সময় বাবা মার সাথে অভিমান করে সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদি নতুন মহল্লা এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে অন্যত্র অজ্ঞাত স্থানে চলে যান ওই স্কুল ছাত্র।

সে সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদি নতুন মহল্লা এলাকার আল বালাগ স্কুলের নবম শ্রেনির ছাত্র। বর্তমানে সে নিখোঁজ রয়েছেন।  

নিখোঁজ স্কুল ছাত্রের পিতা দিলিপ দাস বলেন, তার ছেলে ঘর থেকে চলে যাওয়ার পর থেকে আর ঘরে ফিরে আসেনি। সন্তানকে ফিরে পেতে নিজের মুঠোফোন নাম্বার দিয়ে সন্তান হারিয়ে যাওয়ার বিষয়টি পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেন দিলিপ দাস। 

পরে দিলিপ দাসের মুঠোফোনে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি নিজেকে আখাউড়া থানার পুলিশ পরিচয় দিয়ে তার ছেলে (দিলিপ দাসের ছেলে) এক্সিডেন্ট করেছে দাবি করে তার কাছ থেকে চিকিৎসা বাবদ বিকাশের মাধ্যমে নগদ ৭ হাজার সাতশত টাকা নেন।

পরে আখাউড়া থানায় যোগাযোগ করা হলে ওই অজ্ঞাত ব্যক্তি ভূয়া বলে জানতে পারেন দিলিপ দাস। এদিকে ছেলেকে ফিরে পেতে পিতা দিলিপ দাস সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। 

এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ইলিয়াস জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ