টাঙ্গাইলে ধর্ষণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ
Published: 24th, February 2025 GMT
দেশজুড়ে নারী ও শিশু ধর্ষণের প্রতিবাদ ও ধর্ষকদের শাস্তির দাবিতে টাঙ্গাইলে দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।
এছাড়া শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা হতে বিকেল পর্যন্ত টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারেরর সামনে সমবেত হয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত সমাজকর্মী মুঈদ হাসান তড়িৎ, শিক্ষার্থী তাওহীদা ইসলাম স্বপ্নীল, প্রেমা সরকার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আরো পড়ুন:
বাসায় ফেরার পথে নারী শ্রমিকের মৃত্যু, সড়ক আটকে বিক্ষোভ
প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপে হিলিতে নারী ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু
বক্তারা বলেন, ‘আমাদের ঘর থেকে সমাজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে সারা দেশ, মহাসড়কে যানবাহন কোথাও মা বোনেরা নিরাপদ নয়। রোববারের তথ্য অনুযায়ী ২৪ ঘণ্টায় ১৭ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। জুলাই আগস্টের অভ্যুত্থানে ফলে যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সরকারের দায়িত্বে রয়েছেন, তার কার্যক্রমও সন্তোষজনক নয়।”
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেন আন্দোলনকারীরা।
টাঙ্গাইল/কাওছার/সাইফ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সাজেকে আগুনে পুড়ল ১৫০ রিসোর্ট-দোকান
রাঙামাটির পর্যটন কেন্দ্র সাজেক ভ্যালিতে আগুনে কমপক্ষে ১৫০টি রিসোর্ট, দোকান ও বসতঘর পুড়ে গেছে। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পৌনে ১টায় ইকো ভ্যালি রিসোর্ট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। এতে মুহূর্তে আগুন আশপাশের রিসোর্টে ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা চেষ্টার পর ফায়ার সার্ভিস, সেনা সদস্যদের চেষ্টায় সন্ধ্যা ৬টার দিকে আগুনে নিয়ন্ত্রণে আসে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী ও উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, দুপুর পৌনে ১টায় একটি রিসোর্ট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। সাজেকের অধিকাংশ রিসোর্ট কাঠ ও বাঁশের তৈরি হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া সাজেক ভ্যালিতে ফায়ার সার্ভিসের কোনো স্টেশন না থাকায় এবং পানির অভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছিল না। প্রাথমিকভাবে সেনাবাহিনী ও স্থানীয়রা মিলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। খবর পেয়ে নিকটবর্তী ফায়ার সার্ভিস স্টেশন খাগড়াছড়ি দীঘিনালা উপজেলা ও বাঘাইছড়ি উপজেলা থেকে দুটি ইউনিট রওনা দেয়। পাহাড়ি পথে তাদের পৌঁছতে প্রায় দুই ঘণ্টা সময় লেগে যায়। এরপর আগুন নেভানোর কাজ শুরু করলেও সাজেকে পানি না থাকায় দূর গ্রাম থেকে বার বার পানি এনে বেগ পেতে হচ্ছিল। এর মধ্যে খাগড়াছড়ি সদর থেকে আরো দুটি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেয়। কিন্তু বাতাসের তীব্রতা, পর্যাপ্ত পানির অভাবে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়েছে। মোট চারটি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে নিয়োজিত ছিল।
আারো পড়ুন: সাজেকে আগুনে পুড়ছে রিসোর্ট
আরো পড়ুন:
সাজেকে আগুনে পুড়ছে রিসোর্ট
সাভারে কারখানার গুদামে আগুন, এক ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার বলেন, আগুনের তীব্রতা এবং পানি সঙ্কটের কারণে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট পৌঁছেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছিল না। ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট চেষ্টা চালিয়ে সন্ধ্যা ৬টার দিকে আগুন মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ জানান, সব মিলে ১৫০টি রিসোর্ট, দোকান ও বসতঘর পুড়ে গেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে পানি ছিটানোর আলোচনা হলেও সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় সেটা করা হয়নি।
ঢাকা/শংকর/বকুল