এখন থেকে কোনো বিমান সংস্থা তিন দিন বা ৭২ ঘণ্টার বেশি কোনো বিমান টিকিটের বুকিং রাখতে পারবে না। বুকিং দেওয়া টিকিট তিন দিনের মধ্যে যাত্রীর নামে ইস্যু করতে হবে। আর টিকিট বুকিংয়ের সংশ্লিষ্ট যাত্রীর নাম, পাসপোর্ট নম্বর ও পাসপোর্টের ফটোকপিসহ বুকিং সম্পন্ন করতে হবে। তিন দিনের মধ্যে টিকিট ইস্যু করা না হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বুকিং দেওয়া ওই টিকিট বাতিল করতে হবে।

আকাশপথে ভ্রমণে বিমান টিকিটের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি রোধে এই নির্দেশনা জারি করেছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি এই নির্দেশনা জারি করা হয়। ১৮ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রণালয়ের এই নির্দেশনা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে বিমান টিকিটের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি রোধে মোট ১০টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বিমান পরিবহন সংস্থাগুলোকে।

বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয় বলেছে, নতুন এই নির্দেশনা জারির আগে বিভিন্ন বিমান সংস্থা ও ট্রাভেল এজেন্সি গ্রুপ বুকিংয়ের মাধ্যমে যেসব টিকিট ব্লক করে রেখেছিল, সেসব টিকিট সাত দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট যাত্রীর নামে বিক্রি নিশ্চিত করতে হবে। সেটি না হলে নির্ধারিত সময় পার হওয়ার তিন দিনের মধ্যে এসব টিকিট স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে।

এ ছাড়া গ্রুপ বুকিংয়ের ক্ষেত্রে টিকিটের প্রকৃত বিক্রয়মূল্য বিক্রির সঙ্গে সঙ্গে বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়কে জানাতে হবে। পরে মন্ত্রণালয় এই দাম ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে। শুধু তা–ই নয়, এখন থেকে সব ধরনের বিমান টিকিট অনলাইনে বিক্রির নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়। সে ক্ষেত্রে অনলাইনে ও টিকিটের গায়ে দাম উল্লেখ করতে হবে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, টিকিটের চাহিদা না থাকার পরও চাহিদার অতিরিক্ত টিকিট মজুত করে পরে অন্য এজেন্টের মাধ্যমে বিক্রির কারণে টিকিটের দাম বাড়লে সে ক্ষেত্রে মূল ট্রাভেল এজেন্সির নিবন্ধন সনদ বাতিল বা স্থগিত করা হবে। এর বাইরে মধ্যপ্রাচ্য ও মালয়েশিয়াসহ বিদেশগামী প্রবাসী কর্মীদের টিকিট ভাড়া কমাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব ম ন পর বহন

এছাড়াও পড়ুন:

সিদ্ধিরগঞ্জে নকল জুস কারখানা সিলগালা, অর্থদণ্ড

সিদ্ধিরগঞ্জে একটি নকল জুসের কারখানায় অভিযান চালিয়েছে বিএসটিআই এর ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় তৈরীকৃত নকল খাদ্য সামগ্রী জব্দসহ কারখানার মালিক মো. হেলাল মল্লিককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান ও আদায় করে কারখানা সিলগালা করে দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার নিমাই কাশারী এলাকার মল্লিক এগ্রো ফুড কারখানায় অভিযান পরিচালনা করে এই দণ্ড প্রদান করেন বিএসটিআই এর নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট কানিজ ফাতেমা।।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সিদ্ধিরগঞ্জের নিমাইকাশারী এলাকায় অনুমোদহীন জুস কারখানা গড়ে তোলেন মো. হেলাল মল্লিক নামে এক ব্যবসায়ী। ওই কারখানায় নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে নকল জুস তৈরি করে 'মল্লিক ফ্রুটো'সহ বিভিন্ন নামে বাজারজাত করতেন তিনি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার দুপুরে ওই কারখানায় অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত।

অভিযানে জুস বানানোর মেশিন ও জুস তৈরির নিম্নমানের উপকরণ মালামাল জব্দ করার পাশাপাশি কারখানা সিলগালা করা হয়। এ সময় কারখানার মালিককে পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, নকল মাল জব্দ করে কারখানা সিলগালা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বিএসটিআই এর নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট কানিজ ফাতেমা অভিযান ও অর্থদণ্ডের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ